#বেজিং: একদিকে ভারতের সঙ্গে লাদাখে 'স্ট্যান্ড অফ', সিকিম সীমানায় ধাক্কাধাক্কি। অন্যদিকে পূর্ব সীমান্তে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রোজ হুমকি দিচ্ছে চিন। দিন তিনেক আগে তাইওয়ান সীমানার খুব কাছে ঢুকে পড়েছিল কয়েকটি চিনা ফাইটার জেট। রবিবার প্রায় এক ডজন ফাইটার জেট অতিক্রম করল তাইওয়ানের আকাশ সীমা। অবশ্য মূল ভূখণ্ডের আগে থেকেই ফিরে গিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলি।
সূত্রের খবর, আটটি যুদ্ধবিমান এবং চারটি বোমারু বিমান নিয়ে এসেছিল চিন। তাইওয়ান বিমানবাহিনী পাল্টা প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের ফাইটার জেট আকাশে ওড়ায় এবং মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করে দেয়। জে টেন, জে সিক্সটিন ছিল চিনা বাহিনীতে। তবে তাইওয়ান জানিয়েছে, চিনের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রস্তুত তাঁদের বিমান বাহিনী। মূল ভূখণ্ডে এলে দাম দিতে হবে চিনকে।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ চিন সাগরে তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত প্রতাস দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে বহুবার চিন ফাইটার জেট উড়িয়েছে। তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল বলে দাবি করে চিন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, যেভাবে চিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র দেখানোর চেষ্টা করছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর চিন বোঝার চেষ্টা করছে চিন নিয়ে মার্কিন নীতি কী হতে চলেছে। ট্রাম্প যেমন সরাসরি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, বাইডেন কী একই পথে হাঁটবেন, নাকি চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এগোবেন? বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত বাইডেন প্রশাসনের হালচাল বোঝার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চিন।
A U.S. aircraft carrier group entered the South China Sea on the same day that Taiwan reported a large incursion of Chinese bombers and fighter jets into its air space. The tensions are raising concern in Washington https://t.co/9x65XseTAl pic.twitter.com/fVgJAXVmVp
— Reuters (@Reuters) January 24, 2021
এর আগে রবিবার মার্কিন সেনা জানিয়েছিল যে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বে একটি মার্কিন বিমানবাহী বাহক "সমুদ্রের স্বাধীনতা" প্রচারের জন্য বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশ করেছিল। অর্থাৎ আমেরিকার তরফে ইঙ্গিত স্পষ্ট।
চিন নিয়ে মুখে ট্রাম্পের মত আক্রমনাত্মক না হলেও, বাস্তবে চিনকে বিশ্বাস করতে রাজি নয় আমেরিকা।বাইডেন বুধবার অফিসে শপথগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রশাসন বলেছে যে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতই মজবুত। অন্যান্য দেশের মত তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই আমেরিকার। কিন্তু তাইওয়ানের ওপর আক্রমণ হলে দ্বীপটিকে রক্ষা করার ব্যাপারে আইন দ্বারা আবদ্ধ মার্কিন প্রশাসন।