বল পায়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নতুন অতিথি, এবার লাল-হলুদে ‘খোকাবাবু’ দেব
Last Updated:
ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন দেব।
Paradip Ghosh
#কলকাতা: চমকে ওঠার মতোই খবর। ইস্টবেঙ্গল মাঠে বল পায়ে নতুন তারা। রবিবার ছুটির সকালে লাল-হলুদে নতুন অতিথি। উচ্চতা ছয় ফুট। গোলটাও ভাল চেনেন। ফার্স্ট টাচ তো অসাধারণ।
আই লিগে লাল-হলুদের নতুন রিক্রুট? না কী স্ট্রাইকার সমস্যা কাটাতে নতুন সই? রবিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠের ছবিটা দেখে ধন্দে ময়দান। ফুটবল পায়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠে কে ওটা? ক্যামেরা জুম করতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সাত-সকালে লাল-হলুদ ডেরায় বাংলা সিনেমার সুপারস্টার দেব। লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা ছেড়ে এত সকালে ময়দানে ‘খোকাবাবু’ কেন? পুরোদস্তুর নিজের টিম নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন সাংসদ-অভিনেতা।
advertisement
advertisement
ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন দেব। এই ছবির হাত ধরেই এসভিএফ-এ কামব্যাক সুপারস্টারের। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ও ক্রীড়া সাংবাদিক দুলাল দে-র লেখা চিত্রনাট্যে জানুয়ারি থেকে শ্যুটিং শুরু বায়োপিকের। তারই প্রস্তুতি সারতে বল পায়ে কসরৎ শুরু টলিউড নায়কের। প্রথম কয়েকদিন দক্ষিণ কলকাতায় নিজের অভিজাত আবাসন কমপ্লেক্সেই অনুশীলন সারছিলেন। কিন্তু মন সায় দিচ্ছিল না। রবিবার সকালে তাই একেবারে সরাসরি দেবের ময়দান কানেকশন।
advertisement
ঘড়িতে তখন সকাল ১০:১৫। সাংসদ স্টিকার লাগানো দুধসাদা গাড়িটা এসে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গলের গেটে। চোখে সানগ্লাস আর শরীরে নীল ব্লেজার চাপানো নায়কের সঙ্গী তখন সিনেমার রিসার্চ টিমের প্রধান ক্রীড়াসাংবাদিক দুলাল দে। পিছন গেট দিয়ে সরাসরি লাল-হলুদের ড্রেসিংরুমে। কিন্তু তখনও যে ইস্টবেঙ্গল মাঠে কচিকাচাদের ভিড়। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল স্কুলের খুদেদের দাপাদাপি। মাঠ ফাঁকা হওয়া অবধি সাজঘরেই অপেক্ষা করলেন সাংসদ-অভিনেতা। ঘুরে ঘুরে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুটাও দেখে নিলেন। মজিদ-কৃশাণু-মনোরঞ্জনদের ছবির সামনে এসে খানিক দাঁড়িয়ে পড়লেন। সুরেশ চৌধুরী, পল্টু দাসদের ছবির সামনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিলেন লাল-হলুদের ইতিহাসের খুঁটিনাটি। বোঝা গেল নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে সুপারস্টারের।
advertisement
১১টা নাগাদ মাঠ ফাঁকা হতেই দেব সটান মাঠে। খুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফটোসেশনের আবদার মিটিয়ে বল পায়ে নেমে পড়লেন মাঠে। শুরুতে হালকা ওয়ার্ম-আপ। থারপর বল পায়ে গোলের দিকে এগিয়ে গেলেন। কখনও বল পায়ে মাঠ চষলেন তো কখনও সঙ্গীদের সঙ্গে ওয়ান টাচ। ক্রিকেটটা না কি দেব ভালই খেলেন। ফুটবলেও ফার্স্ট টাচটা নেহাত মন্দ নয়। রিসিভিং, ট্র্যাপিং থেকে গোল লক্ষ্য করে শট। লম্বা অনভ্যাসেও মরচে ধরেনি দেবের ফুটবল ক্যারিশ্মায়। শীতের সকালটা ময়দান হয়ে থাকল দেবময়। অল দ্য বেস্ট মিস্টার অধিকারী। সব ঠিকঠাক চললে মে মাসে মুক্তি পাবে ভারতীয় ফুটবলের জনকের বায়োপিক।
Location :
First Published :
December 01, 2019 2:18 PM IST