#কলকাতা: পল্লবী দের মৃত্যু রহস্য জটিল হচ্ছে ক্রমেই৷ এবার সামনে আসছে আরও এক নতুন চরিত্র৷ স্টিভ৷ কে এই স্টিভ ? পল্লবী এবং পল্লবীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর ফোন খতিয়ে দেখে পুলিশ। তখনই উঠে আসে ‘স্টিভ’ -এর নাম।প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, স্টিভ খোদ সাগ্নিকই। তবে এখনও পর্যন্ত পুরো বিষয়টি জানা যায়নি৷ সত্রের খবর, পেশাগত কারণেই নাকি এই নাম ব্যবহার করতেন সাগ্নিক৷
আরও পড়ুন- যৌনতার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে মাঙ্কিপক্স! জানুন কী এর লক্ষণ ও চিকিৎসা?
অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey) রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সাগ্নিকের ২৬ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। আদালতে পল্লবীর আইনজীবী আবেদন, মৃতের পরিবার যখন মরদেহ হাতে পায় তখন দেখেন হাতে,মুখে, গলায় কালশিটের দাগ। গত ১৫ মে ঘটনা ঘটে অথচ পুলিশ সাগ্নিকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ১৭ মে।
সেদিন সকালে কাজে না আসা নিয়ে পল্লবীর সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর পরিচারিকার৷ পরিচারিকা নিজেও জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনবার ফোনে কথা হয়৷ কাজে আসতে পারবেন না শুনে রেগে যান পল্লবী৷ বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যায়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন পল্লবী৷ তা হলে কী এমন হল যে নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি?
সাগ্নিক ম্যারাথন পুলিশি জেরায় জানিয়েছিলেন মৃত্যুর দিন সকালে তার সঙ্গে বচসা বাঁধে পল্লবীর। কিন্তু কী নিয়ে বেঁধেছিল সেই অশান্তি? সাগ্নিক চক্রবর্তী জানায়, সেদিন সকালে পল্লবী ফোন করে পরিচারিকাকে আসতে বলেন। কিন্তু তিনি সে আসতে চায়নি। এই নিয়েই গোলমাল শুরু। অভিনেত্রী যে মাঝেমধ্যে পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন সাগ্নিক। আর সেদিন সেই নিয়েই তিনি প্রতিবাদ করে, তাতেই ক্ষেপে ওঠেন পল্লবী, শুরু হয় বচসা, যা মুহূর্তে চরমে ওঠে। সাগ্নিক ব্যালকনিতে সিগারেট খেতে গেলে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন পল্লবী। সিগারেট খাওয়া শেষ করে ঘরে ঢুকতে গেলে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল। এরপরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। তবে ক্রমেই জটিল হচ্ছে এই টেলি অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু৷ সাগ্নিকের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকেই৷ এবার আরও জটিল হচ্ছে রহস্য৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Pallavi Dey Death