হোম /খবর /হাওড়া /
ডিমের খোসা নাকি গজদন্ত ! অসামান্য হাতের কাজে তাক লাগাচ্ছেন হাওড়ার এই শিল্পী

Handicrafts with Eggshells: ডিমের খোসা নাকি গজদন্ত ! অসামান্য হাতের কাজে তাক লাগাচ্ছেন হাওড়ার এই শিল্পী

X
ডিমের [object Object]

Handicrafts with Eggshells: ডিমের খোসায় অসামান্য কারুকার্য, শৌখিন এই শিল্পকর্ম মুগ্ধ করছে দর্শকের মন। শৌখিন নকশা ধরে কাটিং।  এক কথায় ডিমের সূক্ষ্ম খোলোকের উপর খোদাই।

  • Share this:

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: ডিমের খোসায় অসামান্য কারুকার্য, শৌখিন এই শিল্পকর্ম মুগ্ধ করছে দর্শকের মন। শৌখিন নকশা ধরে কাটিং। এক কথায় ডিমের সূক্ষ্ম খোলসের উপর খোদাই। যা অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। তবে এমন অবাক করা কাণ্ড করে দেখিয়েছেন একজন ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সি শিল্পী। তাঁর শৈল্পিক দক্ষতায় সামান্য দুধ সাদা ডিমের খোসার যে মায়াবী রূপ বদল হতে পারে। তা নিজের চোখে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই হবে না।ধৈর্য, অসামান্য শিল্পী দক্ষতা এবং বুদ্ধি। এই তিনটি জিনিস একত্রিত না হলে হয়তো এমন কারুকার্য সম্ভব নয়।

এই শিল্পকর্ম আরও আকর্ষণীয় হয় আলোর ফোকাসের সামনে। আলোর সাজে মায়াবী হয়ে উঠছে নকশা ডিমের খোসা। আস্ত একখানা ডিম তার ওপর প্রথমে পেন্সিল দিয়ে নকশা। তারপর ডিমের ভিতরের অংশ ছোট্ট ছিদ্র করে বের করে নেওয়া। এরপর পাতলা খোলকে সতর্কতার সঙ্গে সৌখিন যন্ত্রের সাহায্যে খোদাই বা কাটিং। কাটিং যত সম্পূর্ণ তার দিকে এগোবে ততই সতর্কতা বাড়বে।

ডিমের খোসার উপরের শক্ত আবরণ কাটিং হবার পর। ভিতরের পর্দার মত আস্তরণ শৌখন ছুরি বা ব্লেডেরসাহায্যে কাটিং। এভাবেই ডিমের খোসা সেজে উঠছে আকর্ষণীয়।

আরও পড়ুন :  জারি কমলা ও হলুদ সতর্কতা! রাজ্যে লাগাতার চলবে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব, জানুন পূর্বাভাস

শিল্পী গোবিন্দ হাজরা জানান, নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা সব সময় মনে থাকে। গত কুড়ি-একুশ দিন ধরে ডিমের খোসা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। তারপর শুরু হয় কাজ। সাধারণত সারাদিন সংসার এবং প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রাতেই শিল্পচর্চা। তিনি জানান, এক একটি ডিমের খোসায় ডিজাইন কাটিং করতে।

 

এক দুদিন আবার কোনওটা এক বেলায় তৈরি হচ্ছে। এপর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২ টি ডিমের খোসায় ডিজাইন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে আরোও কিছু তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে। গোবিন্দ বাবু জানান, এই ধরনের কাজ তাঁর নেশার মতো। রাত জেগে কাজ করে যখন প্রশংসিত হন, সেটাই পাওনা। তৈরি জিনিস টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন না। প্রশংসা বা মানুষের আনন্দ পাওয়াটা ভীষণ ভালবাসেন।

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Handicrafts, Use of eggshells