শিয়রে করোনা, তার মধ্যেই ভাইরাস চ্যাপারের আতঙ্কে বিশ্ব ! দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ !

Last Updated:

গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সংক্রমিত থেকে অন্য জনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

#ওয়াশিংটন: এখনও ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে করোনা। রোজ রোজ বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এর মাঝেই ইবোলার সমগোত্রীয় একটি ভাইরাসের সন্ধান পেল আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষকরা। ভাইরাসটির নাম চ্যাপার। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সংক্রমিত থেকে অন্য জনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। কেড়ে নিতে পারে প্রাণও। আজ থেকে প্রায় বছর সতেরো আগে বলিভিয়ার চ্যাপার প্রদেশে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে এটি। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই ভাইরাস সম্পর্কে।
কী এই চ্যাপার ভাইরাস?
ভাইরাসের Arenaviridae ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত এই চ্যাপার ভাইরাস। উল্লেখ্য, একই ভাইরাস পরিবারেরই অংশ ইবোলা ভাইরাস। গবেষকদের মতে ইবোলার সমগোত্রীয় এই ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট চ্যাপার হেমোব়্যাজিক ফিভার বা CHHF রোগের প্রভাব এখনও পর্যন্ত সে ভাবে দেখা যায়নি। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল। অতীতে চ্যাপার আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। আপাতত বলিভিয়ার নানা প্রদেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস।
advertisement
কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে চ্যাপার ভাইরাস?
এর বাহক ইঁদুর। সাধারণত ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায় ভাইরাসটি। একবার কেউ সংক্রমিত হলে, সেই সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যজনও খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির মল-মূত্রের মাধ্যমে ক্রমেই ছড়াতে থাকে চ্যাপার। তবে বাতাসে সংক্রমিত হতে পারে না এই ভাইরাস। গবেষকদের পরামর্শ, এই রোগের চিকিৎসার সময় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। কারণ বডি ফ্লুইডের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।
advertisement
advertisement
চ্যাপার হেমোব়্যাজিক ফিভার বা CHHF-এর উপসর্গ কী?
চ্যাপার ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, মাথাব্যথা, অন্ত্রে ব্যথা, জয়েন্ট ও পেশিতে ব্যথা, ডায়েরিয়া, বমি-বমি ভাব, গায়ে ব়্যাশ বেরোনো, অস্বস্তি, জ্বালাজ্বালা ভাব-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যায়।
চ্যাপার জ্বরের চিকিৎসা:
এ পর্যন্ত এই ভাইরাস সৃষ্ট জ্বর বা অসুস্থতার চিকিৎসায় কোনও ভ্যাকসিন বা ড্রাগ তৈরি হয়নি। CHHF-এ আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত কিছু সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট ও থেরাপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।
advertisement
অতীতে চ্যাপারের প্রভাব:
CDC-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দু'বার এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। ২০০৩ সালের শুরুতে প্রথমবার বলিভিয়ার চ্যাপার প্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সেখান থেকেই ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। তখন চ্যাপার সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরই বলিভিয়ার লা পাজে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ সংক্রমণ দেখা যায়। ভাইরাসের থাবায় মোট পাঁচজন সংক্রমিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন রোগী ও দু'জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়।
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
শিয়রে করোনা, তার মধ্যেই ভাইরাস চ্যাপারের আতঙ্কে বিশ্ব ! দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ !
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement