এই সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ সব চেয়ে প্রয়োজন, জানুন দেশের Intellectual Property আইন নিয়ে বিশদে

Last Updated:

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির শ্রেণীবিভাগ এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের আইন নিয়ে আলোচনা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)।

#নয়াদিল্লি: গাড়ি, বাড়ি, টাকার মতো আইন অনুযায়ী একজন মানুষের সৃজনশীলতায় যে শৈল্পিক বহির্প্রকাশ জন্ম নেয়, সেটাও সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়। এ হেন ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির শ্রেণীবিভাগ এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের আইন নিয়ে আলোচনা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি কী?
জনৈক নাগরিক তাঁর স্বভাবের সৃজনশীলতা এবং মননের সাহায্যে যা তৈরি করে থাকেন, তা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির আওতায় পড়ে। যে কোনও রকমের আবিষ্কার, সাহিত্য, শিল্প, ভাস্কর্য, ছবি, নকশা, প্রতীক- সব কিছুই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন তৈরি হয়েছে কেন?
জনৈক ব্যক্তির সৃজনশীলতাকে সম্মান দেওয়ার জন্য, তার অভিনবত্বের মালিকানা নির্ধারিত করার জন্য সরকার থেকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন তৈরি করা হয়। এতে এক দিকে যেমন ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি নকল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়, তেমনই তার সঙ্গে সম্পর্কিত উপার্জন উপভোগের সার্বভৌমতা সংরক্ষিত থাকে শুধু মাত্র স্রষ্টার জন্য। দেশের নাগরিকদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহও দিয়ে থাকে এই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন।
advertisement
advertisement
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি কত রকমের হয়ে থাকে?
কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন, ট্রেড সিক্রেট- এই সব কিছুই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
কপিরাইট কী?
লেখক এবং শিল্পীরা যাঁতে তাঁদের মৌলিক সৃষ্টিকে সর্বতো ভাবে উপভোগ করতে পারেন, তার অপব্যবহার রুখতে পারেন, সেই মর্মে যে একগুচ্ছ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তাকেই বলা হয় কপিরাইট। সাহিত্য, অঙ্কনশিল্প, ভাস্কর্য, নাট্যকলা, সঙ্গীত, সিনেম্যাটোগ্রাফিক ফিল্ম, সাউন্ড রেকর্ডিং এবং শিল্পের আরও বেশ কিছু ক্ষেত্র এর আওতায় পড়ে।
advertisement
পেটেন্ট কী?
যে কোনও ধরনের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে স্রষ্টার মালিকানা পেটেন্ট হিসেবে স্বীকৃত হয়। এক্ষেত্রে সেই পেটেন্ট থেকে উপার্জিত অর্থ যেমন স্রষ্টা উপভোগ করেন, তেমনই সেটা তিনি কখন কার সঙ্গে ভাগ করবেন, সেটা স্থির করার স্বাধীনতাও তাঁকে দেওয়া হয়।
জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন কী?
জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন বা GI হল কোনও বস্তুর সঙ্গে যুক্ত চিহ্নবিশেষ। ভৌগোলিক ক্ষেত্র অনুসারে উৎপাদিত দ্রব্যের নিজস্বতা প্রকাশের লক্ষ্যে এই ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
advertisement
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইনের উল্লঙ্ঘণ কী?
যখন কেউ স্রষ্টার অনুমতি ব্যতিরেকে সৃষ্টি নকল বা অন্য কোও কাজে ব্যবহার করেন, তখন তা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন উল্লঙ্ঘণের আওতায় পড়ে। ঠিক কোন ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে ভিত্তি করে অপরাধ এবং দণ্ড এক্ষেত্রে আইন দ্বারা স্থির করা হয়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি প্রয়োজন কেন?
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন না থাকলে সমাজে বুদ্ধিবৃত্তি এবং সৃজনশীলতার নিজস্বতা বলেও কিছু থাকে না। স্রষ্টার মস্তিষ্কজাত সম্পদের যাতে অপব্যবহার না হয়, যাতে শিল্পী নিশ্চিন্ত হয়ে শিল্পকাজে মন দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতেই এই আইনের প্রয়োজন হয়, আদতে এটি ব্যক্তিবিশেষের পাশাপাশি সমাজকেও সমৃদ্ধ করে।
advertisement
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষা করার জন্য দেশে কী কী আইন আছে?
১৯৫৭ সালের কপিরাইট অ্যাক্ট, ১৯৯৯ সালের ট্রেড মার্ক অ্যাক্ট, ২০০০ সালের ডিজাইন অ্যাক্ট, ২০০৫ সালের পেটেন্ট অ্যাক্ট প্রভৃতি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষা করার কাজে প্রণয়ণ করা হয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
এই সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ সব চেয়ে প্রয়োজন, জানুন দেশের Intellectual Property আইন নিয়ে বিশদে
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: দুর্গা পুজোর ভিড়ে নজরদারি করতে শিয়ালদহ ডিভিশনে চালু ওয়ার রুম!
দুর্গা পুজোর ভিড়ে নজরদারি করতে শিয়ালদহ ডিভিশনে চালু ওয়ার রুম!
  • দূর্গাপুজো উপলক্ষে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়ের ঠিক আগে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শিয়ালদহ বিভাগ এই বিশেষ ‘ওয়ার রুম’-এর প্রাথমিক ধাপ সফলভাবে চালু করেছে। এই পদক্ষেপ শিয়ালদহ বিভাগের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করছে যাতে উৎসবের সময় প্রতিটি যাত্রীর যাত্রা হয় সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন।

VIEW MORE
advertisement
advertisement