Explained: Omicron-র Symptoms? কত দিন অপেক্ষা করে পরীক্ষা করাবেন?

Last Updated:

নিজের লক্ষণ (Omicron Symptoms) বুঝে দ্রুত সতর্ক হয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত হলে নিজেকে আলাদা করে নেওয়া আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

#নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বে তো বটেই, পাশাপাশি আমাদের দেশেও করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে সংখ্যার নিরিখে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত পার করেছে ২০০-এর গণ্ডি। সমগ্র দেশের জন্য যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। সব চেয়ে তাৎপর্য্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রাথমিকভাবে ওমিক্রনকে (Omicron) 'মৃদু' বলে মনে হলেও অল্প সময়ের মধ্যে বেশ বিপর্যয় তৈরি করায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। তাই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নজরে রেখে কোভিডের জন্য পুনরায় উপযুক্ত ব্যবস্থাগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর ওমিক্রন  (Omicron) সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে প্রথম একটি রিপোর্ট পেশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৬ নভেম্বর ওমিক্রনকে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এর পরই দেখতে দেখতে ওমিক্রন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব জুড়ে। একাধিক জায়গা থেকে আসতে শুরু করে ওমিক্রনে আক্রান্তের হদিশ। বর্তমানে সেই পরিপ্রেক্ষিতে নিজের লক্ষণ (Omicron Symptoms) বুঝে দ্রুত সতর্ক হয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত হলে নিজেকে আলাদা করে নেওয়া আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, আমাদের কোভিড-১৯ (Covid 19) সংক্রমণের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যখন ওমিক্রনের (Omicron) মতো ভাইরাসটি একটি অত্যন্ত পরিবর্তিত, সংক্রামক ভ্যারিয়ান্ট তখন একেবারেই অবহেলা করা চলবে না।
advertisement
advertisement
ওমিক্রনের লক্ষণ
কোভিডের (Covid 19) প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের বেশিরভাগ উপসর্গই আলাদা। সেক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকেরা কিছু উপসর্গ (Omicron Symptoms) তালিকাভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ রোগীরই হালকা জ্বর, ক্লান্তি, গলা খুস-খুস করা এবং অত্যন্ত গায়ে ব্যথার মতো কিছু লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে করোনার আগের প্রজাতিগুলির মধ্যে গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়ার লক্ষণ কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি৷ ব্রিটেনের জো সিম্পটমস স্টাডি অ্যাপ অনুসারে, ওমিক্রনে সংক্রমণের ফলে কিছু মানুষের খিদে কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
advertisement
স্বাভাবিক ঠাণ্ডা লাগা মনে করে অবহেলা নয়
মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, ক্লান্তিভাব এবং ঘন ঘন হাঁচি এই সব স্বাভাবিক সর্দি বা ফ্লুর মতো লক্ষণ ওমিক্রনের  (Omicron Symptoms)  ক্ষেত্রেও অনুভূত হতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ঠাণ্ডা লাগার মতো উপসর্গগুলিকে (Omicron Symptoms)  উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের কোভিড স্টাডি অ্যাপের প্রধান অধ্যাপক টিম স্পেক্টর সকলকে এই ধরনের উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডে ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি নজরে রেখে অধ্যাপক বলেছেন, "লন্ডনে কোভিড দ্রুত বাড়ছে, তাই স্বাভাবিক ঠাণ্ডার লাগার চেয়ে কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আড়াই দিনে অন্যান্য জায়গার চেয়ে এখানে দ্বিগুণ মানুষ আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে এবং তার মানে সত্যি এখানে সংখ্যা বাড়ছে।"
advertisement
সেক্ষেত্রে ভারতের জনগণেরও ওমিক্রন নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া উচিত। শীতকালে সাধারণ সর্দি-কাশির ঘটনা বাড়ে ঠিকই কিন্তু বর্তমানে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণের পিছনে গুরুতর কোভিড থাকতে পারে।
advertisement
পরীক্ষা করার আগে কতক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত
যদি কোভিড-১৯-এর প্রধান উপসর্গগুলি কিংবা বিশেষত নতুন করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়ান্টের লক্ষণ অনুভূত হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
করোনভাইরাসের ইনকিউবেশনের সময় অর্থাৎ কেউ যখন সংক্রমিত হন এবং যখন তাঁর শরীরে লক্ষণগুলির বিকাশ ঘটবে এবং লক্ষণ স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে তার মেয়াদ ১-১৪ দিন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায় ৫ দিনের মধ্যেই স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়।
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, "ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে লক্ষণ ফুটে উঠতে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যেতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।" তাই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর শরীরে লক্ষণ অনুভব শুরু করার ৪৮ ঘন্টা আগে সংক্রামক হতে পারেন। আবার কেউ কেউ সংক্রমণের পুরো সময়েই উপসর্গহীন থেকে যান। তাই কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে নিজের পরীক্ষা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, যদি কেউ কোভিড সংক্রামিত মানুষ বেশি রয়েছেন এমন জায়গায় থাকেন তাহলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ নজরে এলে উপেক্ষা করা চলবে না।
advertisement
১০ দিন বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকা
কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ হলে, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (US Centers for Disease Control and Prevention) পজিটিভ হওয়ার পরে ১০ দিন রোগীকে আইসোলনে থাকার পরামর্শ দেয়। আইসোলেশনে থাকার সময়ে অনবরত নিজের উপসর্গগুলি লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কোভিড-১৯-এর লক্ষণ সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে দেখা যায়। তাই কখনও কোনও উপসর্গ গুরুতর বলে মনে না হলেও পরবর্তীকালে সেই লক্ষণই জটিল আকার নিতে পারে। আবার যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে ব্যথা অথবা অন্যান্য শারীরিক জটিলতা অনুভূত হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
বিভিন্ন ধরনের কোভিড টেস্ট
আমাদের শরীরে সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাস সনাক্ত করার একটি কার্যকর পন্থা হিসাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষাগুলি করা হয়। তাই উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, করোনাভাইরাস সুনিশ্চিত করতে কোভিড-১৯ টেস্ট সাহায্য করে। যার ফলে আমরা সত্যি আক্রান্ত কি না বুঝতে কোনও অসুবিধা থাকে না৷ কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে যেমন র‍্যাপিড টেস্ট বা অ্যান্টিজেন টেস্ট, মলিকিউলার ট্রস্টিং এবং অ্যান্টিবডি বা ব্লাড টেস্ট।
র‍্যাপিড টেস্ট যা আমাদের কাছে অ্যান্টিজেন টেস্ট হিসাবেও পরিচিত, সেটি মারণ ভাইরাস সনাক্ত করার দ্রুত ও সস্তা উপায়। তাই এয়ারপোর্টে অথবা অনেক মানুষের একই সঙ্গে টেস্ট করাতে হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এ র‍্যাপিড টেস্ট করা হয়।
আবার সঠিক কোভিড-১৯ টেস্টের ফলাফল পেতে মলিকিউলার টেস্ট বা আরএনএ টেস্ট সাহায্য করে। এটি একটি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা যেখানে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি একটি সোয়াব ব্যবহার করে নাক এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা সংগ্রহ করে টেস্ট করেন।
অন্য দিকে, অ্যান্টিবডি পরীক্ষাগুলি সক্রিয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করতে পারে এবং অতীতে কখনও এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হলেও এই টেস্টে তা ধরা পড়ে। তবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত পাওয়া যায় না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained: Omicron-র Symptoms? কত দিন অপেক্ষা করে পরীক্ষা করাবেন?
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement