Yaas relief: ইয়াস ত্রাণবন্টন কি বদ্ধ দিনে ভ্রমণ অছিলা! নেটদুনিয়ায় নতুন তরজা

Last Updated:

একাংশের কাছে সাধুবাদযোগ্য এই ছবিই সমালোচকদের কাছে ‘ডিজাস্টার ট্যুরিজম৷’ অনেক দিন ঘরবন্দি, কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয় না, এই দমবন্ধ পরিস্থিতি ভাঙার চাবিকাঠিই নাকি কার্যত দিয়েছে ‘ইয়াস’৷

অতিমারি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিধানে ঢুকিয়ে দিয়েছে ‘আইসোলেশন’, ‘সেফ হোম’, ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’-এর মতো শব্দ ৷ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের হাত ধরে এল ‘ডিজাস্টার ট্যুরিজম’৷ পর্যটনও নাকি বিপর্যয়কেন্দ্রিক ৷
যাঁরা ত্রাণ নিয়ে দুর্গতদের কাছে পৌঁছচ্ছেন, তাঁরাই বিপর্যয়-পর্যটক ৷ নেটিজেনদের একাংশের দাবি সেরকমই ৷ তাঁদের বক্তব্য, ফেসবুক খুললেই দেখা যাচ্ছে খ্যাতনামীরা পৌঁছে গিয়েছেন ইয়াস-ধ্বস্ত এলাকায় ৷ একাংশের কাছে সাধুবাদযোগ্য এই ছবিই সমালোচকদের কাছে ‘ডিজাস্টার ট্যুরিজম৷’ অনেক দিন ঘরবন্দি, কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয় না, এই দমবন্ধ পরিস্থিতি ভাঙার চাবিকাঠিই নাকি কার্যত দিয়েছে ‘ইয়াস’৷
advertisement
কিন্তু কাউকে না কাউকে তো পথে নামতেই হবে ৷ কোভিডবিধির দোহাই দিয়ে ঘরে থাকলে দুর্গতদের কী হবে? অন্তরাত্মার এই আহ্বান থেকেই গত কয়েক দিন ত্রাণবণ্টনে সামিল হয়েছেন টালিগঞ্জের বেশ কয়েক জন তারকা ৷
advertisement
গত কয়েক দিন ধরেই সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র ইয়াসবিধ্বস্ত প্রত্যন্ত অংশে পৌঁছে গিয়েছেন সাহায্যপ্রসারিত হাত বাড়িয়ে ৷ ‘‘ডিজাস্টার ট্যুরিজম? তাহলে সেটাই করছি ৷ গানবাজনা করতে পারছি না তো, তাই বিপর্যয়ের পর্যটক আমরা ৷ মেনে নিলাম৷’’ বিদ্রূপকণ্ঠে বললেন তিনি ৷ মনে করেন, যাঁদের কোনও কাজ নেই, হাতে অঢেল সময় তাঁরাই এই শব্দবন্ধগুলো দিয়ে ট্রোলিং করেন ৷
advertisement
আসলে দোষটা এই সময়ের ৷ কেউ ভাল নেই তো ৷ তাই মনের রাগ, উষ্মা, ক্ষোভ, অতৃপ্তি সব বেরিয়ে আসছে ট্রোলিংয়ের ৷ লোপামুদ্রার মতো একই সুরে কথা বললেন ঋতাভরী ৷ তিনি মনে করেন, সেলেব্রিটিরা সহজ নিশানা ৷ একজন সাধারণ মানুষ তাঁর বিয়ে, সন্তানের অন্নপ্রাশন-সহ সব অনুষ্ঠানের রাশি রাশি ছবি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ সে বেলা দোষের কিছু নেই ৷ আর তারকা করলেই সেটা প্রচার? প্রশ্ন ঋতাভরীর ৷
advertisement
‘‘ সেলেব্রিটি প্রচার চাইলে নিজের ব্যক্তিগত কথা জানাবেন ৷ দু্র্গতদের মাঝে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিলি করবেন কেন? কোনটায় বেশি পাবলিসিটি? সেলেব্রিটির বিয়ের খবরে? নাকি ত্রাণবন্টনে?’’ স্পষ্ট কথা ঋতাভরীর ৷
ফেসবুকে ছবি শেয়ার করা মানেই প্রচার? ঋতাভরীর এই প্রশ্নটা লোপামুদ্রারও ৷ ‘‘ধরুন, একজন তারকার কথায় অনেকেই টাকা দান করেছেন ৷ তাঁরা দেখবেন না তাঁদের অর্থ কোথায় ব্যবহৃত হল? তাঁদের অর্থ যে সঠিক জায়গায় খরচ করা হয়েছে, সেটা জানানোও তো একটা দায়িত্ব৷’’ মন্তব্য লোপামুদ্রার ৷
advertisement
সেলেব্রিটিরা যদি ত্রাণে সামিল হয়ে প্রচার পান, অন্যদিকে কেউ কেউ তো প্রয়োজনীয় সামগ্রীটুকুও পাচ্ছেন৷ সেটা কি খুব খারাপ? লোপামুদ্রার বক্তব্যটা পল্লবী চট্টোপাধ্যায়েরও মনের কথা ৷ অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে যদি মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাতেও সমালোচনা করতে হবে?’’ কথায় কথায় এল তাঁর অভিনেতা বিশ্বজিতের প্রসঙ্গও ৷ পল্লবীর স্মৃতিমেদুর গলা, ‘‘ বাবাকেও দেখেছি বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে৷ আসলে, সেলেব্রিটিরা সব সময়েই মানুষের পাশে দাঁড়ান ৷ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেগুলো আসছে বলে তির্যকভাবে দেখা হচ্ছে৷ তাই লোকের কথায় কান দিয়ে লাভ নেই ৷’’ কর্ণপাত না করার প্রসঙ্গে অনড় লোপামুদ্রা ও ঋতাভরীও৷ ‘‘অপছন্দ হলে আনফলো করলেই হয় ৷ তা না, দেখবে, আবার ডিজাস্টার ট্যুরিজম বলে ট্রোলিংও করবে ৷’’ তিক্ত হয় শতরূপাকন্যার কণ্ঠস্বর ৷
advertisement
শুধু সেলেব্রিটিরাই নন ৷ করোনা ও ইয়াসত্রাণে সামিল হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষও ৷ ত্রাণপর্বের এই সময়ে একটুও বেনো জল কি মেশেনি ? সন্দেহ অভিনেতা ও থিয়েটারকর্মী বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বললেন, ‘‘আমি নিজে আমফানের সময় ত্রাণবিলি করেছি৷ দেখেছি, অনেক তরুণ প্রজন্মের অনেকে সেই কাজে অংশ নিয়েছেন ৷ খুব ভাল ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ ৷’’ কিন্তু অভিনেতার আক্ষেপ, অনেকের সদিচ্ছার আড়ালে লুকিয়ে থাকে কারও কারও দুর্বুদ্ধিও ৷ ‘‘ ত্রাণবন্টনের অপব্যবহার করে নিজের আখের গোছানো কিন্তু শোভনীয় নয় ৷ খুব অমানবিক৷’’ খেদোক্তি বিপ্লবের ৷
advertisement
কিন্তু সেলেব্রিটি বা সাধারণ মানুষকে ত্রাণে সামিলই বা হতে হবে কেন? এ কাজ তো সরকার ও প্রশাসনের ৷ তাঁরা কী করছেন ? প্রশ্ন বিপ্লবের ৷ অভিনেতার কথায়, ‘‘ আজ সরকার ও প্রশাসন যদি নিষ্ক্রিয় না হত, তাহলে এই ছবি দেখতে হত না ৷ ডিজাস্টার ট্যুরিজম বলে ট্রোলিং খুব দুর্ভাগ্যজনক ৷ ত্রাণ কোনও করুণা নয়, আমাদের নাগরিক অধিকার৷ ’’
বিপন্নদের নাগরিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিতেই ত্রাণকাজে সামিল হওয়া শুভবুদ্ধিসম্পন্নরাই সংখ্যাগুরু ৷ সুবিধাবাদীরা সংখ্যায় কম, মনে করেন বিপ্লব ৷ কিন্তু তাঁর ধারণা, সরকার ও প্রশাসন সক্রিয় ও উদ্যোগী না হলে ফি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে এই ত্রাণ ও তার পিঠোপিঠি ট্রোলিং ঘুরেফিরে আসবে উৎসবের মতোই ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
Yaas relief: ইয়াস ত্রাণবন্টন কি বদ্ধ দিনে ভ্রমণ অছিলা! নেটদুনিয়ায় নতুন তরজা
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement