হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
অতিমারীর মধ্যে রাতে ঘুমে ব্যাঘাত! এই রোগে ভুগছেন না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?

Revenge Bedtime Procrastination: অতিমারীর মধ্যে রাতে ঘুমে ব্যাঘাত! এই রোগে ভুগছেন না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?

আপনিও নিজের অজান্তে ‘Revenge Bedtime Procrastination’-এ নিজেকে জড়িয়ে ফেলছেন?

  • Share this:

#নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর জেরে বহু মানুষ বহু রকম ভাবে সমস্যায় পড়েছেন। কেউ চাকরি হারিয়েছেন, কেউ প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং সর্বোপরি আমরা সকলেই একটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে হারিয়ে ফেলেছি। তবে এবার এই মারণ ভাইরাসের জেরে নিজের জীবনে হওয়া এক সমস্যার কথা জানালেন ১৯ বছর বয়সের এক ছাত্রী ধ্রুবিকা শর্মা (Dhruvika Sharma)। তাঁর কথায়, “আমার মনে হচ্ছে এই মহামারীটি আসার পর থেকে আমার প্রত্যেকটা দিনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়েছে। এমনকি আমি এখন এটাও বুঝতে পারি না যে, দিনটি কী ভাবে চলে যাচ্ছে।"

দিল্লির ওই ছাত্রী এটাও জানিয়েছেন যে, অনলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ায় ফলে তাঁর ঘুমের সময়সূচি ব্যাহত হয়েছে। তাঁর কথায়, “এখন আমি ‘এক দিন’ (Single day)-এর ধারণাটি ভুলে গিয়েছি। কারণ এখন আমার বেশিরভাগ দিনই একই রকম লাগে। আমার সময়ের ধারণাটি এত খারাপভাবে বদলে গিয়েছে যে আমি আর কিছুই বুঝতে পারি না।”

এইভাবে যদি নেতিবাচক জীবন চলতে থাকে পুরো দিন তবে তা রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। তখন নিজের জন্য একটু ফ্রি সময় দরকার হয়। আপনিও যদি শর্মার অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজের জীবনযাত্রায় মিল খুঁজে পান তবে আপনিও নিজের অজান্তে ‘Revenge Bedtime Procrastination’-এ নিজেকে জড়িয়ে ফেলছেন।

কেন আমরা এই কাজ করি?

স্মৃতি জোশি (Smriti Joshi) ওয়াইসা-র (Wysa) লিড সাইকোলজিস্ট ঘটনাটি বর্ণনা করে বলেন যে, “ঘুমকে অবসর সময়ের জন্য ছেড়ে দিন, যা আপনার দৈনিক কর্মসূচির জন্য সম্ভবপর হচ্ছে না।” জোশি বলেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততম সময়সূচি, বর্ধিত কাজের দায়িত্ব, ওয়ার্ক ফর্ম হোমের মতো বিষয়গুলির জন্য এমনিতেই বাড়ি ও কাজের মধ্যে আজকের দিনে আর কোনও সুস্পষ্ট সীমারেখা নেই। “সুতরাং যখন তাঁরা কাজ শেষ করেন, তখন প্রায় শোওয়ার সময় হয়ে যায় এবং তখন সেটি তাঁরা অবসর সময় হিসাবে কাটান।”

কিন্তু কেন মানুষ শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নানা ধরনের শো দেখে নিজেকে বেশিক্ষণ জাগিয়ে রাখতে বাধ্য করছে, তার ব্যাখ্যায় এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এক্ষেত্রে 'প্রতিশোধ’ শব্দটি এর যুক্ত রয়েছে। কারণ, যখন একজন ব্যক্তি প্রচন্ড কাজের চাপের মধ্যে থাকেন তখন তাঁর মধ্যে একপ্রকার হতাশা প্রতিফলিত হয়, বিশেষ করে এখন যখন ব্যক্তিগত সময় উপভোগের সময়টি একেবারেই কমে গিয়েছে, তখন এই হতাশা যেন আরও বেশি করে ঘিরে ধরে। তবে মনে রাখতে হবে, "কেউ গিয়ে কারও কাজের দায়িত্ব নিতে পারে না। আপনার রুটিন বা কাজের দিন নিয়ন্ত্রণ করার মতো আপনি ছাড়া আর কেউ নেই।”

ধ্রুবিকা শর্মা বলেন, “কখনও কখনও আমার মনে হয় আমার কাজ করার কোনও প্রেরণা নেই। আমি এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি যে খাওয়ার মতোও কোনও ইচ্ছাও আমার থাকে না।” তার নতুন অভ্যাসগুলি কী ভাবে তাকে প্রভাবিত করছে সে সম্পর্কে শর্মা বলেন যে কলেজে এবং তাঁর ইন্টার্নশিপে তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি তা পালনে অক্ষম। তাই এবার তিনি এই সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন যা তার সৃজনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

রাতগুলি অনিয়ন্ত্রিত হলে কী ঘটতে পারে?

রাতেরবেলা বিলম্বের ফলে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয়ই প্রভাব পড়তে পারে। জোশি বলেন, "যদি এটি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তবে ঘুমের ঘাটতি হতে পারে এবং সার্কাডিয়ান রিদমসের (Circadian Rhythms) উপর প্রভাব পড়তে পারে।" তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, আপনার ঘুম থেকে উঠার পরের অনুভূতিই ঘুম অপর্যাপ্ত বা ভালো মানের হয়েছে কি না তা বোঝার জন্য একটি সাধারণ লক্ষণ। বিভ্রান্তি বা মনোযোগের অভাব এমন সাধারণ লক্ষণ যা আপনার মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে।"

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Sleep