Hooghly News: হারিয়ে যাচ্ছে মালাকারের পেশা, দিন দিন কমছে ডাকের সাজ তৈরি শিল্পীর সংখ্যা
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:RAHI HALDAR
Last Updated:
হারিয়ে যাচ্ছে মালাকারের পেশা। আয় কমে যাওয়ায় বহু মালাকার বাধ্য হচ্ছেন জীবিকা পরিবর্তন করতে
হুগলি: বারুইপাড়ার পলতাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মালাকার পাড়া একটা সময় দুর্গাপুজর আগে চরম ব্যাস্ত হয়ে উঠত। গোটা গ্রামজুড়ে যেন কারোর নাওয়া খাওয়ার সময় থাকত না। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রতিমার ডাকের সাজ তৈরি করে। তবে এখন সে সব অতীত হতে বসেছে। আগে একটা সময় এই গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারই মালাকার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন ডাকের সাজ শিল্পী বা মালাকারের সংখ্যা কমতে কমতে ৪-৫ টি পরিবারে এসে দাঁড়িয়েছে।
আজকাল থিমের ঠাকুরের বেশ রমরমা। কিন্তু তারই মধ্যে দুর্গার ঐতিহ্যবাহী ডাকের সাজের এক অন্যরকম আবেদন আছে। প্রাচীনকালে এই ডাকের সাজ দিয়েই সাজানো হতো মা দুর্গাকে। যে ধারাবাহিকতা আজও ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলোয় বহমান। শোলা কেটে কাগজের উপরে আঠা বসিয়ে তৈরি করা হয় এই ডাকের সাজ। এই কাজ যেমন পরিশ্রমের তেমনই এই কাজের জন্য প্রয়োজন নিখুঁত দক্ষতা। শিল্পীর সূক্ষ্ম হাতের কাজ দিয়েই ফুটে উঠে বিভিন্ন প্রতিমার রূপ। এই কাজ যতটাই সূক্ষ ততটাই সময় সাপেক্ষ। একটি প্রতিমার গোটা ডাকের সাজ তৈরি করতে তিনজন কারিগরের এক সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এত পরিশ্রম করেও দিনের শেষে খুব একটা আয়ের মুখ দেখতে পান না শিল্পীরা। অপরদিকে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত শোলার দামের মূল্য বৃদ্ধি। এই অবস্থায় ক্রমশই আয় কমছে ডাকের সাজ শিল্পীদের। আর তাই মালাকারের পেশা ছেড়ে অনেকেই অন্য কাজ খুঁজে নিচ্ছেন।
advertisement
advertisement
হুগলির বারুইপাড়ার ডাকের সাজ শিল্পী রথীন মালাকার বলেন, অন্য সমস্ত কুটির শিল্পের জন্য সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা থাকলেও এই শিল্পের জন্য কোনরকম সরকারি সাহায্য নেই। তাই মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়েই শিল্পটা টিকিয়ে রেখেছি। সরকার সাহায্য না করলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প অবলুপ্ত হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কার কথা শোনান।
advertisement
রাহী হালদার
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 21, 2023 5:40 PM IST