Influenza Related Infos: বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ! ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ কতদিন ভোগাতে পারে, জেনে নিন
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রমণ করার ২ দিন পর শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
#কলকাতা: কোভিড কালে বাড়ছে বিভিন্ন জ্বরের প্রকোপ। ঋতু পরিবর্তনের জেরে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। এর মধ্যে অন্যতম সাধারণ সমস্যাটি হল জ্বর। যেহেতু বর্ষা বিদায় নিয়ে ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করেছে তাই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এরই মাঝে প্রায় প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেশে খুব শীঘ্রই আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। তাই এই পরিস্থিতিতে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মুখে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টার নতুন প্রজাতি,বলছেন বিশেষজ্ঞরা
গোটা বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি এখন খুবই সঙ্কটজনক। এরই মাঝে কোভিডের মাঝে যদি প্রচুর মানুষ সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সময়ে সাধারণ জ্বর হলে তা খুবই একটা সমস্যা তৈরি করে না। এবং মারাত্মক প্রভাব ফেলে না।
advertisement
এটাও মাথায় রাখতে হবে কোভিড ভাইরাসের মতো সাধারণ জ্বরের ভাইরাস একজন থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে সকলকে সাবথান থাকতে হবে। ভাইরাস থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেই সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
advertisement
সাধারণ জ্বর কত দিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে?
advertisement
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মাধ্যমে সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত হয় সাধারণ মানুষ। মূলত চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা A এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা B। এই দুই ভাইরাস সবথেকে বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে। কিন্তু এই দুই ভাইরাসের মধ্যে তুলনা করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ইনফ্লুয়েঞ্জা A ভাইরাসের আক্রমণ করার ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি।
advertisement
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রমণ করার ২ দিন পর শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়। এবং উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার পর প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত জ্বর ও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি। শুধু সংক্রমণের সময়েই নয়, সংক্রমণের পরেও একাধিক সমস্যায় ভোগেন আক্রান্তরা। যা বেশ কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
তবে এবিষয়ে প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার, সাধারণ জ্বর এবং কোভিড ১৯ দু'টি ভিন্ন ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত রোগ। কিন্তু দু'টি ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।
কেন দী র্ঘদিন ধরে এই ভাইরাস আক্রান্ত করে?
বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত থাকছেন রোগীরা। গত বছর সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল তুলামূলক কম। কিন্তু তা সত্বেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অনেকেই বিভিন্ন সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন। সাধারণ জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে জ্বরে আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে ২দিন থেকে সর্বাধিক ৪দিন।
advertisement
যেহেতু কোভিডের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ে তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকেও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম ৩ দিন সেই ব্যক্তি সব থেকে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম থাকে। কিন্তু সেসময় খুব একটা উপসর্গ প্রকাশ পায় না।
advertisement
নাক বুজে যাওয়া, সর্দি, কাশি, সামান্য জ্বর ইত্যাদি প্রকাশ পায়। এমনকী কোভিডের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি অনেকটি মিল রয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেই কোনও ব্যক্তির উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার ১ দিন আগে থেকেই সেই ব্যক্তি সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে।
কোভিড না কি সাধারণ জ্বর? কোনটি বেশি পীড়াদায়ক?
শুধু ভাইরাস দু'টি আলাদা। কিন্তু বাকি সব ক্ষেত্রে প্রায় মিল রয়েছে কোভিডের সঙ্গে সাধারণ জ্বরের। এমনকী দু'টি ক্ষেত্রে সংক্রমণের উপসর্গগুলিও প্রায় একই। পাশাপাশি দু'টি ক্ষেত্রেই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে একই ভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কোভিডের ক্ষেত্রে কাশি, হাঁচির মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে।
অন্য দিকে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই ভাবে এক ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বর্তমানে কোভিড ১৯ সবথেকে চিন্তার বিষয়। কারণ কোভিড প্রতিহত করার জন্য কোনও ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে তাতে সাময়িক কোভিড থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
অন্য দিকে, সংক্রমণের হার সাধারণ ভাইরাস থেকে কোভিড ভাইরাসের অনেক বেশি। এই সব কিছু কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের থেকে কোভিড ভাইরাস তুলনামূলক বেশি পীড়াদায়ক।
প্রত্যেকের কি বাড়িতে মাস্ক পরে থাকা উচিত?
যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই ভাইরাসের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে ভাইরাস শরীরের ভিতর ঢুকতে পারে।,তাই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোভিড কালে প্রত্যেকের মাস্ক পরে থাকা উচিত। এতে সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম। কারণ মাস্ক পরে থাকলে শরীরে ভাইরাস ঢোকার প্রবেশ পথগুলি আবদ্ধ থাকে। যার ফলে মাস্ক পরে থাকা উচিত।
বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকা উচিত কারণ, বাড়ির মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে আরও অনেকে থাকেন। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির সময় ড্রপলেট অন্যত্র গিয়ে পড়তে পারে। এমনকী সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ঢুকে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু অনেকের সর্বদা মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তাই সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট ঘরে একা থাকলে মাস্ক খুলে রাখতে পারেন। এতে কিছু সময়ের জন্য আরাম পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এবং প্রত্যেকের উচিত নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলা। আক্রান্ত ব্যক্তির ধারে কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি কোনও কারণে যেতে হয় সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে মাস্ক পরে থাকা জরুরি এবং হাত সব সময় ধোয়া উচিত। কারণ হাতে ভাইরাস থাকলে তা কোনও কারণে মুখ বা নাকের সংস্পর্ষে এলে তা শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির সুষম আহার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। যা কোনও আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে।
view commentsLocation :
First Published :
October 26, 2021 7:03 PM IST

