শুরুতে গামছা...শেষে গামছা...গামছার অফুরন্ত পোশাকের সম্ভার নিয়ে পুজোর বাজারে হাজির ‘থ্রেড বাবা’

Last Updated:
#কলকাতা: পুজো তো এসেই গেল ৷ পুজোর সময় দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়ই তার প্রমাণ দিচ্ছে ৷ ঝড়, বৃষ্টি যতই হোক, পুজোর কেনাকাটায় কোনও গাফিলতি করা না-পসন্দ আম বাঙালির ৷ পুজো তো মোটে চার দিনের, কিন্তু পুজোর ভালবাসা প্রথম শুরু আকাশের নীল রঙে ভেসে বেড়ানো পেঁজা তুলো দিয়ে, তারপর ধীরে ধীরে সেটা ছড়িয়ে পড়ে পুজাবার্ষিকীর মলাটের ভাঁজে, কাশের পালক পালক কেশরের দোলায়, নতুন জামার আনকোড়া গন্ধের মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভালবাসা আর সারা বছরের তুলে রাখা আদরটা ৷
তাই অনেক যত্নে জামা, জুতো, বেল্ট, ব্যাগ, গয়নাগাটি সব নতুন হয়ে উঠতে থাকে ৷ ত্বক, চুল, নখ... তারাও নতুন হয়ে ওঠে ৷ পুজোর সেই নতুনত্বের ভিড়ে যাঁরা একটু অন্যরকমভাবে জামাকাপড়-গয়নাগাটির স্বাদ দেন তাদের মধ্যে একজন ‘থ্রেড বাবা’ ৷
02
advertisement
যাঁর হাত ধরে ‘থ্রেড বাবা’র পথচলা শুরু, তিনি ঋক ৷ কী ভাবে ফ্যাশন, স্টাইল, ডিজাইন, কস্টিউম... কথা গুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন? ঋক বললেন, ‘‘পুজোর নতুন জামাকাপড়, মায়ের সঙ্গে পুজোর শাড়ি কিনতে যাওয়া দিয়েই শুরু ৷ সে সময় খুব মন দিয়ে জামাকাপড়গুলো দেখতাম ৷ আমার পছন্দ ভাল ছিল বলে মার ব্যাগ ভর্তি হত আমার পছন্দ দিয়েই...সব্বাই প্রশংসা করত ৷ সেই থেকেই শাড়ির সঙ্গে ভালবাসা শুরু ৷’’ সেখানেই লুকিয়ে ছিল ‘থ্রেড বাবা’র জন্মের বীজটা ৷
advertisement
03
অনেকেই জানেন, আবার অনেকে জানেন না...গামছাই ‘থ্রেড বাবা’র আসল স্টাইল স্টেটমেন্ট ৷ গামছাকে কেন্দ্র করেই ‘থ্রেড বাবা’র যাবতীয় কাজ ৷ চার বছর আগে ‘থ্রেড বাবা’ হাঁটতে শুরু করেছিল ৷ আজ ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে নিজের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু গড়ে তুলেছে ৷ নিজেদের কাজকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, পরিচিতি দিয়েছে ৷ নিউটাউনের সাপুরজিতে ‘থ্রেড বাবা’র স্টুডিও রয়েছে ৷ এখানে এসে ভরপুর বাঙালিয়ানায় সাজবেন তো বটেই ৷ সঙ্গে পাবেন মায়ের হাতের খাঁটি বাঙালি খাবারও ৷
advertisement
‘থ্রেড বাবা’র ইউএসপি হল বাংলার আদি শিল্প তাঁতকে, বিশেষ করে গামছা তাঁতকে মেইনস্ট্রিম ফ্যাশনে অন্তর্ভুক্ত করার পিছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন ঋক ৷ প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার গামছা শিল্পরা এখন ‘থ্রেড বাবা’র সঙ্গে যুক্ত ৷ এমনও অনেক শিল্পী আছেন, যিনি হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কোনও তাঁতের শেষ প্রজন্ম, রয়েছেন আদিবাসী শিল্পীরাও ৷ এঁদের নিয়েই পথ চলেন ঋক, পথ চলে ‘থ্রেড বাবা’ ৷
advertisement
01
পুজোয় এ বছর ‘থ্রেড বাবা’র বিশেষ কালেকশন হল গামছা জরি এমব্রয়ডারি ঘাঘরা আর শেরওয়ানি ৷ যাঁরা এখনও পুজোর শপিং শেষ করেননি তাঁদের জন্য ‘থ্রেড বাবা’র কর্ণধার ঋক দিলেন কয়েকটি টিপস-
• মা, কাকিমা, মাসি-পিসি, বয়স্ক মানুষরা ডিপ রঙের, নানা ডিজাইনের গামছা ব্লাউজ ট্রাই করতে পারেন ৷
advertisement
• মাঝ বয়সী যাঁরা, বা পড়ুয়া মেয়েরা অফবিট রং ট্রাই করুন ৷ শাড়ি পরলে গামছা শাড়ি পরুন, সঙ্গে থাকুন থ্রি-কোয়ার্টার হাতা হ্লাউজ ৷ বা একই রঙের ব্যাক কাট গামছা ব্লাউজ পরুন ৷ সঙ্গে থাকুন বোহেমিয়ান গামছা জুয়েলারি ৷
• আর যদি ড্রেস পরেন তাহলে ওয়াল্ড কালার বেছে নিন ৷ ভাইব্র্যান্ট গামছা চেক ড্রেসও পরতে পারেন ৷ সকালে পরুন লুস ফিট গামছা ড্রেস, রাতের জন্য শর্ট ড্রেস ভাল লাগবে ৷
advertisement
• বাবা-কাকাদের জন্য রয়েছে দারুণ গামছা পঞ্জাবীর কালেকশন ৷ অষ্টমীর অঞ্জলীতে বেছে নিন ‘থ্রেড বাবা’র গামছা ওয়েভড ধুতি ৷
• মাঝবয়সী ছেলেরা জিনসের সঙ্গে লুস ফিট গামছা শার্ট স্লিভস রোল করে পরতে পারেন ৷
এবারের পুজোতে দু’টো রং খুব ভাল চলবে ৷ মহিলাদের শাড়িতে থাকুক লাল গামছা আর ইন্ডিগো টাই ডাইয়ের কম্বিনেশন ৷ ড্রেসে থাকুন সবুজ গামছা রং ৷ ছেলেদের পাঞ্জাবী অবশ্যই লাল ৷ আর ধুতি হবে সাদা-লাল কম্বিনেশনে ৷ এসব পেতে গেলে আজই চলে আসুন নিউটাউনের ‘থ্রেড বাবা’র স্টুডিওতে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
শুরুতে গামছা...শেষে গামছা...গামছার অফুরন্ত পোশাকের সম্ভার নিয়ে পুজোর বাজারে হাজির ‘থ্রেড বাবা’
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement