Hooghly News: পচা দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই চলছে ক্লাস রুম!

Last Updated:

ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক স্কুল। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৩৫০ জন। স্কুলের সামনেই পড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিদিন স্কুল আসতে হয় ভাগাড় পেরিয়ে। ময়লাস্তুপ প্রশস্ত হতে হতে ঢুকে পড়েছে স্কুলের ভেতরেই।

#হুগলি : ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক স্কুল। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৩৫০ জন। স্কুলের সামনেই পড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিদিন স্কুল আসতে হয় ভাগাড় পেরিয়ে। ময়লাস্তুপ প্রশস্ত হতে হতে ঢুকে পড়েছে স্কুলের ভেতরেই। পচা দুর্গন্ধে টেকা দায় তার মধ্যেই চলছে ছোটোদের স্কুল, মিড ডে মিল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শারীরিক অবনতি ঘটছে পড়ুয়াদের। অভিভাবক কি স্কুল থেকে অন্য স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছে। ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আবর্জনার স্তুপ। দীর্ঘদিন ধরে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর মধ্যেই চলছে স্কুল। এর মধ্যেই চলে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিল খাওয়া।
তীব্র স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই পড়াশোনা চালাচ্ছেন স্কুল পড়ুয়ারা। বর্ষাকালে নেমে আসে খাঁড়ার ঘা। বর্ষার জলে নোংরা আবর্জনা ঢুকে পড়ে স্কুলের ভেতরে। অভিভাবকরা বর্ষা কাল পড়তেই স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন ছাত্র-ছাত্রীদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, বাচ্চারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিদ্যালয়ে তারা খেতে চায় না।স্কুল ছাড়িয়ে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে নিয়ে চলে যাবেন বলেও ঠিক করেছেন কয়েকজন। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের আবর্জনার মধ্যেই চলছে স্কুল।
advertisement
প্রধান শিক্ষিকা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তার স্কুলে ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শ্রেনী কক্ষের অভাব রয়েছে। যে শ্রেণী কক্ষগুলি রয়েছে সেগুলিতে ময়লা আবর্জনা ভর্তি হওয়ার দরুন সেখানে ক্লাস করানো যায় না।স্কুলের সামনে জলা জমি রয়েছে সেখানে আগাছায় ভরে থাকে। সাপখোপের ভয় থাকে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যদি ভরাট করে দেওয়া হয় বাচ্চারা খেলতে পারে, কিন্তু তাও করা হয়নি। পরে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে আবর্জনা ফেলে নীচু জমি ভরাট করবে বলা হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেআইনি মদের ঠেকের প্রতিবাদ করায় চরম পরিণতি প্রতিবাদীর!
সেই কাজ তিন মাসে শেষ করার কথা ছিল। গরমের ছুটিতে কাজ শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এইরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিদ্যালয় চালানো যায় না। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,রেলের জমিতে এই স্কুল খুবই নিচু জায়গায় অবস্থিত। একটা সময় জলে ডুবে থাকত। সরকারি খরচে নতুন ঘর তৈরি করে সেখানে স্কুল চালানো হচ্ছে।বাচ্চাদের খেলাধুলার পথ নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধসের ফলে আতঙ্কিত উত্তরপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা
তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্কুল চলছে সেটা আমি জানতাম না। আগামীকাল স্কুলে গিয়ে দেখব তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। হুগলির জেলা শাসক জানান, ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন। এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একদমই ভালো নয়। খুব শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
Rahi Haldar
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: পচা দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই চলছে ক্লাস রুম!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement