“ও লেখাপড়া জানেনা, গরিব, বস্তিতে থাকে। ও বড়লোকদের আদরের মেয়ের মতো বাবার হাত ধরে লাল কস্টিউম পরে, নরম তোয়ালে নিয়ে গোল দীঘি বা কমলদীঘিতে ভর্তি হতে পারবে –এইস্বপ্নও দেখেনি। ও গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আম বারুনির দিন আম তোলে, খায়। দরকারে বাজারে বেচে। সবাই পুজো করে গঙ্গায় পয়সা ফেলে, ও জলের তলায় ডুবে মাটি হাতরে খুচরো পয়সা তুলে এনে মাকে দেয়, মাচাল কেনে”। হ্যাঁ, এই জীবনটাই মতি নন্দীর কোনির।
আশির দশকেসারা ভারত যাকে চিনেছিল চিত্রপরিচালক সরোজ দে-এর হাত ধরে। আসলে লড়াইটা শুধুমাত্র জলের সঙ্গে ছিল না কোনির, ছিল তার জীবনের সঙ্গে, এই কথাটাই বার বার বলতে চেয়েছেন মতি নন্দী এবংনিজেরই সৃষ্ট চরিত্র ক্ষিদ্দার মুখ দিয়ে বলিয়েছেন “যন্ত্রণার সঙ্গেলড়াই করলে তাকে ব্যবহার করতে পারেনা কেউ, তাই যন্ত্রণার পাঁচিলভাঙতে হবে আগে”।
লেখক হয়তো ক্ষিতীশকেই বেছে নিয়েছিলেন এই লৌহমানবের জায়গায় যে একমাত্র পারত কোনিকে এই বদ্ধ জলাভূমি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাঁতারের জলে আগুন ধরাতে।বস্তির মেয়ের ত্বকে কালো দাগ থাকলে চ্যাম্পিয়ন হতে দেবে না নোংরা রাজনীতি।
আরও পড়ুন : সিদ্ধার্থর প্রিয় মৃত পোষ্য ধরা থাকল কিয়ারার হাতের গয়নায়, বানালেন নামী শিল্পী
তাই যেন আমাদের সকলের জিতে যাওয়ার, ঘড়ির বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তির আকাঙ্খা কোনি।পানিহাটি অভিযাত্রী এই উপন্যাস টিকে মঞ্চে আনার যে সাহস দেখিয়েছে। অভিনেতা তথা পরিচালক শান্তনু নাথের অভিভাবকত্বে বঙ্গ থিয়েটারের ইতিহাসে লেখা থাকবে আজীবন। তার সাথে যোগ্যসঙ্গত দিয়েছেন প্রখ্যাত নাটককার শ্রী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
শান্তনু নাথ ও উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জুটি এর আগেও চমক দিয়েছে কলকাতা থিয়েটারে “ম্যাকবথ সিনড্রোম” নাটকটির মাধ্যমে। কিন্তু “কোনি” হয়তো ইতিহাস গড়তে চলেছে। ক্ষিতীশ সিংহের ভূমিকায় রয়েছেন ছোটও বড় পর্দায় সফল অভিনেতা দেবদূত ঘোষ ও কোনির চরিত্রে প্রিয়া সাহা রায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Koni, Moti Nandi