কাটোয়ায় টোল পণ্ডিতের প্রাচীন পুজো ! গণেশ নয়, কার্তিকের পাশে থাকেন কলাবউ
Last Updated:
বয়স প্রায় সাড়ে তিনশো। পুজো ঘিরে গল্প-মিথের মিলমিশে এক অন্য আভিজাত্য
বয়স প্রায় সাড়ে তিনশো। পুজো ঘিরে গল্প-মিথের মিলমিশে এক অন্য আভিজাত্য। ঐতিহ্যের অবশিষ্ট নেই কিছুই। পড়ে আছে শুধু কিছু নিয়মকানন। রীতিনীতি। সেটাই একমাত্র সম্বল পূর্ব বর্ধমানের সুদপুরে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোয়।
সময় এগিয়েছে নিজের নিয়মে। পুজোর অস্থিমজ্জায় আজ সময়ের বলিরেখা। তবু আজও বর্ধমান রাজবাড়ির রীতি মেনে দুর্গাপুজো হয় পূর্ব বর্ধমানের সুদপুর গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারে। পুজোর প্রাণপুরুষ পণ্ডিত কার্তিকচন্দ্র ন্যায়ালঙ্কার। পেশায় পণ্ডিত। বৈষয়িক জ্ঞানে পারদর্শী হওয়ায় তাঁকে সুদপুর, রাধাকৃষ্ণপুর, কল্যাণবাটি ও বনকাটি মৌজার পত্তনিদার নিয়োগ করেন তৎকালীন বাংলার নবাব শায়েস্তা খান। বাংলাদেশের দিনাজপুরের সেরেস্তাবাদ থেকে সুদপুরে এসে টোল খোলেন পণ্ডিত।
advertisement
এলাকায় ধীরে ধীরে প্রতিপত্তি বাড়ে কার্তিকচন্দ্র ন্যায়াঙ্কারের। প্রতিপত্তি ধরে রাখতে এলাকায় দুর্গাপুজো শুরু করেন। মাটির ঘরে খড়ের ছাউনি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ১৭০৮ সালে পুজোর জন্য ষাট বিঘে নিঃশুল্ক জমি দান করেন বর্ধমানের রাজা। রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাড়ে পুজোর জাঁকজমক।
advertisement
মহাষ্টমীতে রাজবাড়ির তোপধ্বনির আওয়াজে পুজো শুরু হত ভট্টাচার্য বাড়িতে। আজও বর্ধমান রাজপরিবারের নামেই পুজোর সংকল্প হয়। এ পরিবারের কলাবউ থাকে কার্তিকের পাশে। রয়েছে বিশেষকিছু রীতি-নীতি।
advertisement
টোল পন্ডিত পরিবারের পুজোর জৌলুস আজ রূপকথা। তবু ভট্টাচার্যদের ঠাকুরদালান বছরভর উমার অপেক্ষায় প্রহর গোনে।
view commentsLocation :
First Published :
September 19, 2019 5:50 PM IST

