#মুম্বাই : নিজের সময় থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে থাকা মহিলাদের মধ্যে নীনা গুপ্তা অবশ্যই একজন। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, বৈধ বিয়ের স্বীকৃতি ছাড়াই গর্ভবতী হয়ে সমাজের নীতি পুলিশদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সন্তানের মা হওয়া, সেই আশির দশকেও ‘সিঙ্গল মাদার’ হওয়ার 'স্পর্ধা' দেখানো অথবা নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে নতুন সম্পর্কে পা রাখা, সবেতেই নিজের সাহসের পরিচয় দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সাহস না বলে যাকে 'দুঃসাহস' বলাই ভাল।
কিন্তু বৈচিত্রময় সেই জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে একদম অন্য সুরে কথা বলতে শোনা গেল এই বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নীনা। সেখানেই একটি দীর্ঘ বার্তায় নিজের জীবনের ঘাত প্রতিঘাতের কথা অকপট বলেছেন মাসাবার মা। এই বয়সেও একই রকম 'বোল্ড' ও সোজাসাপ্টা নীনার গলায় তাঁর যৌবনের আখ্যান নিয়ে বেশ আক্ষেপের সুর শোনা গেল এই ভিডিও বার্তায়। তাঁর অনুরাগীদের তিনি উপদেশ দিয়েছেন বিবাহিত পুরুষদের প্রেমে পড়ো না। তাঁর কথায়, তিনি নিজে অবৈধ সম্পর্কের ফল ভোগ করেছেন, ভুগতে হয়েছে তাঁর মেয়েকেও। তাই অন্যদের সে পথে পা না বাড়াতেই বললেন নীনা গুপ্তা। ভিডিওতে নীনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, "প্রথম প্রথম সব ভালই লাগে। কিন্তু বিবাহিত পুরুষটি যখন বাচ্চা আছে বলে নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে রাজি হন না তখন সেই সম্পর্ক কেমনভাবে যেন ভেঙে যায়। জীবনে নেমে আসে অবসাদ।"
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে প্রখ্যাত ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নীনা। সমাজের কথা না ভেবে নিজেদের সম্পর্কটাকে সকলের সামনে নিয়ে আসেন তিনি। এক সময় ভিভের সন্তানের মাও হন নীনা। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে কখনোই নীনাকে বিয়ে করেননি ভিভ। অভিনেত্রী নিজে একাই বড় করেন মেয়ে মাসাবাকে। যদিও বাবা ভিভের সঙ্গে এখনও সম্পর্ক রয়েছে মাসাবার। কিন্তু বাবার ভালবাসা কোনোদিনই পাননি তিনি। এই কাণ্ডের জন্য বলিউডও এক সময় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল নীনার থেকে। তবে মেয়ে বড় হওয়ার পর সংসার শুরু করেন নীনা গুপ্তা। দিল্লির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মিশ্রর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সংসারও করেছেন চুটিয়ে। পাশাপাশি নিজের কেরিয়ারের দিকেও খেয়াল ছিল তাঁর। ‘বাধাই হো’ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নীনা গুপ্তা ২০১৮ সালে।