হাওড়া: সমাধি বাবা, উলুবেড়িয়া বাউরিয়ার বিখ্যাত সমাধি বাবা। ভাগীরথি গঙ্গা নদী সংলগ্ন নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত এই আশ্রম। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। জানা যায় প্রতিষ্ঠাকাল ১২৬৫ সাল নাগাদ। শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ গোস্বামী মহন্ত মহারাজ আশ্চর্যজনক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। বিখ্যাত এই বাবা শিবের উপাসক ছিলেন। বাউরিয়ার এই আশ্রমে তিথি মেনে দুর্গা ও সরস্বতী পুজোও করতেন।
শোনা যায়, এই সমাধি বাবা বর্ধমান জমিদার বাড়ির ছেলে ছিলেন। যদিও তিনি এ কথা কখনও স্বীকার করেননি নিজ মুখে। এমনকি তাঁর অসংখ্য ভক্ত ও সেবাইতের মধ্যে প্রধান সেবাইত মনমত নাথের জিজ্ঞাসাতেও পিতৃপরিচয় জানাননি মহারাজ। সে সময়ে স্থানীয় জমিদার বাড়ির সদস্যরাও বাবার শিষ্য ছিলেন। কারও কাছে কোনোভাবে তার পিতৃ পরিচিত জানতে দেননি বাবা।কথিত রয়েছে শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ গোস্বামী মহন্ত মহারাজ, তাঁর আশ্রম থেকে নদী পেরিয়ে বজবজে নিত্যদিন শিব পুজোয় যেতেন। সেখানে একটি শিবা লিঙ্গকে তিনি স্নান করিয়ে পুজো করতেন। বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতায় বিশাল নদী তিনি হেঁটে পারাপার করতেন বলেই কথিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, তৃতীয় ওডিআইতে কী বদল, পিচ ভিলেন না বন্ধু
১৯১৩ সাল, সেদিন কালীপুজোর রাত। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আশ্রমের প্রবেশ করেন বাবা। বন্ধ করে দেন আশ্রমের জানালা দরজা। আশ্রমে সে সময় উপস্থিত সেবাইতদের তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাইরে নাম গান করতে, ঠিক আধঘণ্টা পর আশ্রমের দরজা খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন বাবা। এই বলে তিনি আশ্রমের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করেন। সেবাইতরা নির্দিষ্ট সময় আশ্রমের দরজা খুলে দেখেন বাবা ধ্যানমগ্ন। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। বাবার দেহে ছিল না প্রাণ। বাবার নির্দেশ মত সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah, Howrah news