আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি, সুজয় আমাকে কহানি ২ অফার করছে : সিনেম্যাটোগ্রাফার তপন তুষার বসু

Last Updated:

সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে এফটিআইআই, তারপক বিজ্ঞাপন জগতে একাধিপত্য ৷ সুজয় ঘোষের ‘কহানি ২’ দিয়েই বলিউডে পা !

#কলকাতা: সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে এফটিআইআই, তারপর বিজ্ঞাপন জগতে একাধিপত্য ৷ সুজয় ঘোষের ‘কহানি ২’ দিয়েই বলিউডে পা ! কলকাতার ছেলে সিনেম্যাটোগ্রাফার তপন তুষার বসুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এল কহানি ২-এর অজানা গল্প ৷ জানা গেল তপন তুষার বসুর ক্যামেরা কাঁধে জার্নির নানা কথা !
১) কাহিনি ২-তে আপনি আরেকটা বং কানেকশন ৷ সুজয়ের কহানিতে আপনি ঢুকে পড়লেন কীভাবে?
তপন তুষার বসু: আমি ভাগ্য ও কার্মার ওপর খুবই বিশ্বাস করি ৷ যেমন প্রত্যেকটি সিনেমার সঙ্গে ভাগ্য জুড়ে থাকে, তেমনি সেই সিনেমায় কে কাজ করবে, কে করবে না, সেটাও আগে থেকে লেখা থাকে ৷ বিজ্ঞাপনের কাজ করার সময় থেকেই আমার কাছে প্রচুর সিনেমার অফার আসত ৷ ২০১৩ সালে সুজয় ঘোষ আমাকে একটা ছবির স্ক্রিপ্ট পাঠিয়েছিল ৷ যা কিনা সুজয়ের প্রযোজনা করার কথা ছিল ৷ আমি সুজয়কে জানিয়েছিলাম, এই স্ক্রিপ্ট নয় বরং আমি কহানি বা কামিনের মতো ছবি দিয়েই সিনেমায় কাজ শুরু করতে ইচ্ছুক ৷ তারপর আমার ২০১৫তে ইউরোপ যাওয়ার কথা হয়, কিন্তু পরে তা বাতিল হয়ে যায় ৷ ঠিক এই সময়ই সুজয় আমাকে ফোন করে, আর দেখা করতে বলে ৷ আমি কলকাতায় যাই সুজয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৷ তখন আমাকে সুজয় একটা ছবির স্ক্রিপ্ট শোনায় ৷ আমি তখনও বুঝতে পারিনি, সুজয় আসলে আমাকে কহানি ২- ছবির অফার করছে ৷ এটাকেই তো বলে ভাগ্য !
advertisement
advertisement
২) জেভিয়ার্স থেকে এফটিআই, বিজ্ঞাপন জগত এবার ফিচার ফিল্ম ৷ জার্নিটা কেমন?
তপন তুষার বসু: সত্যি কথা বলতে গেলে, এই দুটো ইনস্টিটিইশনে ভর্তির সময় আমার নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল ! আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবান ৷ প্রচুর গুণীজনের সঙ্গ পেয়েছি ৷ FTII থেকে পাশ করে বের হওয়ার পর আমি সিনেম্যাটোগ্রাফার তসাদ্দুক হুসেনের সঙ্গে কাজ করি ৷ যিনি আমার মেন্টার ও বন্ধু ৷ হুসেনের সঙ্গে প্রচুর বিজ্ঞাপন শ্যুট করেছি ৷ এমনকী, ‘কমিনে’ ছবিতে আমি অ্যাসিস্টও করেছিলাম ৷ ২০১২ থেকে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি ৷ প্রায় ৩০০-এর বেশি বিজ্ঞাপন শ্যুট করেছি ৷
advertisement
আমি প্রচুর ভালো, গুণী মানুষের সঙ্গ পেয়েছি ৷ তাঁদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি ৷ তবে কহানি ২- দিয়ে আমার নতুন যাত্রা শুরু হল ৷ আর এই যাত্রাটা বেশ রোমাঞ্চকর !
3. কোনও বিশেষ মানুষের নাম নিতে চান, যারা আপনাকে কেরিয়ারের শুরুতে সাহায্য করেছেন ?
তপন তুষার বসু: নিশ্চয়ই ৷ এটা ভাবলে খুব অবাক লাগে ৷ শুরুর দিকে আমার কাছে কেউ-ই শো-রিল চায়নি ৷ আইপিএল ক্যাম্পনেই আমি প্রথম স্বাধীনভাবে কাজ করি ৷ এর পরিচালক ছিলেন বিবেক কক্কর ৷ তার আগে আমার কাছে কোনও শো-রিল ছিল না ৷ এই ক্যাম্পেনটা অনেকগুলো পুরস্কার জিতে নিয়েছিল ৷ এরপর পরিচালক অভিনয় দেও-র সঙ্গে নাইকি প্যারালাল জার্নি শ্যুট করি ৷ তারপর পরিচালক অমিত শর্মার সঙ্গে লাইফবয় গোনডাপা৷ এই কর্মাসিয়ালটা প্রচুর পুরস্কার পায় ৷ এমনকী, কান উৎসবে সিনেম্যাটোগ্রাফি বিভাগে ব্রোঞ্জ স্পাইক ও সিলভার অ্যাবে পুরস্কার পেয়েছিলাম ৷ সিনেম্যাটোগ্রাফার রবি কে চন্দন আমার কাজের প্রশংসা করে একটা আর্টিকলে লিখেওছিলেন ৷ আমি খুবই ভাগ্যবান ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সিনেম্যাটোগ্রাফাররা নয়, আমার সমকালীন সিনেম্যাটোগ্রাফারাও আমার কাজের প্রশংসা করে ৷ কহানি ২ মুক্তি পাওয়ার পর আমি এক স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম ৷ আমি খুব খুশি এই স্ক্রিনিংয়ে আমার সিনিয়র ও সমকালীন সিনেম্যাটোগ্রাফার বন্ধুরা এসেছিলেন ৷
advertisement
৪) থ্রিলার ছবি দিয়ে বলিউডে পা ৷ প্রথম ছবি হিসেবে থ্রিলার বাছার কারণ?
তপন তুষার বসু: আমার করা কাজ যদি আপনি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন আমি সব ধরণের কাজ করি ৷ কিন্তু কেন জানি থ্রিলার আমাকে বেশি আকর্ষণ করে ৷ থ্রিলার আমকে সুযোগ দেয়, একটা নির্দিষ্ট মুডকে ছবির মধ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৷ ন্যারেটিভকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে৷ আসলে হয়তো থ্রিলারের ডার্ক ব্যাপারটাই আমাকে বেশি টানে ৷ কোনও দিন যদি মনে হয়, রোমান্টিক ফিল করছি, তখন রোমান্টিক ড্রামাতে কাজ করব ৷
advertisement
৫) কহানিতে বিদ্যাকে শ্যুট করতে গিয়ে কতটা বেশি বেগ পেতে হয়েছে ?
তপন তুষার বসু: তেমন কিছুই না ৷ বরং বিদ্যা বালন আমার কাজটাকে আরও সহজ করে তুলেছিল ৷ কখনও অনুভবই করিনি, বিদ্যার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছি ৷ বিদ্যা এবং অর্জুন রামপালের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ !
advertisement
৫) পরিচালক হিসেবে সুজয় ঘোষ কেমন? কতটা স্বাধীনতা পেয়েছিলেন?
তপন তুষার বসু: অসাধারণ ৷ পরিচালক হিসেবে রেট দেওয়ার উর্ধ্বে সুজয় ৷ এত এনার্জেটিক পরিচালক আগে দেখেনি ৷ প্রচুর স্বাধীনতা দিয়েছিল কাজ করার ক্ষেত্রে ৷
৬) ফিউচার প্রোজেক্ট?
তপন তুষার বসু: ফের বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি ৷ তবে একটা প্রোজেক্টের ভাবনা চলছে ৷ এখনই সেটা নিয়ে বলার অবস্থাতে নেই ৷
advertisement
৮) অভিক মুখোপাধ্যায়, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, তপন তুষার বসু, নিজেকে কোথায় রাখবেন?
তপন তুষার বসু: দু’জনেই আমার শিক্ষক ৷ অভিকদা সেন্ট জেভিয়ার্সে এবং সুদীপদা এফটিআইআইতে ৷ কহানি মুক্তির পর সুদীপদাকে তো ছবি দেখতেও ডেকেছিলাম ৷
৯) সুজয় ঘোষের কহানি ২ আপনার জন্য পারফেক্ট ব্রেক? কী মনে হয় !
তপন তুষার বসু: একদম ! আমি তো আগেই বললাম কহানি ২ আমার কাছে স্বপ্নপূরণ !
১০) বিজ্ঞাপন হোক বা সিনেমা সিনেম্যাটোগ্রাফারদের খ্যাতি ও স্বাধীনতা কতটা?
তপন তুষার বসু: এটা একেবারেই নির্ভর করছে, কার সঙ্গে, কোন পরিবেশে আপনি কাজ করছেন ৷ প্রত্যেক পরিচালকের পছন্দের মতো সিনেম্যাটোগ্রাফার থাকে ৷ আর উল্টোটাও হয় ৷ আর খ্যাতির ব্যাপারে বলতে গেলে, ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়েই যায় ভালো সিনেম্যাটোগ্রাফিটা, একটা স্ক্রিপ্টকে কতটা ভালো করে তুলতে পারে ৷ এ ক্ষেত্রেও উল্টোটাও ঘটতে পারে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি, সুজয় আমাকে কহানি ২ অফার করছে : সিনেম্যাটোগ্রাফার তপন তুষার বসু
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement