Magic Pond: কলকাতার একদম কাছেই, পুকুরে ডুব দিলেই শরীরে আমূল বদল, ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ
- Reported by:RAKESH MAITY
- hyperlocal
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
Magic Pond: স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, রবিবার এবং শুক্লা তিথিতে সর্বাধিক ভিড় জমে এই পুকুরে ঘাটে।
হাওড়া: পুকুরে ডুব দিলেই রোগা শরীর হবে মোটা, পুকুরে ডুবে দিয়ে হচ্ছে নানা রোগ মুক্তি। বাংলা সিনেমার কাহিনীতে দেখা গেছে পুকুরে ডুব দিলে বৃদ্ধ থেকে জোয়ান হচ্ছে মানুষ। ‘আশিতে আসিও না’ সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় এইরকমই একটা পুকুরে ডুব দিয়ে জোয়ান হয়েছিলেন৷ তবে আজ যে পুকুরের খবর দেব এটা কোনও সিনেমার গল্প নয়, বাস্তবেই রয়েছে এমন বিস্ময়কর পুকুর। রবিবার হলেই সেই পুকুর পাড়ে ভিড় জমায় মানুষ।
এই পুকুর কলকাতার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। হাওড়া জেলা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বহু মানুষ আসেন। জানা যায়, এই পুকুরে স্নান করলে রিকেট এবং মহিলাদের নানা রোগ মুক্তি ঘটে বলে বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস মেনেই দীর্ঘ দিন ধরে এই পুকুরে ডুব দিয়ে আসছে মানুষ। স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, রবিবার এবং শুক্লা তিথিতে সর্বাধিক ভিড় জমে এই পুকুরে ঘাটে।
advertisement
advertisement
বর্তমান বিজ্ঞানের সময়ও এমন ঘটনা অনেকেই ভুরু কুঁচকায় বটে। তবে বলতেই হয় ‘ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’ বহু মানুষ এই ঘটনাকে হেসে উড়িয়ে দিলেও। এমন ঘটনায় একাংশের মানুষের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে এই যুগেও। সেই সমস্ত মানুষের কাছে অতি পরিচিত বিখ্যাত এই ‘মোটা পুকুর’। যাঁরা বংশ পরম্পরায় এই পুকুরে স্নান করেছেন বলেও জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবই ঘটে মা চণ্ডীর কৃপায়।
advertisement
পুকুরের গায়েই মা চণ্ডীর মন্দির। মন্দিরের গা ঘেঁষে পাকুর গাছ। যদিও বর্তমানের সেই পাকুর গাছ শুকনো হয়েছে। তবে রীতি মেনে সেই শুকনো গাছেই তেল হলুদ দিয়ে থাকে ভক্তরা। তারপর পুকুরে স্নান করতে যান ভক্তরা।
advertisement
এখানে মা চণ্ডীকে পুজোর অর্ঘ্য হিসাবে দেওয়া হয়। আস্ত মিষ্টি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো এবং বস্তা বস্তা লবণ পুজোর অর্ঘ্য। নিয়ম অনুযায়ি পুকুরে ডুব দেওয়ার আগে হালকা শোলা বা পোঁটলায় বেঁধে চাল খুচরো পয়সা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি। কথিত রয়েছে পোঁটলায় বাঁধা চাল পুকুরের জল পেয়ে ফুলে উঠলে। ভক্তের শরীরও তেমনি ফুলবে। মা চন্ডী কে স্মরণ করে পুকুরে ডুব তাতেই রোগ মুক্তি রোগা শরীর মোটা। ব্রাহ্মণ বা পুরোহিত থাকে না এই মন্দিরে। স্নান সেরে নিজে হাতে ভক্তরা মা চণ্ডীকে পুজো দেন। এই পুকুর থেকে জল সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে মা চন্ডীকে স্মরণ করে স্নান করা যায়। রোগ মুক্তি ঘটলে নিয়মে মেনে পুজো দিতে হয় মায়ের কাছে। য
advertisement
বিস্ময়কর এই পুকুরটি রয়েছে হাওড়া জেলার বাগনান ব্লকের বাটুল গ্রামে।এ প্রসঙ্গে সেবাইত তপন সরকার জানান, এই পুকুরের মাহাত্ম্য হাওড়া জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে।বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে এমন ঘটনা অবিশ্বাস্যকর। তবে বহু মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করেই এমন ঘটনা ঘটে চলছে। সেই বিশ্বাসে রোগ মুক্তি ঘটে বলেও জানা গেছে।
advertisement
Rakesh Maity
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Aug 31, 2023 2:01 PM IST






