Hooghly: মাহেশের ৬২৬ তম ঐতিহ্যবাহী মহাপ্রভুর স্নান যাত্রা উৎসব
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঐতিহাসিক মাহেশের রথ তলায় বসেছিল স্নান যাত্রার আসর। ৬২৬ বছরের প্রাচীন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকেই জগন্নাথ মন্দির চত্বরে নেমেছিল ভক্তদের ঢল।
হুগলি: মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঐতিহাসিক মাহেশের রথ তলায় বসেছিল স্নান যাত্রার আসর। ৬২৬ বছরের প্রাচীন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকেই জগন্নাথ মন্দির চত্বরে নেমেছিল ভক্তদের ঢল। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুরু হয়ে যায় প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রানীর বিশেষ পূজা অর্চনা। অতি পবিত্র এই দিনটি যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে মাহেশে। এই দিন ভক্তরা এসে প্রভু জগন্নাথের কাছে তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য পুজো দিয়েছেন। প্রথামত সকাল থেকে পুজোপাঠ চলার পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রানীকে নিয়ে আসা হয়েছিল মন্দির সংলগ্ন প্রাচীন স্নান মন্দিরে। হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে জয় জগন্নাথ ধ্বনির মধ্য এখানকার সেবায়ইত এবং ব্রাহ্মণদের দ্বারা স্নানপর্ব সমাধা হয় ।এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে মাহেশ জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানালেন মাহেশের রথযাত্রা উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে ।
পুরীতেও এত সমারোহে স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হয় না। এখানকার স্নানযাত্রার যে জল সেই জল আসে রিষড়ার কুমোর পরিবার থেকে। তারা গঙ্গায় যে ষাঁড়াষাঁড়ি বান হয সেই জল সারা বছর ধরে মাটির ঘড়া ভরে সংগ্রহ করে রাখেন। সুগন্ধি দিয়ে কলাপাতায় মুড়ে সেই আটাশ ঘড়া জল এবং দেড় মণ দুধ দিয়ে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা রানীকে স্নান করানো হয়। এবারও প্রথা মেনে তা হয়েছে। আগামীকাল থেকে জগন্নাথ দেবের মন্দির পনেরো দিনের জন্য বন্ধ থাকবে । এই সময়টাকে বলা অনবসর সময় ।
advertisement
advertisement
এই সময় মন্দিরের ঘন্টা উলুধ্বনি কিছুই ধ্বনিত হবেনা। ইশারাতে ই প্রভুর পুজো হয়। শুধু তাই নয় রীতি অনুযায়ী স্নান এর পরে মহাপ্রভুর জ্বর আসে। ঘাটাল, মেদিনীপুর এবং আরামবাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৈদ্যরা এসে প্রভুর চিকিৎসা করেন, এবং পাচন সেবন করান। এর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় জগন্নাথ দেবের অঙ্গরাগ ।আমাদের এখানকার মহাপ্রভু ছয়শ ছাব্বিশ বছরের প্রাচীন ।পুরীতে যেমন বারো বছর অন্তর বিগ্রহ তৈরি হয়। আমাদের এখানে জগন্নাথ দেব কিন্তু এই ছয়শ ছাব্বিশ বছর একই বিগ্রহ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাষ জমিতে! আহত প্রায় ৪০
অঙ্গরাগের সময় প্রভুকে নুতনভাবে রং করা হয় ।এবং তা হয় সম্পূর্ণ ভেষজ রঙ্গে। তেঁতুল বীজ থেকে আঠা, কাজল লতার কালি, ভুসোকালি থেকে কালো রং,পুনম থেকে লাল রং শঙ্খ গুঁড়ো থেকে সাদা রং এগুলি ব্যবহার করা হয় । পনেরো দিন পর ২৯ শে জুন আবার মন্দির খুলবে, এবং দুদিন মহা ধুমধামের সঙ্গে মন্দিরে নবযৌবন উৎসব পালিত হবে। তার পরের দিন সোজা রথে প্রভু মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এই ভাবেই যুগ যুগ ধরে ঐতিহাসিক মাহেসের স্নানযাত্রা এবং রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
advertisement
Rahi Haldar
Location :
First Published :
June 15, 2022 1:08 AM IST