Explained | Covid 19 : কোভিড ভাইরাস সনাক্তকরণে নতুন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, জানুন বিশদে!

Last Updated:

Covid 19 : প্যাথোজেনগুলির (Pathogen) ফ্লুরোমেট্রিক সনাক্তকরণের জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম (Tech Platform) তৈরি করেছে।

Coronavirus
Coronavirus
#নয়াদিল্লি: ভারতের বিজ্ঞানীদের একটি দল ফ্লুরোসেন্ট আলোর (Fluorescent Light) পরিমাপের মাধ্যমে ভাইরাসের (Virus) মতো প্যাথোজেনগুলির (Pathogen) ফ্লুরোমেট্রিক সনাক্তকরণের জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম (Tech Platform) তৈরি করেছে। এটি করোনাভাইরাসকেও সনাক্তকরণের জন্য কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মটি অন্যান্য ডিএনএ/আরএনএ (DNA/RNA) প্যাথোজেন যেমন এইচআইভি (HIV), ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza), এইচসিভি (HCV), জিকা (Zika), ইবোলা (Ebola), ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) এবং অন্যান্য পরিবর্তনশীল বা বিকশিত প্যাথোজেন সনাক্ত করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
করোনাভাইরাস (Coronavirus) সম্পর্কে কারও আর অজানা নেই। এটি ২০২০ সাল থেকে বিপর্যয় ডেকে এনেছে বিশ্বব্যাপী। কোভিড (Covid-19) মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অতিমারীর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। করোনাভাইরাসের উদীয়মান প্রজাতিগুলি (Variants) বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করছে। NCBI-র একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, কোভিড (Covid-19) অতিমারী হল করোনাভাইরাসের তৃতীয় প্রাদুর্ভাব (Third Recorded Outbreak)। এর আগের দুটি হল সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রম করোনাভাইরাস (Acute Respiratory Syndrome) বা সার্স-সিওভি এবং মধ্য প্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিনড্রম (Middle East respiratory syndrome) করোনাভাইরাস বা মার্স-সিওভি। এগুলি মারাত্মক শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করে।
advertisement
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস পরিবর্তন হয়। যদিও বেশিরভাগ ভাইরাস তাদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে না। তীব্রতা, টিকার কার্যকারিতা, থেরাপিউটিক ওষুধ এবং ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামগুলির সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য তাদের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনাভাইরাসকে উদ্বেগের প্রজাতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। উদ্বেগের প্রজাতিগুলি সংক্রমিত ব্যক্তিদের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
advertisement
advertisement
করোনাভাইরাস উদ্বেগের প্রজাতি: এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের পাঁচটি প্রজাতিকে উদ্বেগের প্রজাতি (Variants Of Concern) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি হল-আলফা (Alpha), বিটা (Beta), গামা (Gamma), ডেল্টা (Delta) এবং ওমিক্রন (Omicron)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আলফা প্রজাতি (B.1.1.7) প্রথম ব্রিটেনে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাওয়া গিয়েছিল। বিটা প্রজাতি (B.1.351) ২০২০ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তী অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য প্রজাতি গামা (P.1) ২০২০ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলে পাওয়া গিয়েছিল। এই তিনটি প্রজাতির মিউটেশনে কিছুটা মিল রয়েছে। বিশেষ করে স্পাইক প্রোটিনের মূল অঞ্চলে। SARS-CoV-2-তেও স্পাইক প্রোটিন একই মিউটেশনগুলি বহন করে।
advertisement
করোনাভাইরাসের চতুর্থ প্রজাত ডেল্টা (B.1.617.2) বা সুপার-আলফা ২০২০ সালের অক্টোবরে ভারতে সনাক্ত করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি আলফা প্রজাতির তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য ছিল৷ ডেল্টা সংক্রমিত ব্যক্তিদের শ্বাসনালীতে দ্রুত এবং উচ্চ স্তরে বৃদ্ধি পায়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়াতে পারে।
advertisement
ওমিক্রন (Omicron)-B.1.1.529 প্রজাতি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। অন্যান্য প্রজাতির সঙ্গে তুলনা করলে ওমিক্রনে আরও বেশি মিউটেশন রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের অন্য উদ্বেগজনক প্রজাতিগুলি হল ল্যাম্বডা (Lambda) এবং মু (Mu)। সেই জন্যই আরএনএ ভাইরাসের সংক্রমণের নির্ভুল নির্ণয় ও সংক্রমণ রোধ জন্য সময়মতো চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজনীয়।
নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং টিম: জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ (Jawaharlal Nehru Centre for Advanced Scientific Research) হল ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। এই সংস্থা ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (Indian Institute of Science) বিজ্ঞানীরা একটি ননক্যাননিকাল নিউক্লিক অ্যাসিড-ভিত্তিক জি-কোয়াড্রুপ্লেক্স (GQ) টপোলজি প্রদর্শন করেছেন। কোভিডের ক্লিনিকাল নমুনা নির্ণয়ের জন্য কোয়াড্রুপ্লেক্স (জিকিউ) টপোলজি রিয়ালেবল কনফরমেশনাল পলিমরফিজম (GQ-RCP) প্ল্যাটফর্মকে টার্গেট করে।
advertisement
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বর্তমান কাজটি একটি অভিনব প্ল্যাটফর্ম GQ-RCP-র উপর ভিত্তি করে ক্লিনিকাল নমুনাগুলিতে করোনাভাইরাসের জন্য প্রথম GQ-লক্ষ্যযুক্ত ডায়াগনস্টিক প্ল্যাটফর্ম প্রদর্শন করেছে। এই আণবিক সনাক্তকরণ প্ল্যাটফর্মটিকে আরও নির্ভরযোগ্যতা দিয়েছে যাতে ক্রম নির্দিষ্টতার সঙ্গে ক্ষেত্র-নিয়োগযোগ্য আইসোথার্মাল অ্যামপ্লিফিকেশন অ্যাসেসগুলিতে একীভূত করা যেতে পারে।"
সুমন প্রতিহার (Sumon Pratihar), রাগিণী আগরওয়াল (Ragini Agrawal), বীরেন্দ্র কুমার পাল (Virender Kumar Pal), অমিত সিং (Amit Singh) এবং থিমাইয়া গোবিন্দরাজুর (Thimmaiah Govindaraju) এই কাজটি সম্প্রতি 'এসিএস সেন্সর' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং দলটি এই অভিনব প্রযুক্তির জন্য একটি পেটেন্টও দাখিল করেছে। নক্যানোনিকাল ডিএনএ বা আরএনএ ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য। আরসিপি (RCP)-ভিত্তিক টার্গেট বৈধতা হল ব্যাকটেরিয়া এবং ডিএনএ বা আরএনএ ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগজীবাণুর জন্য ননক্যাননিকাল নিউক্লিক অ্যাসিড-লক্ষ্যযুক্ত ডায়াগনস্টিক প্ল্যাটফর্মের বিকাশের জন্য একটি সাধারণ এবং মডুলার পদ্ধতি।
advertisement
বিজ্ঞানীদের দলটি নির্দিষ্ট করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য ভাইরাসের ৩০ কেবি জিনোমিক ল্যান্ডস্কেপ থেকে প্রাপ্ত একটি অনন্য জি-কোয়াড্রুপ্লেক্স-ভিত্তিক টার্গেট চিহ্নিত করেছে। অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ডায়াগনস্টিক টেস্টের বিপরীতে এটি ছোট অণু ফ্লুরোফোরস (মাইক্রোস্কোপিক অণু) ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের সিকোয়েন্সের জন্য নির্দিষ্ট একটি সম্পূর্ণ অভিনব কৌশল উপস্থাপন করে। দলটি ক্লিনিকাল নমুনাগুলিতে জিনোমিক আরএনএ থেকে বিপরীত প্রতিলিপি এবং পরিবর্ধনের পরে প্রাপ্ত করোনাভাইরাস ডিএনএ-র লক্ষ্যযুক্ত সনাক্তকরণ জিকিউ (GQ) টপোলজি তৈরি করেছে।
থিমাইয়া গোবিন্দরাজু বলেছেন, "আমরা একটি ব্যয়বহুল যন্ত্রের প্রয়োজন ছাড়াই স্বল্প সময়ে ভাইরাস সনাক্তকরণের প্ল্যাটফর্ম প্রদর্শন করেছি৷ এই RCP-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি খুব সাধারণ এবং সহজেই তৈরি করা যেতে পারে৷ ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস যেমন- এইচআইভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচসিভি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ডিএনএ বা আরএনএ প্যাথোজেন সনাক্তকরণের জন্য এটি গৃহীত হয়েছে।"
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained | Covid 19 : কোভিড ভাইরাস সনাক্তকরণে নতুন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, জানুন বিশদে!
Next Article
advertisement
Burdwan News: চেক জাল করে বর্ধমান পুরসভার দেড় কোটি গায়েব, শেষে পুলিশের জালে কে?
চেক জাল করে বর্ধমান পুরসভার দেড় কোটি গায়েব, শেষে পুলিশের জালে কে?
  • চেকের মাধ্যমে বর্ধমান পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিরাট মোড়। এই ঘটনায় পুরসভারই হিসাব রক্ষক সমীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। 

VIEW MORE
advertisement
advertisement