EXPLAINED | Climate: শুধু গাছের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না! পরিবেশ বাঁচাতে আরও বেশ কিছু পদ্ধতিতে বনের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব নিন

Last Updated:

EXPLAINED | Climate: গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বনাঞ্চল ধ্বংস, অত্যধিক চাষাবাদ এবং পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা হল বৃহত্তর কারণ, যা সম্পর্কে বিশ্ব সচেতন।

শুধু গাছের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না! পরিবেশ বাঁচাতে আরও বেশ কিছু পদ্ধতিতে বনের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব নিন
শুধু গাছের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না! পরিবেশ বাঁচাতে আরও বেশ কিছু পদ্ধতিতে বনের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব নিন
#নয়াদিল্লি: দেরিতে হলেও আমরা সকলেই এটা লক্ষ্য করেছি যে একটি ঝরনা একটি শহরে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। দেশের গ্রামীণ অংশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ভূমিধস এবং বন্যা থেকে অল্প সময়ের দুর্ভিক্ষ, জলবায়ু পরিবর্তন খুব বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। যেমন, কর্নাটকের) শিবমোগা জেলার আগুম্বে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল। কিন্তু এই মুকুট এখন অন্য জায়গার মাথায় উঠে গিয়েছে। কারণ এটি ঘন ঘন পরিবর্তন হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেরালার উদুপি জেলার পুরাডালু গ্রামে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে (১৯-২০ মে এর মধ্যে ২১৫.৫ মিমি)।
বৃষ্টি কেন বদলেছে তার ধরণ?
গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বনাঞ্চল ধ্বংস, অত্যধিক চাষাবাদ এবং পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা হল বৃহত্তর কারণ, যা সম্পর্কে বিশ্ব সচেতন। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা যদিও জানাচ্ছেন যে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এটি হল গাছের প্যাটার্নের পরিবর্তন, যা বৃষ্টিকে বিপথগামী করছে। প্রফেসর টি ভি রামচন্দ্র এবং তাঁর দল কেরালা, কর্নাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্র জুড়ে বিস্তৃত দেশের পশ্চিমঘাট অঞ্চলটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানেই উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
advertisement
advertisement
গাছের প্যাটার্নের পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়?
পশ্চিমঘাট অঞ্চল দেশীয় চিরহরিৎ গাছে ভরা। চাষের এলাকা ক্রমেই বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে চিরহরিৎ বনভূমির পরিমাণ কমছে। উপর থেকে সবুজ বনাঞ্চল দেখালেও চিরসবুজ গাছ এখন বাবলা, রাবার এবং নারকেল গাছ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এ কারণে মাটির গুণাগুণ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাটির শক্তি থেকে শুরু করে ছায়া, সূর্যালোকের অনুপ্রবেশ থেকে পরাগায়ণ পর্যন্ত সবকিছুরই ক্ষতি হয়েছে। এগুলি অত্যন্ত বড় সংখ্যায় পুরো সিস্টেমে ধাক্কা দেয়।
advertisement
আমরা কতটা আদি বন হারাচ্ছি?
আমাদের এখন মাত্র ১০ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। সবুজ আবরণ হ্রাসের হার এত বেশি এবং দ্রুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী ১০ বছরে এটি অবশ্যই ৫ শতাংশে নেমে যাবে। এই সমস্ত সংখ্যা জাতীয় গড় ১৮ শতাংশের থেকে অত্যন্ত কম, যা একটি জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রয়োজন।
advertisement
গাছের প্যাটার্নের পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব কী?
সরাসরি প্রভাব হল ভূমিধস। কর্নাটকের কোডাগু এবং কেরল ও মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জায়গাতে সেটাই ঘটছে। যখন দেশীয় গাছ কাটা হয়, তখন এটিকে দেশীয় গাছ দিয়েই প্রতিস্থাপন করা উচিত। পরিবর্তে, বিদেশি গাছ বসালে (সেই অঞ্চলের জন্য আদর্শ নয়) এটি প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। নতুন উদ্ভিদের সম্পূর্ণ পরিবেশগত কাঠামো ভিন্ন হবে। তারা মূলত আক্রমণকারী হবে। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পার্থক্য চোখে পড়েছে। মাটির আর্দ্রতাও ৪০-৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
advertisement
অন্যান্য প্রধান প্রভাব কী কী?
যখন একটি বন থাকবে, তখন পরাগায়ণকারী (Pollinators) সংখ্যায় প্রচুর হবে। তারা একটি বড় বৈচিত্র্যের জন্য সংগ্রাম করবে। সুতরাং, যদি বনের কাছাকাছি একটি খামার থাকে, তবে ফলন অবশ্যই দূরের খামারের চেয়ে বেশি হবে। একজন কৃষক, যার খামার একটি বনের কাছাকাছি সে বছরে প্রায় ১.৫৪ লক্ষ টাকা আয় করে। যেখানে কৃষকের জমি বনের জীববৈচিত্র্যের থেকে দূরে, তারা বার্ষিক ৩২ হাজার টাকার কম আয় করতে পারে। এটি গড় সংখ্যা এবং ফসল ভেদে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু পার্থক্য প্রায় একই। উদাহরণ হিসেবে ধান ধরলে, বনের কাছাকাছি খামারগুলিতে একর প্রতি ১২ থেকে ১৪ কুইন্টাল শস্য পাওয়া যায়। যেখানে দূরের খামারগুলি ৬ থেকে ৮ কুইন্টালের কম ফলন দেয়।
advertisement
কীভাবে গাছের প্যাটার্নে জল প্রভাবিত হয়?
ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ জল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামগ্রিক জল ধারণের ক্ষতি হয় হয়। বনের অভ্যন্তরে স্রোতধারা, যেখানে দেশীয় গাছের আধিপত্য থাকে, সেখানে সারা বছর ধরে প্রবাহিত হয়। কিন্তু যদি বিপরীত বন প্যাটার্ন থাকে, তবে সেখানে স্রোত বছরে মাত্র চার মাস প্রবাহিত হয়- শুধুমাত্র বৃষ্টির সময়ে। জল সরবরাহ ব্যাহত হলে জমি অনুর্বর হয়ে যায়। এটি সরাসরি মাটির উর্বরতাকে প্রভাবিত করে। যা অনুর্বর জমির সীমানাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্ত কারণ এবং আরও অনেক কিছু বৃষ্টির ধরনকে খুব ক্ষতিকর ভাবে প্রভাবিত করেছে। যখন কেউ চাষ করতে চায় তখন বৃষ্টি হয় না, আবার ফসল কাটার সময় বৃষ্টি হয়, যা উভয় ক্ষেত্রেই এটি একটি বিপর্যয়। লোভ সবুজকে গ্রাস করেছে, তার ধাক্কা একেবারে সরাসরি এসে পড়ছে। তাই শুধু গাছের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, দায়িত্ব বনের প্রকৃতি রক্ষারও!
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED | Climate: শুধু গাছের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না! পরিবেশ বাঁচাতে আরও বেশ কিছু পদ্ধতিতে বনের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব নিন
Next Article
advertisement
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', অসমের জনসভায় বললেন মোদি, তাঁর 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? চিনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? অসমের জনসভায় চিনিয়ে দিলেন মোদি
  • অসমের জনসভায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • মোদি বলেন, জনগণই তাঁর আসল প্রভু এবং তাঁর ও ‘রিমোট কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রক’

  • অসমের দরং ও গোলাঘাটে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন

VIEW MORE
advertisement
advertisement