সুকুমার রায় বলেছিলেন গোঁফ দিয়ে যায় চেনা। তা হলে কি দাড়ি দিয়ে চেনা যায় না? নভেম্বর মাসে আপনি যদি দাড়ির যত্ন না নেন, তা হলে কিন্তু সত্যিই চেনা যাবে না। এতটাই বদলে যাবে চেহারা! আসলে এই মাস মানে নভেম্বর হল নো শেভ নভেম্বর! অর্থাৎ এই মাসে দাড়ি কাটা এক্কেবারেই চলবে না। কিন্তু এই নো শেভ নভেম্বর কেন করা হয় জানেন কি? উদ্দেশ্য কিন্তু অত্যন্ত মহৎ। ক্যানসার সম্পর্কে সচতনতা বাড়াতে এবং এই নিয়ে আলোচনা করার জন্যই এই উদ্যোগ। মূলত পুরুষরা যে ধরনের ক্যানসার যেমন টেসটিকুলার, প্রসটেট এবং কোলোন ক্যানসারে ভোগেন, সেই নিয়ে সচেতনতা প্রচার করাই এই নো শেভ নভেম্বরের উদ্দেশ্য। এই সময় ছেলেরা রেজার, ক্লিপার বা কাঁচি কিছুই ব্যবহার করেন না।
তাই আপনি যদি দাড়ি বাড়াতে চান, একবার চোখ রাখুন দেশের সেলিব্রিটিদের স্টাইল স্টেটমেন্টে। দেখুন, কোনটা আপনার মনে ধরে!
রণবীর সিং
তেলে জলে চুকচুকে হয়েছে গলি বয় রণবীর সিংয়ের দাড়ি। তবে তাঁর দাড়ির কেত দেখে তাঁকে আর বয় বলা যাবে না। রণবীরের লম্বাটে ধাঁচের মুখে সুন্দর করে ছাঁটা দাড়ি দারুণ মানিয়ে গিয়েছে।
শাহিদ কাপুর
দাড়ির ক্ষেত্রে যদি কাউকে বিশেষ পুরষ্কার দিতেই হয় তা হলে সেটা শাহিদ কাপুর পাবেন। ইতিমিধ্যেই তাঁর কবীর সিংহ মার্কা দাড়ি মহিলাফ্যানেদের ভারী পছন্দ হয়েছে। তবে এই জাতীয় দাড়ি মাঝে মধ্যে একটু ট্রিম করতে হবে। তাই চেহারায় একটা কেয়ারলেস ভাব আনতে চাইলে এই স্টাইল ফলো করতে পারেন।
সইফ আলি খান
সইফ আলি খানের নবাবি দাড়ি তো আগেই দেখেছেন। পাতলা ঘাসের মতো দাড়ি রাখেন সইফ। আর সেটা তাঁর ফর্সা টুকটুকে মুখে দিব্য মানায়। চেহারায় আভিজাত্য আনতে চাইলে এই স্টাইল আপনারই জন্য!
আয়ুষ্মান খুরানা
ইনি সব বিষয়েই বলিউডের ফার্স্ট বয়। তা হলে দাড়ির ব্যাপারেই বা উনি পিছিয়ে থাকবেন কেন? গোটি আর মুশতাস এই দুই স্টাইলের মাঝামাঝি একে বলা হয় ভ্যান ডাইক স্টাইল। বিখ্যাত হলিউড তারকা জনি ডেপও একই স্টাইলের ভক্ত। হাল ফ্যাশনের পথে যেতে চাইলে এই স্টাইল আপনার হোক!
বিরাট কোহলি
দাড়ির দৌড়ে আছেন আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। বিরাটের দাড়িও লম্বা দাড়ি আর হাল্কা দাড়ির মাঝামাঝি পড়ে। একটু সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে ট্রিম করলেই এই দাড়ির স্টাইল ধরে রাখতে পারবেন আপনি।