পাক নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ‘ভারত’
Last Updated:
#নয়াদিল্লি: একদিকে নওয়াজ শরিফ ও ভারত। অন্যদিকে বাকিরা। গণতন্ত্র ঘিরে জটিলতা যতই থাক, পাকিস্তানের নির্বাচনে এই বিভাজন অত্যন্ত স্পষ্ট। কমবেশি সব রাজনৈতিক দলের প্রচারেই ভারত বিরোধিতাই প্রধান ইস্যু। দেশের আর্থিক সমস্যা, চরম দারিদ্র, বেকারত্ব - এসবই কার্যত পিছনের সারিতে।
পাক নির্বাচন সব অর্থেই ভারতময়। লাহোর থেকে মুলতান -- বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেস্টুন - ফ্লেক্সের ছবিতে ভারত। এই জিগির পাকিস্তানের নির্বাচনে নতুন নয়। কিন্তু এবারের ট্রেন্ড আলাদা। কাশ্মীরের সঙ্গে ইস্যু নরেন্দ্র মোদি - বিজেপিও।
বিলাবল ভুট্টো, শাহবাজ শরিফ, ইমরান খানরাও নিজেদের মতো করে রণনীতি তৈরি করেছেন। দুর্নীতি মুক্ত পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পিপিএন নেতা বিলাবল ৷ প্রায় সব বক্তৃতাতে ভারতকে আক্রমণ ইমরান খানের ৷ সহানুভূতির হাওয়া তুলে প্রচার নওয়াজ শরিফ সমর্থকদের ৷ কট্টর ভারত বিরোধী প্রচার জামাত, মুসলিম লিগের মতো দলের ৷
advertisement
advertisement
শেষ মুহূর্তে দেশে ফিরে, গ্রেফতার হয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মেয়ে জেলবন্দী। অসুস্থ নওয়াজ পত্নী কুলসুম। তবে সেই সহানুভূতির হাওয়া ভোটবাক্সে পড়বে কি? হলফ করে বলতে পারছেন না কেউই। কারণ নওয়াজ ভারত ঘনিষ্ঠ - এই প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের মতো দল।
দেশে তীব্র আর্থিক সংকট। বাড়ছে বেকারত্ব। ভোটের আগেই আইএমএফ থেকে ঋণের আবেদন জানিয়ে রেখেছে পাক সরকার। কোনও বিকল্প আর্থিক মডেল পেশ করতে পারেনি কোনও দলই। শুধু রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই অবস্থায় ভোট দিতে কতটা আগ্রহী হবে শিক্ষিত যুবসমাজ? তা বোঝা যাবে দিনের শেষেই ৷
advertisement
আরও পড়ুন
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও নির্বাচিত সরকার মেয়াদ শেষ করার পর ভোট হচ্ছে পাকিস্তানে। উত্তেজনা, সন্ত্রাসের আতঙ্কের মাঝেই আজ অর্থাৎ বুধবার পাকিস্তানের একাদশতম জাতীয় নির্বাচন ৷ রিগিং ও হিংসার আশঙ্কা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন করতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৭১ হাজার পাকিস্তানি সেনা জওয়ান ৷ পুলিশকর্মী মিলিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৷
advertisement
আরও পড়ুন
তাতেও নির্বাচনের মাঝেই রক্ত ঝরল কোয়েট্টায় ৷ বিস্ফোরণে মৃত্যু ৩৪ জনের, আহত ৩৬ ৷
view commentsLocation :
First Published :
July 25, 2018 2:45 PM IST