মাঝখানে বয়ে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়, সুরজিৎকে এখনও খুব মিস করি : ভূমির সৌমিত্র

এরকম নামকরণ কেন ?  প্রশ্নে সৌমিত্রর  সাফ জবাব,  যারা ভূমি এবং অন্যান্য ব্যান্ড দের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন একটা সময়,  তাদের উদ্দেশ্যেই এই শিরোনাম। বেশ করেছি গান করেছি-র মুখবন্ধ বা ভূমিকা লিখেছেন চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।  অনিন্দ্যর ভাষায় ' কে বলল বাংলায় আর জমিদার নেই ? আমার দেখা অন্যতম রইস  জমিদার হল গিয়ে সমুদা । ... নামকরণটি কেয়াবাত, এর সঠিক মানে, বাজে না বকে নিজের চরকায় তেল দিন তো।'

নিজের ছোটবেলা, উত্তমকুমারের সঙ্গে  তার বাবার বন্ধুত্ব, প্রায় ১৮০০  এর মধ্যে থেকে তুলে আনা কিছু ঘটনার কোলাজ, কবিতা সহ অনেক কিছুই রয়েছে এই বইয়ে। অবধারিত ভাবেই যে বাউন্সার সৌমিত্র দার দিকে ধেয়ে এল তা হল সুরজিৎ প্রসঙ্গ। সৌমিত্র রায় বললেন, ' এই বইয়ের আনুষ্ঠানিক লঞ্চে তাকে মিস করছি, ভূমির অনুষ্ঠানে মিস করি। সুরজিতের থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। তবে ওর চলে যাওয়াটা ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ভূমি ভেঙে যায়নি । একজন সদস্য বেরিয়ে গিয়েছে ।' কেন  ভূমি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুরজিত সেটা ওর ব্যক্তিগত বলেই মনে করেন সৌমিত্র ?   তাই ওর বেরিয়ে যাওয়া বা ভূমির প্রথম লাইন আপ ভেঙে যাওয়া নিয়ে বইয়ে ইচ্ছে করেই কিছু রাখেননি তিনি।

তবে সুরজিৎ কে নিয়ে একটা লেখা থাকছে বইতে। যেখানে সৌমিত্র লিখেছেন ' ... ওকে দেখে আমি শিখেছি অনেক কিছু। প্রথমদিকে আমার গানগুলো অনেকটা একটানা গীতা পথের মত চলত৷  কর্ড পালটে সেই সুরের মধ্যে বৈচিত্র অনার অভ্যেসটা ওর থেকেই শেখা '। ... একজন সুরকার হিসেবে সুরজিৎ কারোর থেকে কম যায় না । আমি ওর সুর করা গানের একজন খুব বড় ভক্ত। ...সত্যি কথা বলতে এখনও মঞ্চে ওর অভাবটা অনুভব করি। '