Justin Trudeau Resignation: কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'হুঙ্কার'! এবার কী করবে আমেরিকা?
- Published by:Pooja Basu
- trending-desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Donald Trump On Justin Trudeau's Resignation: জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের কারণ জানিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, “কানাডাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি দেওয়া দরকার, তার ব্যয়ভার বহন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আর সম্ভব নয়। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন। তাই পদত্যাগ করেছেন।”
নিউ ইয়র্ক: আগেও বলেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর ফের একই কথা বললেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাবাসীর কাছে তাঁর আহ্বান, আমেরিকার “৫১ তম অঙ্গরাজ্য” হিসেবে যোগ দিক কানাডা।
জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের কারণ জানিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, “কানাডাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি দেওয়া দরকার, তার ব্যয়ভার বহন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আর সম্ভব নয়। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন। তাই পদত্যাগ করেছেন।”
এরপর আমেরিকার সঙ্গে যোগ দিলে কানাডার কী কী লাভ হতে পারে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প, “শুল্ক দিতে হবে না, কর কমে যাবে। রাশিয়া এবং চিনের হুমকি থেকে আমেরিকাই কানাডাকে নিরাপত্তা দেবে।” ট্রাম্পের কথায়, “একসঙ্গে, কী চমৎকার একটা দেশ তৈরি হবে।”
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনIndia Bangladesh Relations: পাকিস্তানের ‘বন্ধু’র থেকে অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ, চাপ বাড়ানোর নতুন খেলা
এর আগে মার-আ-লাগো রিসোর্টে জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের সময়ও ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে যদি কানাডার অর্থনীতি ভেঙে পড়ে, তাহলে ট্রুডোর উচিত হবে আমেরিকার সঙ্গে মিশে যাওয়া। এমনকী ট্রুডোকে কানাডার ‘গভর্নর’ হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই ট্রুডো সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
advertisement
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই কানাডার বাণিজ্য নীতির সবচেয়ে বড় সমালোচক। বিশেষ করে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কানাডা কড়া পদক্ষেপ না নিলে আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় এমন শুল্ক কানাডার অর্থনীতির ক্ষতি করবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ট্রুডোও।
advertisement
প্রসঙ্গত, দেশে তো বটেই নিজের দলেও ট্রুডোর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছিল। একাধিক বিষয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। শেষমেশ ঘরেবাইরে প্রবল চাপের মুখে সোমবার রাতে পদত্যাগ করতে একপ্রকার বাধ্য হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
পদত্যাগের কথা ঘোষণার সময় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, “আমার যদি কোনও অনুশোচনা থেকে থাকে… যদি দেশের সরকার নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারতাম…তবে আমি সেটাই করতাম।”
advertisement
সঙ্গে ট্রুডো যোগ করেন, “ব্যালট পেপারে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দ জানানোর সুযোগও দেওয়া উচিত ভোটারদের। বর্তমান ব্যবস্থা বদলানো উচিত, ভোটারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেকেই মেরুকরণ এবং কানাডিয়ানদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চায়।”
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 07, 2025 12:41 PM IST