নোবেল মানেই বিতর্ক। এর বিতর্কের শেষটা যে কোথায় তা হয়তো কারোরই জানা নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই মইনুল আহসান নোবেলকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷ গায়কের স্ত্রী মেহরুনা সালসাবেল মাহমুদকে নিয়ে তর্জার শেষ নেই৷ গত বৃহস্পতিবার গায়কের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনেন তার স্ত্রী৷ যদিও বহুবার তার সঙ্গে কথা বলে সবটা ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন৷ নেশা ছাড়লেও সংসার করতে রাজি ছিলেন, কিন্তু রাজি হননি গায়ক, তেমনটাই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
হাজারো বিতর্কের মধ্যেও নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন যা শুনলে চমকে যাবেন৷ বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নোবেলের স্ত্রী জানিয়েছেন, নোবেল সবাইকে মারধর করত৷ এমনকী নিজের মাকে পর্যন্ত ছাড়েনি৷ মাকে মেরে এমন অবস্থা করেছিল যে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়েছিল৷ নোবেলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ তার পরিবারও ৷ ওর বাবা পর্যন্ত ওকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে৷ আমাদের বিয়ের সময়ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল৷ তবে এখন একদমই সম্পর্ক ভাল নেই৷ আমি একা নই, ওর পরিবারও ওকে শোধরানোর চেষ্টা করেছিল৷ তবে এখন সকলেই হার মেনেছে ওর কাছে৷
আরও পড়ুন-কবে মা হচ্ছেন ক্যাটরিনা? অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জনে বিরাট ‘সুখবর’ দিলেন ভিকি ঘরনি, চমকে যাবেন
আরও পড়ুন-সারা শরীরে তারের বেড়াজাল, এ কী হাল হয়েছে উরফির, দেখে শিউরে উঠলেন ভক্তরা
গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে আইনি বিচ্ছেদের কথা জানান নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল৷ তিনি লেখেন, আমি হয়তো আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম,কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনও মাদক ছাড়বে না এবং বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম৷ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি । ধন্যবাদ আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই । নোবেল কখনওই এতো অসুস্থ ছিল না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী । অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে৷ যেমন-সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা , রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী,যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি৷ কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন । (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) ৷বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখনও জড়িত । মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে । লম্বা এই পোস্টেই স্বামী নোবেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গায়কের স্ত্রী৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।