একেই বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! কত কিছুই তো না সারা বিশ্ব জুড়ে করা হয়ে চলেছে সরকারি তরফে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে, কিন্তু শুধুমাত্র এক স্রেণীর মানুষের লোভ আর নির্বুদ্ধিতা বাড়িয়ে তুলছে সভ্যতার বিপদ!
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে করোনাকালে নির্বিঘ্নে বিদেশযাত্রা করার জন্য অনেক যাত্রীই নকল কোভিড ১৯ পরীক্ষার সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের সহায়ক হয়ে উঠেছে এক বিশেষ ধরনের কালোবাজার। তার ব্যবসায়ীরা প্রায় আসলের মতো কোভিড ১৯ নেগেটিভ রিপোর্টওয়ালা সার্টিফিকেট তৈরি করে তা চড়া দামে বিক্রি করে চলেছেন ক্রেতাদের কাছে। খবর বলছে যে মূলত ফ্রান্স, ব্রাজিল এবং ব্রিটেনেই এ হেন নকল কোভিড ১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট তৈরির চক্র সব চেয়ে বেশি সক্রিয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট বলছে যে এ ধরনের নকল সার্টিফিকেটের ক্রেতা মূলত দুই শ্রেণীর- যাঁদের কর্মসূত্রে অন্যত্র না গেলেই নয় এবং যাঁরা স্রেফ ছুটি কাটানোর জন্য ভ্রমণ করতে চাইছেন বিমানযোগে। কিন্তু বিমানসংস্থার নানা কড়াকড়ির মুখে পাছে যাত্রা বাতিল হয়ে যায়, সে কারণেই এই সব যাত্রীরা কালোবাজার থেকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ থাকার নকল সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন।
জানা গিয়েছে, যে সম্প্রতি প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরের বাইরে সক্রিয় ভাবে কাজ করে চলা এমন এক নকল সার্টিফিকেট সরবরাহকারী গোষ্ঠীকে হাতে-নাতে ধরে উঠতে সক্ষম হয়েছে ফরাসি পুলিশ। জেরার মুখে ওই দল স্বীকার করে নিয়েছে যে কোভিড ১৯ নেগেটিভ বয়ানওয়ালা এমন একেকটি সার্টিফিকেট তারা বিক্রি করত ১৮০ থেকে ৩৬০ মার্কিন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় উল্লেখ করলে টাকার অঙ্কটা আজকের হিসেবে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৩৯৫ টাকা ৪২ পয়সা থেকে ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা ৮৪ পয়সা!
আর এই জায়গা থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশ্বের স্বাস্থ্যবিদরা। অন্য দেশে ভ্রমণ থেকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হওয়া- সব কিছুই সম্ভব এ হেন নকল কোভিড ১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেটের সাহায্যে। প্রথম বিশ্বের দেশেই যদি তা ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে তৃতীয় বিশ্বের পক্ষ আতঙ্কের কারণ রয়েছে বইকি!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus