Exclusive|গানের মঞ্চে এবার জোর টক্কর দুই ব্যোমকেশের ! কী বলছেন আবির চট্টোপাধ্যায় ?

Last Updated:

একেবারে অন্য ভূমিকায় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়

#কলকাতা: অভিনয়ের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে।'টল এন্ড হ্যান্ডসম' আবির চট্টোপাধ্যায়ের খুব বেশি সময় লাগেনি দর্শকের মন জয় করতে। দীর্ঘ এত বছর ধরে  যে অবতারে আমরা আবিরকে দেখে অভ্যস্ত  তার থেকে একেবারে হাটকে ভূমিকায় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছেন তিনি... সেই নিয়েই নিউস ১৮ বাংলার সঙ্গে আড্ডা জমালেন আবির।
দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে আবার শ্যুটিং ফ্লোর।কেমন লাগছে ফ্লোরের গন্ধ?
না, মানে এখন মাস্ক পরে থাকি বলে সেভাবে ফ্লোরের গন্ধ নাকে ঢুকতে পারেনা....( খুব জোরে হাসি।)না...সত্যি এতদিন পরে আবার কাজে ফেরা। চেনা চেনা হাসি মুখগুলো চোখের সামনে....হাঁসিটা দেখা যায় না তবে চোখের কোনে বোঝা যায়।দারুণ অনুভূতি। যেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এত মাস পরে  লাইট, ক্যামেরা,  কস্টিউম, মেক-আপ। এটা একটা অন্য আড্রেনলিনে রাশ যা অন্য কিছুতেই পাওয়া মুশকিল।
advertisement
বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা, ছোট কন্যা। শ্যুটিং থেকে ফেরার পরে কী কোনও ভয় কাজ করে.... আমি সংক্রমণ নিয়ে  ঢুকলাম না তো ?
এখনও রেগুলার শ্যুটিং শুরু করিনি। সবে একটা প্রোমো শ্যুট হয়েছে ।তবে হ্যাঁ,একটা কথা একদম ঠিক।  নিজের সাবধানতা নিজের কাছে।আমি এখনও অনলাইনেই মিটিং করা প্রেফার করি।যতটা নিজেকে বাঁচিয়ে চলা যায়।এটা এমন একটা সংক্রমণ যে আমি কারুর থেকে পেতে পারি আবার আমার থেকেও কারুর কাছে যেতে পারে।সুতরং নিজেকে বাঁচানো এবং সবাইকে বাঁচানোটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পরে।অনেকেই হাঁসতে পারেন, মনে হতেই পারে এটা বোকামি বা ভয়ের লক্ষন।তবে সেটাকেই আমি সাহস ও বুদ্ধির পরিচয় বলে মনে করি।তাই এই মেসেজটা দেওয়াটাও আামার দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
advertisement
advertisement
'সা রে গা মা পা' এর সঞ্চালনায় এবার তো আপনাকে দেখা যাবে।একটা নতুন রোল নতুন চ্যালেঞ্জ।কী বলবেন?
অ্যাঙ্কারিং এ হাতেখড়ি তো বটেই।এর আগে আামি এই ক্যাটাগরিতে কাজ করিনি। একটা প্রেশার তো থাকেই। তবে এই কাজেরও আলাদা মজা আছে। এখানে একটা দারুণ টিম আছে যারা আমাকে ভীষণ সাহায্য করছে।আমি চেষ্টা করব নিজের স্বতস্ফূর্ততা দিয়ে কাজ করতে।এই অনুষ্ঠানের দারুণ জনপ্রিয়তা আছে। সারা বিশ্বের মানুষ এই শো দেখেন... সুস্থ রুচি,দারুণ প্রতিভা, অসম্ভব ভাল গান, এখানে সবটাই পাওয়া যায়।এই সময়ের মধ্যেও আমাদের মানসিক ভাবে স্বাচ্ছন্দে রাখতেও এই অনুষ্ঠান হিলারের মতোন কাজ করবে।
advertisement
নিজেকে কীভাবে তৈরী করছেন? নিজে গান শুনতে কতটা ভালবাসেন ?
গান আমার খুবই প্রিয়। গান আমাদের জীবনের সব রকমের ইমোশানের সঙ্গে জড়িয়ে।  গান রসিক হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে দর্শক আর শোয়ের মধ্যে একটা সেতু তৈরি করে দেওয়া।খুব সাংঘাতিক টেকনোলজিকাল বিষয় আমার বোঝার দরকার নেই।তার জন্য বিচারক থাকছেন।যেটা আমার সব থেকে বড় দায়িত্ব হবে সেটা হল যারা প্রতিযোগী আসবেন তাদের স্পেস দেওয়া এবং কমফর্টেবল রাখা। যাতে তাঁদের সেরাটা দিতে পারেন।
advertisement
আগে এই গানের অনুষ্ঠান যিশু সঞ্চালনা করতেন। এবং দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।সেটাও কী একটা বড় প্রেশার নয়?
সঞ্চালনায় যিশু দুর্দান্ত।হি ইজ একসেপশানালি গুড। ও আর আমি একসঙ্গে স্টেজ শো সঞ্চালনা করেছি। আমি জানি ও কতটা ভাল।একটা স্পন্টেনিয়াস এনার্জি যেন ওর মধ্যে সব সময় কাজ করে।ও বহু বছর ধরে এই কাজটা করে আজ এই জায়গাটা তৈরি করেছে।আমি ওর কাজ বহুদিন ধরে ফলো করেছি। আমি জানি ও দারুণ।আমি সবে সঞ্চালনা শুরু করছি।আমি আমার মতন  করে চেষ্টা করব।ওর সঙ্গেও কথা বলব।দেখা যাক বাকিটা  কিভাবে  হয়।
advertisement
এই শোতে আপনি এলেন,ওদিকে আরেকটা প্রতিযোগি চ্যানেলে যিশু  আরেকটা গানের অননুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন।আপনাদের মধ্যে তো দারুণ রেষারেষি চলবে... সম্পর্ক কী ভাল থাকবে সেক্ষেত্রে?
আমার সঙ্গে ওর কোনওদিনও কখনও ঝামেলা বা বিবাদ হয়নি। আমরা একই ধরণের ছবিতে কাজ করি আমাদের নিয়ে আগেও অনেক লেখালিখি হয়েছে। কিন্তু এত কিছুতে কান দিলে আমাদের কাজেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আমরা দুজনেই যথেষ্ট ম্যাচিওরড এবং এই নতুন জীবন ধারার নানান উপলব্ধি হওয়ার পরে এখন সবই তুচ্ছ মনে হয়ে। তাই মন দিয়ে কাজ করাটাই ভাল।
advertisement
ছবির দিকে কী স্টেটাস?
অনেক ছবি পোস্ট প্রোডাক্শনে রয়েছে। কিংবা খুব অল্প বাকি রয়েছে।  অরিন্দম শিলের 'মায়াকুমারী', ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর 'আগন্তুক', সৌভিক কুন্ডুর 'সুইজারল্যান্ড' এবং ব্রাত্য বসুর  'ডিকশনারি'।বাকি আমি অনেক স্ক্রিপ্ট পড়েছি, গল্পও শুনেছি কিন্তু কোনোটাই ফাইনাল নয়। এই মুহূর্তে আমরা সত্যিই জানিনা কী  হবে ভবিষ্যতে। দর্শক আবার কবে হল মুখি  হবেন সেটাও জানা নেই।
কন্যার অনলাইন ক্লাসে কতটা সময় দেন?
এটা আবার একটা নতুন বিষয় আমাদের জীবনে।আমি সপ্তাহে  এক বা দুদিন বসি। বাকিটা স্ত্রী নন্দিনী সামলে নেন।(বলেই খানিকটা হেসে ওঠেন)।
SREEPARNA DASGUPTA
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Exclusive|গানের মঞ্চে এবার জোর টক্কর দুই ব্যোমকেশের ! কী বলছেন আবির চট্টোপাধ্যায় ?
Next Article
advertisement
Indian Manager Beheaded in Texas: কাটা মাথায় লাথি মেরে ডাস্টবিনে ফেলল খুনি! আমেরিকায় স্ত্রী-ছেলের সামনে নৃশংস পরিণতি ভারতীয়ের
লাথি মারতে মারতে ডাস্টবিনে কাটা মাথা! আমেরিকায় স্ত্রী-ছেলের সামনে ভারতীয়ের নৃশংস পরিণতি
  • আমেরিকার টেক্সাসে স্ত্রী-ছেলের সামনে মাথা কেটে হত্যা করা হল এক ভারতীয়কে৷ শুধু তাই নয়, কর্ণাটকের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির কাটা মাথায় লাথিও মারতে দেখা যায় খুনিকে৷ মৃত ওই ব্যক্তির নাম চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement