‘বাবার সাইকেলে বসে ঘোরার সময় পাড়ার বখাটে ছেলেদের টিটকিরি’, শৈশবের তিক্ততাই শক্তি ‘নোয়া’-র

Last Updated:

বাবা মায়ের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের (Shruti Das) আবেগী মন হারিয়ে গিয়েছে শৈশবে ৷

কলকাতা : পিতৃদিবসে ‘দেশের মাটি’-র (Desher Mati) নোয়া—র পোস্ট মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের ৷ বাবা মায়ের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের (Shruti Das) আবেগী মন হারিয়ে গিয়েছে শৈশবে ৷ সেই শৈশব কেটেছিল বর্ধমানের কাটোয়ায় ৷ কাটোয়ার পথে পথে শ্রুতি ঘুরতেন সাইকেলে তাঁর বাবার পিছনে বসে ৷
সুখস্মৃতির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তিক্ততাও ৷ শ্রুতির মনে আছে, সে সময়েও পাড়ার বখাটে ছেলেরা টিটকিরি দিত ৷ মেসেঞ্জারেও তাঁর কাছে বার্তা আসত ৷ শ্রুতিকে জিজ্ঞাসা করা হত, তিনি কি কাটোয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন? তাঁকে আর বাবার সাইকেলের পিছনে দেখা যায় না কেন?
advertisement
সেই সব তিক্ততর মধ্যেই মনকে কথা দিয়েছিলেন শ্রুতি ৷ সামাজিক মাধ্যমে নিজেই লিখেছেন তিনি ৷ ঠিক করেছিলেন, কিছু বছরের মধ্যে কাটোয়ায় তাঁর বাবা বাঁচবেন অন্য পরিচয়ে ৷ নিজেকে দেওয়া কথা রেখেছিলেন শ্রুতি৷ তাঁর দ্বাদশ শ্রেণি অবধি স্কুলজীবনে বাবা ছিলেন কারখানার কর্মী ৷ আজও সাইকেল তাঁর সঙ্গী ৷ বাহনকে নিয়ে তিনি যান কাটোয়ার সর্বত্র ৷ এখন কাটোয়াবাসীরা সাইকেল থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ৷ খোঁজখবর নেন শ্রুতির ৷ লিখেছেন শ্রুতি৷
advertisement
সুব্রত দাস আজ কাটোয়ায় ‘নোয়ার বাবা’৷ ‘অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের বাবা’ ৷ তবে শ্রুতি আজও লড়াই করছেন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ বাবারা এর বেশি কিছুই চান না,কষ্ট করে সন্তান কে বড়ো করেন যাতে নিজে যে কষ্ট টা করে লড়াই করেছেন তার চেয়ে যেন কম কষ্ট করে আমরা লড়াই করি।’’ কিন্তু তাঁর লড়াইয়ে সেই অর্থে কষ্ট পেতে হয়নি ৷ উপলব্ধি শ্রুতির ৷ কারণ তাঁর বাবা ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সততা, পরিশ্রম দিয়ে তাঁকে বড় করেছেন ৷
advertisement
বাবাকে কষ্ট দিতে চান না ৷ বলছেন শ্রুতি ৷ সেদিনও চাননি ৷ আজও চান না ৷ তবু মাঝে মাঝে হয়তো অনেক বার তিনি কষ্ট দিয়ে ফেলেছেন, ভুল করে ৷ আক্ষেপ অভিনেত্রীর ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি ফিরে গিয়েছেন শৈশবের এক স্মৃতিতে ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ছোটোবেলায় একবার ড্রেনে পরে গিয়ে শক্তিমানের মত এক আঙুল উপরে তুলে বলেছিলাম,আমার লাগেনি বাবা,আমি তো শক্তিমান। বাবা কে কষ্ট দিতে সেদিনও চাইনি।আজ ও চাইনা। বড়ো হয়ে ভুলবশত কষ্ট দিয়ে ফেলেছি হয়ত অনেকবার ।’’ শ্রুতির বিশ্বাস, বাবা মাকেও ঈশ্বরজ্ঞানে পুজো করা উচিত ৷
advertisement
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া তাঁর এই পোস্ট ঘিরে নেটিজেনরাও নস্টালজিক ৷ অনেকেই ফিরে গিয়েছেন নিজেদের শৈশবের স্মৃতিতে ৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘বাবার সাইকেলে বসে ঘোরার সময় পাড়ার বখাটে ছেলেদের টিটকিরি’, শৈশবের তিক্ততাই শক্তি ‘নোয়া’-র
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement