#মুম্বই: রুপোলি জগতের স্পটলাইট সবসময়েই সফল সিনেমার উপরে নিক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু এমনও সব ছায়াছবি আছে, যা আপাতদৃষ্টিতে ক্লাসিক হলেও নেপথ্যের কাহিনি কোন তিমিরে তলিয়ে গিয়েছে। মুঘল-ই-আজম ছবির সম্পর্কে ফিল্ম ইতিহাসবিদরা কত না কথা লিখেছেন। মধুবালার সেই মনোহারিনী নৃত্য। জব প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া/ প্যায়ার কিয়া কোই চোরি নেহি কি ছুপ ছুপ করকে মরনা ক্যায়া। তামাম যুবসমাজের প্রেমকাহিনি এই এক গানেই গ্রন্থিত হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এই কাহিনিটি ছিল আজও অজানা। সিন্দুকের চাবি খুলে প্রথম বার বাইরে এল এই সত্য।
কে আসিফের মুঘল ই আজম ছবিটি তৈরি হয়েছিল ১৫ বছর ধরে। এমনকি প্রথমে ছবির কাস্টিং ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রথম পোস্টার মুক্তিও পেয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় ছবির পরিকল্পনা। এমনকি ১৯৪৫ সালে ঘোষণাও করা হয়ে গিয়েছিল এই ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ছবি।
তখন কে কে ছিলেন মূল চরিত্রে? রিলিজ হওয়া মূল পোস্টারে দেখা যাচ্ছে যে নায়িকার চরিত্রে মধুবালার পরিবর্তে নার্গিসের মুখ। নার্গিসই ছিলেন কে আসিফের প্রথম পছন্দ। আসলে সেই সময়ে অতীব সুন্দরী নায়িকাদের মধ্যে নার্গিস ছিলেন শীর্ষে। তাঁকে ছাড়া এই বৃহত্তম বাজেটের ছবিতে অন্য কাউকে ভাবা অসম্ভব ছিল। দিলীপ কুমারের পরিবর্তে সপ্রুকে ভাবা হয়েছিল। রীতিমতো অ্যাডভান্স দিয়ে সই করানো হয়েছিল। এমনকি পৃথ্বীরাজ কপূর প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তাঁর চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন অতীত দিনের তারকা চন্দ্রমোহন। তখনকার দিনের নামজাদা অভিনেত্রী বীণার ডেট বুক করা হয়েছিল। যে চরিত্রে পরে আমরা দেখতে পাই নিগার সুলতানাকে।
কিন্তু কেন মূল ছবিতে এঁরা অভিনয় করেননি? আভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য না কি অর্থের জোগান না থাকা? এ ছবির আনাচে কানাচে অনেক ব্যথা। অনেক জমানো বেদনা। দহন না হলে যেমন ধূপের সৌরভ বার হয়ে আসে না, তেমনি বহু ক্লেশে সমাপ্ত হয়েছিল এই ক্লাসিক ছবির কাজ।
সবশেষে একটি তথ্য জানাই। মূল কলাকুশলী দের মধ্যে একমাত্র দুর্গা খোটে শেষ পর্যন্ত ছবিটিতে ছিলেন। যোধা বাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬০ সালে অবশেষে মুক্তির আলো দেখে এই ছবি। বাকিটা ইতিহাস।
শর্মিলা মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bollywood