#মুম্বই: ১৯৩৫ সালের ২২ অক্টোবর আফগানিস্তানের কাবুলে জন্ম নেওয়া কাদের খানের পেশাগত জীবন কিন্তু শুরু হয়েছিল অধ্যাপনা দিয়ে। চলচ্চিত্র শিল্পে যোগ দেওয়ার পূর্বে (১৯৭০-৭৫) তিনি মুম্বইয়ের এম. এইচ. সাবু সিদ্দিক কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পুরকৌশলের একজন অধ্যাপক ছিলেন। কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে তিনি একটি নাটকে অভিনয় করেন, যা উপস্থিত সকলের প্রশংসা অর্জন করে। দিলীপ কুমার এই অভিনয় সম্পর্কে জানতে পারলে কাদের খান তাঁকে তাঁর অভিনয় দেখার জন্য বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ জানান। কুমার তাঁর অভিনয়ে সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর সঙ্গে পরবর্তী দু'টি সিনেমায় কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। একটি হল সাগিনা মাহাতো এবং অন্যটি বৈরাগ।
কাদের খান ১৯৭০ সাল থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ৪৫০টিরও বেশি হিন্দি এবং উর্দূ সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং ২৫০টিরও বেশি ভারতীয় সিনেমার সংলাপ লিখেছেন। মিঃ নটবরলাল, খুন পসিনা, দো অর দো পাঁচ, সত্তে পে সত্তা, ইনকিলাব, গ্রিফতার, হাম, খুন ভরি মাঙ্গ এবং অগ্নিপথ যার মধ্যে খুবই আদৃত। পেয়েছেন ১৯৮২ এবং ১৯৯৩ সালে সেরা সংলাপের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যথাক্রমে মেরি আওয়াজ সুনো এবং অঙ্গার ছবির জন্য। যদিও তাঁর অভিনয় প্রতিভা ছিল বহুমুখী, তবুও মূলত কমেডিয়ানের ভূমিকাতেই তাঁকে মনে রেখেছেন সাধারণ দর্শক। জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক খান অভিনীত এমনই ৫ কিবংদন্তী চরিত্র!
সিক্কা
১৯৮৯ সালের এই ছবিই কাদের খানকে এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ছবিতে ধর্মেন্দ্র, জ্যাকি শ্রফ আর ডিম্পল কাপাডিয়ার পাশাপাশিই নজর কেড়েছিল তাঁর অভিনয়।
বাপ নম্বরি বেটা দশ নম্বরি
১৯৯১ সালে এই ছবির জন্য ফের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান খান। অস্বীকার করার উপায় নেই- ভারতীয় ছবির ইতিহাসে অন্যতম সেরা কমেডি এটি।
রাজা বাবু
গোবিন্দা এবং কাদের খানের জুটি যে কল্পনাতীত কমিক টাইমিং তৈরি করতে পারে ভারতীয় ছবির পর্দায়, তা কে অস্বীকার করবে? তাই এই ছবিতে অবাক হয়ে দেখতে হয় দু'জনকেই।
কুলি নম্বর ১
চৌধুরি হোঁশিয়ারচন্দ শিকরপুরি বকুলওয়ালা। নামটা তো লম্বা বটেই, কিন্তু তার চেয়েও জোরালো এই চরিত্রে খানের অভিনয়।
হাসিনা মান যায়েগি
আমিরচাঁদের চরিত্রে এই ছবিতে খানের অভিনয় কিছুটা যেন গতানুগতিক- কিন্তু তিনি ছাড়া এমন কমিক অভিনয় করতেনই বা কে?