ধুনুচি নাচ আর মাতিয়ে তোলে না সন্ধের বারোয়ারি !

Last Updated:
#কলকাতা: লালপেড়ে সাদা শাড়ি, এক কপাল সিঁদুর আর দুর্গা প্রতিমার মুখ ব্যস গ্লোবাল বাঙালি সম্পূর্ণ ৷ আর নব্য বাঙালির পুজো মানে, অষ্টমীর দিন সকালে শার্ট-প্যান্ট ছেড়ে ধুতি পরে পুষ্পাঞ্জলি,আর জনাকয়েক বন্ধু মিলে কোনও ডিজাইনার রেস্তোরাঁয় উদরপূর্তি ৷ এর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুজোর ছোট ছোট বিশেষত্ব ৷ বারোয়ারি মন্ডপে পুজোর সময় মন মাতানো ধুনুচি নাচ ৷ এ ছবি আজকাল আর কত জায়গায় দেখা যায় বলুন তো!
বনেদিবাড়ি আর গুটিকয়েক ফ্ল্যাটবাড়ির দুর্গাপুজো ছাড়া ধুনুচি নাচ তো এখন প্রায় বেপাত্তা ৷ বাঙালির পরিধি বেড়েছে , আধুনিকতাও বেড়েছে । সেখানে জাতির বিশিষ্টের বাজনা বাজালে বাঙালি হয়ে থেকে যেতে হবে ভারতীয় বা বিশ্ব ভারতীয় হওয়া যাবে না । সেই দৌড়ে দৌড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে এই অমূল্য সংস্কৃতি । এবার নাচের কথায় আসা যাক ।
advertisement
DUNOCHI_1
advertisement
ধুনুচি নাচ কি? পূর্ব ভারত মূলত বাংলায় দুর্গা পূজা চলাকালীন ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে যে আরতি নৃত্য করা হয় সেটিই ধুনুচি নৃত্য । এটিকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি নৃত্য বললেও ভুল বলা হবে না । মাটির তৈরি ধুনুচিতে, নারকেল ছোবড়া আর ধুনো দিয়ে যে আরতি নৃত্য করা হত, সেই নস্ট্যালজিয়ায় এখনও ডুব দেন পাড়ার বয়োজ্যাষ্ঠরা ৷ সেই কথা বলতে বলতে বুঁদ হয়ে যান অনেকেই ৷ পাড়ার মন্ডপে ধুনুচি নাচে জিতে পাওয়া প্রথম পুরস্কারের গুরুত্বটা তো এক্কেবারে আলাদা ৷
advertisement
অনেকেই এই ধুনুটি নাচকে লোকনৃত্য বলে আখ্যায়িত করতেই পছন্দ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তাঁদের যুক্তি-লোকনৃত্যের যদি একটি সাধারণ সংজ্ঞা খোঁজা হয়, তা হলে সেটি এ রকম হল যে, কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ কোনও অনুষ্ঠান কোনও আচার বা উৎসবকে কেন্দ্র করে মনের আনন্দে দলবদ্ধ ভাবে যে নৃত্য করে তাই লোকনৃত্য । এই ছকে যদি ধুনুচি নৃত্যৃকে রাখা হয়, তা হলে দেখা যাবে যে এটি দুর্গা পূজার সময় বাঙালিরা মনের আনন্দে ঢাকের সঙ্গে দলবদ্ধ বা এককভাবে নেচে থাকে । সুতরাং একে উপলোক নৃত্য বলাই যায়।আজ থেকে ১০ কি ১৫ বছর আগেও বাঙালী ছেলেরা ধুতি পরে দু হাতে ধুনুচি নিয়ে ঢাকের তালে নাচ করত । ঢাকি দের বাজনাও ছিল রীতিমত শাস্ত্রীয় ।
advertisement
PUJA FISION
বলা হয়, ধুনুচি নাচের সময় যেভাবে ঢাকিরা ঢাক বাজিয়ে ওঠেন, তা নাকি রীতিমতো শাস্ত্রীয় ৷ তবে এখন ধুনুচি না মানেই তো, ‘ঢাকের তালে কোমর দোলে’৷ এখন তো থিমপুজোর গুঁতোতে সাবেকি আবেগগুলো হারাতে বসেছে ৷ কথায় আছে,‘একে তো মা মনসা, তায় আবার ধুনোর গন্ধ’৷ তেমনি জুড়িদার হয়েছে ডিজের উদ্দাম মিউজিক ৷ আর এ সবের মধ্যে পড়ে ধুনুচি নাচ দিয়ে মা দুর্গার আরতি একটু ফিকে হয়েছে বইকি!
advertisement
বাঙালি ঐতিহ্য গুলির যেমন সংরক্ষণ দরকার তেমন এই নৃত্য ধারার সংরক্ষণ প্রয়োজন । এর জন্য নিজেদের উদ্যোগী হওয়া দরকার । ডিজে’র সঙ্গে নাচ করার জন্য সারাবছর পরে আছে তাই দুর্গাপুজার চারটেদিন সাবাই মিলে ঢাকের তালে ধুনুচি হাতে নাচুন আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিখিয়ে দিন এই অসাধারণ নাচ । শুধু ‘দেব’ কেন? আপনিও বলতে পারেন “ঢাকের তালে কোমর দোলে “।
advertisement
মডেল: সুস্মেলি দত্ত, দেবিশ্রী দত্ত, রাজশ্রী মল্লিক, প্রীতি সেন, হিতেশ শর্মা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও সানি দাস ৷
ছবি: দেবমাল্য দাস ৷
স্থান সৌজন্য: লাহা বাড়ি ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
ধুনুচি নাচ আর মাতিয়ে তোলে না সন্ধের বারোয়ারি !
Next Article
advertisement
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের, খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ রাজ্যকে
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের
  • কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। চিংড়িহাটা মেট্রো প্রকল্প সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের। একইসঙ্গে রাজ্যকে খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে আদালত

VIEW MORE
advertisement
advertisement