Satellite Broadband: স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড কী? কী ভাবে কাজ করবে এই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রযুক্তি ?
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যই এখনও স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
#নয়াদিল্লি: স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পরিষেবা পেতে এখনও দেশবাসীকে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। থ্রিজি, ফোর জি, ফাইভ জি- প্রযুক্তিগতভাবে যতই উন্নত হোক না কেন, সেই তুলনায় পরিষেবা কিন্তু পাচ্ছেন না দেশের মানুষ। এখনও ইন্টারনেটে নানা রকম সমস্যা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন দেশের মানুষ।
যদিও আশার কথা শোনাচ্ছে মরগান স্ট্যানলি (Morgan Stanley)। সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মহাকাশ অর্থনীতির ৫০ শতাংশ স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড (Satellite Broadband) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ পর্যন্তও বাড়তে পারে। প্রতিবেদনটি পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই উৎসাহিত ব্যবহারকারীরা। কিন্তু আদতে পরিকাঠামো রয়েছে কোন স্তরে?
advertisement
advertisement
সংস্থাগত উদ্যোগ
পরিষেবা পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন গ্রাহকরা। অথচ এখনও দেশের বিস্তীর্ণ জনবহুল এলাকায় এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া মুখের কথা নয়। প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যই এখনও স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার (Satellite Broadband) করতে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগামী দিনে পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে। রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) ভারতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করার জন্য এসইএস (SES) একটি গ্লোবাল স্যাটেলাইট প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়। দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে সমানভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রাহকরা সহজেই যাতে পেতে পারেন সেদিকে নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার। ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel), ওয়ানওয়েবের (OneWeb) মতো সংস্থাও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে সচেষ্ট রয়েছে।
advertisement
স্যাটেলাইট এবং ইন্টারনেট
এই জায়গায় এসে প্রশ্ন ওঠে- কী ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করবে স্যাটেলাইট?
সহজ কথায়, স্যাটেলাইট হল এমন সংযোগকারী মাধ্যম যা মানুষের দ্বারাই ইচ্ছাকৃতভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে রাখা হয়বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রযুক্তির জন্য। এই স্যাটেলাইটগুলি মহাকাশের ম্যাপিং বা গ্রহাণুপুঞ্জ সহ উপগ্রহ এবং গ্রহগুলির ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয়। বিস্ময়কর মহাকাশ গবেষণায়ও বিশেষ সাহায্য করে স্যাটেলাইটগুলো। যদিও মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতা করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়।
advertisement
এছাড়াও এমন উপগ্রহ রয়েছে যা রেডিও সঙ্কেত প্রেরণ এবং রিলে করে পৃথিবীতে যোগাযোগে সহায়তা করে। যেমন- আবহাওয়া উপগ্রহ যা আমাদের গ্রহের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ করে এবং নেভিগেশন উপগ্রহ যা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম জিপিএস-এর (GPS) সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে মহাকাশের অবস্থানের তথ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
এই রকম ভাবেই শীঘ্রই জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট (Geosynchronous Satellites) ব্যবহার করে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য উপগ্রহগুলিকে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে, মহাকাশের নানা ছোটখাটো গ্রহের প্রদক্ষিণের মতো অজানা বহু দৃশ্য এই স্যাটেলাইট তুলে আনতে পারবে পৃথিবীতে। একই গতিতে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে যে সমস্ত গ্রহাণুপুঞ্জ এবং উপগ্রহ, সেগুলির অবস্থানও স্পষ্ট করে স্যাটেলাইট। এর জন্য নির্দিষ্ট অবস্থানে স্যাটেলাইটগুলোকে রাখা হয় মহাকাশের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। সেখান থেকেই তারা ডেটা (DETA) প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে।
advertisement
এই স্যাটেলাইটগুলো উচ্চ-গতির, কম-বিলম্বিত ইন্টারনেটকে পৃথিবীর একটি রিসিভারে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়। তারা এখন ১৫০ এমবিপিএস (MBPS) পর্যন্ত স্বতন্ত্র ইন্টারনেট প্ল্যানগুলিতে অ্যাক্সেস প্রদান করে ইন্টারনেটের গতিকে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও সহজে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট কভারেজের জন্য মাটি খুঁড়ে মিটার তার বিছিয়ে দেওয়া হলে সহজেই উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে। প্রাথমিক পরিকাঠামো এটিই, এই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে এবং তাদের ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে এভাবেই।
স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং রিলায়েন্স জিও
জিও প্ল্যাটফর্মস (Jio Platforms) বিশ্ব জুড়ে উপগ্রহ নির্ভর যোগাযোগ প্রদানকারী কোম্পানি (Satellite Broadband Services) এসইএস (SES)-এর সঙ্গে সোমবার জিও স্পেস টেকনোজলি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। এই নতুন জয়েন্ট ভেঞ্চার দেশ জুড়ে স্যাটেলাইট নির্ভর প্রযুক্তির ব্যবহার করে সস্তায় ব্রডব্যান্ড পরিষেবা প্রদান করবে। জিও প্ল্যাটফর্মস আর এসইএস-এর মধ্যে এই জয়েন্ট ভেঞ্চারের যথাক্রমে ৫১ শতাংশ আর ৪৯ শতাংশের অংশীদারি রয়েছে। এই কোম্পানি মাল্টি-অর্বিট স্পেস নেটওয়ার্কের ব্যবহার করবে। এই নেটওয়ার্কে জিয়োস্টেশনারি (GEO) আর মিডিয়াম আর্থ অর্বিট (MEO) স্যাটেলাইটের ব্যবহার করা হবে। এই নেটওয়ার্কের মাল্টি গিগাবাইট লিঙ্কের মাধ্যমে ভারত সহ প্রতিবেশী দেশের ব্যবসা, মোবাইল আর খুচরো গ্রাহকরাও যু্ক্ত হতে পারবেন।
advertisement
করোনা মহামারীর ফলে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। এই কারণেই জিও ভারতের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে চলেছে তাদের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। ভারতের বৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থা জিও এবং গ্লোবাল স্যাটেলাইট বেসড কনটেন্ট কানেক্টিভিটি সলিউশন প্রভাইডার এসইএসের জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে ভারত জুড়ে উন্নত ও আধুনিক ডিজিটাল সার্ভিস দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে উপকৃত হতে চলেছে ভারতের বিভিন্ন সেক্টর।
রিলায়েন্স জিও ছাড়া অন্য আর কোন কোন সংস্থা কাজ করছে এই লক্ষ্যে?
ভারতে উপগ্রহ ইন্টারনেট ব্যবসায় বেশ কিছু কোম্পানি প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এয়ারটেল ওয়ানওয়েবের (One Web) সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে বড় কিছু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত শুক্রবার ওয়ান ওয়েব জানিয়েছিল যে তারা ৩৪টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। ওয়ান ওয়েব একটি গ্লোবাল কমিউনিকেশন কোম্পানি। বর্তমানে মহাকাশে তাদের ৪২৮টি স্যাটেলাইট রয়েছে। অন্য দিকে, ভবিষ্যতে তাদের আরও ২২৮টি স্যাটেলাইট লঞ্চ হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চল সহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ এখনও কঠিন অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে দ্রুত ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
স্টারলিঙ্ক আর স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে এখন বিশ্বনাগরিক সকলে। ইচ্ছে করলেই ভৌগোলিক সীমানার বাইরে গিয়েও যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান করা যেতে পারে। এর জন্য যা দরকার তা হল মহাকাশে একটি উপগ্রহ এবং মাটিতে একটি রিসিভার। বর্তমানে এলন মাস্কের (Elon Musk) স্টারলিঙ্ক (StarLink) ১৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ গতির প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ৯৯ ডলার চার্জ করছে। একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি রাউটার সহ সরঞ্জামগুলির জন্য মোট খরচ হবে ৫০০ ডলার৷
আরও উন্নত প্রযুক্তির গতিসম্পন্ন ব্যান্ডউইথের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রিমিয়াম প্ল্যান পেতে খরচ প্রতি মাসে দাঁড়াবে ৫০০ ডলার এবং এটির সরঞ্জামের জন্য লাগবে ২৫০০ ডলার৷
এ তো ছিল বিদেশের হিসেব! স্টারলিঙ্ক কিন্তু তাদের উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট এবং ব্রডব্যান্ড এই দেশেও নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। বিজনেস লাইন রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছর নাগাদ, সম্ভবত এপ্রিল মাসের মধ্যেই চালু হতে পারে এই আধুনিক পরিষেবা। প্রথম বছরের জন্য এর আনুমানিক খরচ পড়তে পারে ১,৫৮,০০০ টাকা। এর মধ্যে সংযোগ সরঞ্জামের জন্য ধরা হয়েছে ৩৭,৪০০ টাকা এবং মাসিক খরচ হবে ৭৪২৫ টাকা।
স্টারলিঙ্ক ছাড়াও রিলায়েন্স জিও ২০২২ সালে তার পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত৷ ভারতী এয়ারটেলও বেসরকারি এবং সরকারি পরিষেবা ব্যবহারকারীদের জন্য নানা ধরনের নতুন ইন্টারনেট প্ল্যান প্রদানের লক্ষ্যে আরও উচ্চগতিসম্পন্ন এবং আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করার কথা জানিয়েছে। ওয়ানওয়েব প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে বলেও জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান সুনীল ভারতী মিত্তল।
এখনও পর্যন্ত সমস্যা ঠিক কোথায়?
যদিও, এটি যতটা দারুণ শোনাচ্ছে, স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে সবার জন্য পথ সহজ হবে না। প্রথমত, ফাইবার গতি প্রস্তাবিত সংযোগের তুলনায় ধীর হবেই, কয়েকদিন বাজারে পরিষেবা দেওয়ার পরেই নতুন সংযোগ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
তার সঙ্গে রয়েছে প্রতিযোগিতার বাজার। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এলন মাস্কের স্টারলিঙ্কও ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবায় প্রবেশ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্টারলিঙ্ক ২০২১-এও ভারতের বাজারে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু আইনি সমস্যার পর তাদের ব্যবসার বিস্তার বন্ধ করতে হয়। ভারতে এখনও স্টারলিঙ্ককে অফিসিয়ালি লঞ্চ করা হয়নি। এসইএস ভারতে ১০০ জিবিপিএস ক্ষমতার ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে বলে জানা যাচ্ছে। যা জিও নিজেদের শক্তিশালী সেলস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করবে। বিনিয়োগ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, এই সংযুক্ত ব্যবসা দেশের ভেতর পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভারতে ব্যাপকভাবে গেটওয়ে পরিকাঠামো বিকশিত করবে। এই চুক্তির অন্তর্গত জিও আগামী কিছু বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ল মার্কিন ডলারের গেটওয়ে আর উপকরণ কিনবে। এই সংযুক্ত ব্যবসায় এসইএস যেখানে নিজেদের আধুনিক স্যাটেলাইট দেবে, সেখানে অন্য দিকে জিও গেটওয়ে পরিকাঠামোর পরিচালনা আর বন্দোবস্ত করবে।
এই মুহূর্তে আমাদের কতটা দরকার হতে পারে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন?
সত্যি বলতে কী, স্ট্যান্ডার্ড কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চিন্তা করার দরকার নেই, যাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই সস্তা এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট প্যাকেজ রয়েছে। তাছাড়া স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের অসুবিধাগুলোও এক্ষেত্রে মাথায় না রাখলেই নয়। যেমন, কিছু কিছু স্যাটেলাইট আবহাওয়ার কারণে যথাযথ পরিষেবা দিতে পারবে না। শুরুতে নির্দিষ্ট কিছু প্রদানকারীর ন্যায্য অ্যাক্সেস থাকতে পারে, পরে যা নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের কানেকশনের গতির পরিমাণ সীমিত করেও দিতে পারে। এমনকী, সেই সময় আমাদের ব্যবহার করা ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে সুইচ ওভার করতে প্রলোভন দেখাতে পারে নতুন সংস্থাটি। সুইচ ওভার করার পর যদি দেখা যায় ব্রডব্যান্ড গতি কম, তাহলে পুরোনো পরিষেবায় ফেরা মানে বেশ অনেকটা সময় আর পয়সা নষ্ট হওয়া।
সংস্থাদের বক্তব্য
তবে কোম্পানিগুলি একটি বয়ানে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের শিখিয়েছে যে নতুন ডিজিটাল অর্থনীতিতে সম্পূর্ণ অংশীদারির জন্য ব্রডব্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছনো জরুরি। এই সংযুক্ত ব্যবসা ভারতকে ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করবে। সেই সঙ্গে দেশের জনগণকে মজবুত স্বাস্থ্য সেবা, সরকারি পরিষেবা আর মজবুত শিক্ষার সুযোগ পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করবে।
সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি উন্নত আধুনিক ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি চালু করলে শুধু ভারতে কেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণ থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। কিন্তু বিদেশি প্রযুক্তি এবং নানাবিধ সরঞ্জাম বিদেশ থেকে এদেশে আনা সমস্যা হতে পারে, যেমন- স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ লাগু রয়েছে।
view commentsLocation :
First Published :
February 15, 2022 3:02 PM IST