Metro In Dino Review: দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান! ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’-র ম্যাজিক কি ধরে রাখতে পারল? কেমন হল ‘মেট্রো ইন দিনো’?
- Published by:Riya Das
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Metro In Dino Review: কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ এবং ‘লুডো’-র মতো পূর্বসূরীর মান কি তাহলে রাখতে পারল ‘মেট্রো ইন দিনো’? উত্তর হবে হ্যাঁ। কারণ এই ছবিটি দর্শকদের এমন কিছু মুহূর্ত উপহার হিসেবে দেবে, আনন্দের রেশ বয়ে আনবে মনে।
মুম্বই: দীর্ঘ আঠারো বছরের অপেক্ষা যেন সার্থক হল। সেই ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবির সিক্যুয়েল ‘মেট্রো ইন দিনো’। আর এর হাত ধরে পরিচালক অনুরাগ বসুর ত্রিমুখী হাইপারলিঙ্কড সিনেমার সফরের অবসান ঘটল। ফলে যখন ছবিটি শেষ হবে, তখন দর্শকদের মনে রয়ে যাবে একটি মিষ্টি রেশ। অথচ তার সঙ্গে যেন হাত ধরাধরি করে থেকে যাবে একটা চাপা কষ্টও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ এবং ‘লুডো’-র মতো পূর্বসূরীর মান কি তাহলে রাখতে পারল ‘মেট্রো ইন দিনো’? উত্তর হবে হ্যাঁ। কারণ এই ছবিটি দর্শকদের এমন কিছু মুহূর্ত উপহার হিসেবে দেবে, আনন্দের রেশ বয়ে আনবে মনে। এটা মূলত ভালবাসাকে দেওয়া প্রেমপত্র, কিংবা আশ্রয়দাতা শহরকে দেওয়া ভালবাসা। সেই সঙ্গে জীবনের প্রতি ভালবাসা তো আছেই! এর মধ্যে অগোছালো সম্পর্কের দিকটাও যেমন উঠে এসেছে, আবার সেই অগোছালো সম্পর্কটা সুন্দর একটা সুতোয় বাঁধা অবস্থাতেও অনুভব করতে পারবেন দর্শকরা।
এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে চার যুগলের জীবনকে কেন্দ্র করে – শিবানী ও পরিমল, কাজল ও মন্টি, শ্রুতি ও আকাশ এবং চুমকি ও পার্থ। এই চার যুগলের জীবন এবং সম্পর্ক ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির। সেই বিষয়টিকে উপজীব্য করেই এগিয়ে চলে ছবির গল্প। আর এই চার যুগলের গল্প একে অপরের সঙ্গে কোথাও গিয়ে জড়িয়ে রয়েছে। কলকাতা, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর প্রেক্ষাপটে এগোতে থাকে তাঁদের জীবন। ছবির প্রেক্ষাপটের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই শহরগুলি।
advertisement
advertisement
তবে হ্যাঁ, ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতেও প্রীতমের ম্যাজিক্যাল কম্পোজিশন চিত্রনাট্যকে যেন একটা আলাদাই মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে! ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’-য় যেমন তাঁর সঙ্গে সুহেল কল এবং ফাহরুক মাহফুজ আনম (জেমস)-কে দেখা গিয়েছিল, ঠিক সেরকম ভাবেই ‘মেট্রো ইন দিনো’-য় তাঁর সঙ্গে দেখা গেল পাপন এবং রাঘব চৈতন্যকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পর্দায় এই ত্রিমূর্তির পারফরম্যান্স চিত্রনাট্যকেই যেন আরও জোরালো মাত্রা দিয়েছে। দুর্দান্ত এক নস্ট্যালজিয়া ঘিরে ধরবে দর্শকদের! আর প্রীতমের গানই এই ছবির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
advertisement
প্রায় ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের এই ছবিতে কোথাও কোনও জায়গায় সেভাবে চেনা ছন্দটা একবারের জন্যও হারিয়ে যায়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চোখ যেন সরাতে পারবেন না দর্শকরা। কমেডি, ড্রামা থেকে শুরু করে টেনশন – এই সমস্ত উপাদানই রয়েছে ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে। আর এখানেই সফল হয়েছেন অনুরাগ।
advertisement
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথাও আলাদা করে বলতেই হয়। দুর্ধর্ষ অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্তা এবং অনুপম খের। আবার দারুণ কমিক টাইমিংয়ের কারণে রীতিমতো মন জিতে নেবেন কঙ্কনা সেনশর্মা এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠী। দেখতে বসলে অনেক সময় এটাও মনে হবে যেন, ইরফানকে কোনও অংশে মিস করতে দিচ্ছেন না পঙ্কজ। আবার ফতিমা সানা শেখ এবং আলি ফজলও দুর্ধর্ষ। তাঁদের রসায়নও খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আর সব শেষে এটা বলতেই হয় যে, আদিত্য রয় কাপুর এবং সারা আলি খানের থেকে জোরালো অভিনয় বার করে আনার জন্য কুর্নিশ পরিচালককে।
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 03, 2025 4:48 PM IST