#কেপটাউন: ফটোগ্রাফি অনেক ধরনের দেখেছেন। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিতে একেবারে নতুন সংযোজন করলেন ৪৬ বছর বয়সী একজন অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার। মার্ক জিম্বিকি (Mark Ziembicki) নামের ওই ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ধরা পড়ল, একটি বিশাল কুমির কী ভাবে হাঙর শিকার করে! মার্ক জিম্বিকি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্র উপকূলে সফর করেন, সেই সময়ে কিছু ছবি তিনি ক্লিক করেন।
ছবিতে দেখা গিয়েছে একটি কুমির ৪৫ কেজির একটি বাচ্চা হাঙরকে তার চোয়াল দিয়ে চেপে ধরেছে। কুমিরের শক্তিশালী চোয়ালে আটকে যাওয়ার কারণে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি হাঙরটি।
মার্ক বলেন এই দু'টি শিকার প্রাণীর সাক্ষাৎ হওয়ার পিছনে একটা কারণ রয়েছে। সেটা হল সেন্ট লুসিয়ার মোহনায় অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকায় নোনা জল এবং মিঠা জল মিশে যায়, সেই কারণে লবণাক্ত জলের প্রাণী উপকূলে চলে আসে।
View this post on Instagram
তিনি বলেন মাত্র ৬০ ফুট দূরে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সেখান থেকে Canon 5D SLR ৩০০ এমএম লেন্সের সাহায্যে এই দৃশ্যটি তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন।
ল্যাডবাইবেল -কে তিনি বলেন, সেই মুহূর্তের ছবি তুলবার জন্য তিনি কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তিনি আরও বলেন যে ছবি তোলার সময়ে দু'টি প্রাণীর আকারের গরমিল ছিল।
এই বিরল দৃশ্যের কথা তিনি স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, যে তার প্রায় ১০০ ফুট দূরে আরও একটি কুমিরের ছবি তিনি তুলছিলেন। সেই সময়ে স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা চিৎকার করে ওঠে, যে আরেকটি কুমির একটি হাঙরকে ধরেছে। তিনি ঘুরে দেখেন, কুমিরটি ওই হাঙরটিকে তার চোয়াল দিয়ে চেপে ধরেছে। কুমিরটি হাঙরটিকে ১০ মিনিট ধরে তার চোয়ালে চেপে ধরেছিল। যতক্ষণ না হাঙরের মাথাটি সে গিলতে পারছিল, কারণ কুমিরটি এটা করতে পারলে হাঙরের নড়াচড়া কমে যাবে।
নীল নদের বিপুল প্রাণী সম্পদের মধ্যে, কুমির এমন একটি প্রাণী যার কামড় ভীষণ শক্তিশালী। যা গ্রেট হোয়াইট শার্কের চেয়ে আটগুণ বেশি শক্তিশালী।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানিয়েছে যে নীল নদের কুমিরের ওজন হতে পারে প্রায় ৭৮৪ কেজি এবং আকারে ৬ ফুট মানুষের সমান হতে পারে। ভয়ানক ম্যানইটার কুমিরের গড় ওজন হতে পারে প্রায় ২২৬ কেজি। সাইটে লেখা আছে যে প্রতি বছর প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয় নীল নদের কুমিরের আক্রমণে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।