'ভাবনা খাচ্ছে খাক' ! 'সৌজন্য নেই' ! 'X= Prem' নিয়ে শিলাজিতের বিশেষ সাক্ষাৎকার

Last Updated:

এই পোস্টের পরেই দানা বাঁধে সন্দেহ। তবে শিলিজিতের কথায় সবটাই স্পষ্ট।

#কলকাতা: "জীবনের যত জটিল কুটিল ফ্যাক্টর, X= প্রেম ধরে নিয়ে কষবো।"...   এই গান শিলাজিতের লেখা। কলেজ জীবনে গোটা একটা প্রজন্ম কত ঝিন্টিকে ভেবে যে এই গান গেয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। চক্ররেলের ফাঁকা কামরায় আজও ঘুরে বেড়ায় ২১ বছর আগের এই গানের লাইন। সে সময় এই অ্যালবামের নাম অর্থাৎ 'X= প্রেম' বিষয়টা প্রযোজক বা মানুষকে বোঝাতে কাল ঘাম ছুটেছিল শিলাজিতের। তবে ২১ বছর পর বিষয়টা একদম পাল্টে গিয়েছে। সম্প্রতি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের একটি ছবির নাম সামনে এসেছে 'X= প্রেম"।
জানা গিয়েছে এই ছবিতে অভিনয় করছেন অর্জুন চক্রবর্তী ও মধুরিমা বসাক। এ কথা অর্জুন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ারও করেছেন। বাকি অনেকের নাম রয়েছে কিন্তু কোথাও গায়ক শিলাজিতের নাম নেই। কিন্তু এই X= প্রেম যার মাথা থেকে বেরিয়েছে, সে নিশ্চয় বিষয়টা জানে।  এই ভাবনা থেকেই ফোন।
advertisement
আপনার অ্যালবাম 'X=প্রেম' নামেই তো তৈরি হচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি?
তাই ! একটা হালকা হাসি। সে কত কিছুই তো হচ্ছে। ভালো কথা।
advertisement
কিন্তু এই ছবির সঙ্গে আপনি নিশ্চয় যুক্ত আছেন? 
আমি কই না তো ! আমি দু'তিন জন সৃজিতকে চিনি। সকলেই নানা ভাবে পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। কে বানাচ্ছে জানি না। আমি তো জানলাম হোয়াটসঅ্যাপে। সকাল থেকে সবাই আমাকে মেসেজ পাঠাচ্ছে। তা ভাবলাম বানাচ্ছে হয় তো কেউ।  এটুকুই !
কিন্তু 'X=প্রেম' এই নামটা তো আপনি প্রথম ভাবেন? বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে এই নামে?
সে  এখন সত্যজিৎ রায় কি রবীন্দ্রনাথকে জানিয়েছিলেন, যে আমি আপনার ছবি করছি। জানায়নি তো। তেমনই এসব কেউ জানায় না।
advertisement
কিন্তু রবি ঠাকুরের ছবির বিষয়টা তো অন্য, আপনি তো এই নামের সৃষ্টি করেছেন, বেঁচেও আছেন! 
না ওরা ভেবেছে হয়ত মরে গিয়েছি। তবে একটা জিনিস ভেবে ভালো লাগছে যে ২১ বছর আগে ভাবা আমার এই নাম এখন মানুষ বুঝছে। সে সময় লোকে জানতই না। এমন কোনও ভাবনা হতে পারে। এখন বুঝছে। ছবি হচ্ছে। হোক। সে আমায় না জানালে আর কি করবো। তবে একটা ভদ্রতার ফোন পেলে ভালো লাগত। কিছুই না সৌজন্য। আমার তো চাওয়ার কিছু নেই। সৌজন্যবোধটা আমাকে আনন্দ দিত। তাছাড়া আমার যা বলার সব তো আমি লিখেছি ফেসবুকে।
advertisement
হ্যাঁ , মানে আপনি লিখেছেন, আমাকে যারা "খেতে" পারেনা তারা ও আমার ভাবনা খাচ্ছে  এটা কেন? 
হ্যাঁ সত্যি কথাই তো লিখেছি। আমার ভাবনায় বাঁচছে নতুন প্রজন্ম। তাঁরা বুঝতে পারছে গানের ভাষা। বদলাচ্ছে অনেক কিছু। কিন্তু আমি যে সময়  'X=প্রেম' ভেবেছি, তখন এটা কেউ ভাবেনি। গানের ভাষার বদল এনেছিলাম। বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই। বাংলা গানকে একটা নতুন দিক খুলে দিয়েছিলাম। আমার ভালো লাগছে এটাই যে বর্তমান প্রজন্ম এই গানকে বুঝতে পারছে। এটাই তো সাফল্য। বাকি তো কত কিছুই হচ্ছে। হোক না। সব কিছু কেন জানাতে হবে? ও আজকাল আর কেউ জানায় না।
advertisement
রাগ হচ্ছে না? 
আরে না, না। পাগল নাকি। ওসব ভাবার সময় নেই। আমি ফেসবুকে পোস্ট করলাম জাস্ট জানাবার জন্য। ' 'X=প্রেম' '-এর পিঁছনে আমার সে সময় কতটা বেগ পেতে হয়েছিল। আজ আর সেটা হচ্ছে না। নিয়ে নিলেই হল আর কি ! (বলেই একটু হাসলেন)  তবে সৃজিতের জন্য আমি একটা দারুণ গান পেয়েছি। হেমলক সোশ্যাইটি-র 'জল ফড়িং'। এই গান আমার পাওয়া। তাঁর জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। তবে সে অন্য প্রসঙ্গ। আরও অনেক কথা আছে সে সব না হয় থাক। বাকি আমার ফেসবুক পোস্ট আর ভক্তরা কথা বলবে। তাছাড়া হচ্ছে হোক না । আমার অনেক কিছু চাপ আছে ভাই। একটু চাপ থাকুক না। (বলেই ফের একটু হাসি।)
advertisement
ফেসবুকে যা লিখলেন শিলাজিৎ...
"'হেএএএই... পুরানা কাগাজ.... বিক্রি আছে ....'2000 সাল। একুশ বছরের পুরোনো। কোম্পানি সন্দিহান ছিল একটা বাংলা গানের অ্যালবাম এর নাম এরকম খটমট?'খাবে' তো? X=প্রেম??? বেশ হ্যাপা নিতে হয়েছিলো বোঝাতে রেকর্ডিং কোম্পানি কে। অ্যালবাম cover টা design করেছিলো সত্যজিৎ । আমি cover টা তে আমার ছবি দিতে চাই নি।কিন্তু দিতে হয়েছিলো। কোম্পানি র চাপে। দেখতে Hebby ছিলাম বলেই হয়তো।ভালো লাগে।একটা অদ্ভূত তৃপ্তি হয়। আমি X=প্রেম এই এলবাম টা থেকে অর্থ না পাই,কোনো ক্রেডিট না পাই?বেঁচে থাকা অবস্থায় দেখে যেতে পারলাম #X_equals_to_prem" নাম টা এবং গান গুলো ও ,এখনো লোকে "খাচ্ছে "। আমাকে যারা "খেতে" পারেনা তারা ও আমার ভাবনা খাচ্ছে ।(খা খা খা /খা খা খা /খা খা খা / খা খা খা খা )" এই পোস্টের পরেই দানা বাঁধে সন্দেহ। তবে শিলিজিতের কথায় সবটাই স্পষ্ট।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
'ভাবনা খাচ্ছে খাক' ! 'সৌজন্য নেই' ! 'X= Prem' নিয়ে শিলাজিতের বিশেষ সাক্ষাৎকার
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement