হোম /খবর /বিনোদন /
অ্যান্টিবডি বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? এখনই টিকাকরণ ছোটদের জন্য নিরাপদ?বলছেন চিকিৎসক

Covid 19 Vaccination : অ্যান্টিবডি বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? এখনই টিকাকরণ ছোটদের জন্য নিরাপদ? কী বলছেন চিকিৎসক

অ্যান্টিবডি বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? এখনই টিকাকরণ ছোটদের জন্য নিরাপদ? কী বলছেন চিকিৎসক

অ্যান্টিবডি বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? এখনই টিকাকরণ ছোটদের জন্য নিরাপদ? কী বলছেন চিকিৎসক

Covid 19 Vaccination : কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল ছোটরাও। তাদের টিকাকরণের সঠিক সময় কী?

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: বছরের শুরুতে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার তৃতীয় ঢেউ। ওমিক্রন-এর আকারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। ওমিক্রন (Omicron) এর মারণ শক্তি ডেল্টার তুলনায় কম হলেও, এর সংক্রমণের গতি ছিল উদ্বেগের। বাদ যায়নি ছোটরাও। অবশেষে রাজ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের কোভিডের টিকাকরণ (Covid 19 Vaccination) শুরু হয়েছে। ফের স্কুল ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরেছে ছোটরা। তাই টিকা নেওয়ার তাগিদও বেশি।

কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল ছোটরাও। তাদের টিকাকরণের সঠিক সময় কী? এখন কি টিকা (Covid 19 Vaccination) নেওয়া তাদের জন্য নিরাপদ? এই বিষয়ে কথা বললেন বেলভিউ ক্লিনিকের মেডিসিনের চিকিৎসক তথা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ কাজি সামসুজ্জামান (Dr Kazi Samsuzzaman)।

চিকিৎসক বলছেন, "করোনা আক্রান্ত হওয়ার দেড় মাস পরে টিকা নিলে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে সন্দেহ থাকলে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যায়। যদি অ্যান্টিবডি কম থাকে তাহলে অবশ্যই টিকাকরণ জরুরি। আর যদি অ্যান্টিবডি বেশি থাকে, তাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করে যাওয়া দরকার।"

ওমিক্রন ঝড়ের গতি ছড়িয়ে পড়েছিল। সামান্যতম উপসর্গ থাকলেই অনেকে ধরে নিচ্ছিলেন তিনি আক্রান্ত। আর পরীক্ষা করাননি। আবার অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁদের কোনও উপসর্গ ছিল না বলে, তাঁরা সম্ভবত বুঝতেই পারেননি যে আক্রান্ত কিনা। ছোটদের সঙ্গেও এমন হয়েছে। তাই ঠিক কবে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বা বিগত এক মাসের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি না তা না জেনেই ভ্যাকসিন নিচ্ছে ছোটরাও। এই বিষয়টি কতটা নিরাপদ?

আরও পড়ুন - প্রতিদিন এক গ্লাস! ক্যানসার থেকে রক্তচাপের সমস্যা, বহু রোগ দূরে রাখে সহজেই

এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক বলছেন, "করোনার পরে আসলে একটা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। সেই অ্যান্টিবডি কতদিন থাকতে পারে সেটা ব্যক্তিবিশেষে পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু শরীরের অ্যান্টিবডি শেষ হওয়ার পরেই ভ্যাকসিন নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে ভ্যাকসিন থেকে তৈরি অ্যান্টিবডির মেয়াদও বেড়ে যায়।"

ডক্টর সামসুজ্জামান কাজি জানাচ্ছেন, একমাত্র কোনও বাচ্চার যদি ঠান্ডা লাগা, সর্দি, জ্বর ইত্যাদি থাকে সেই সময়ে টিকাকরণ এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। শুধু করোনার টিকা নয়। যে কোনও টিকা নেওয়ার সময়ে এই দিকটি মাথায় রাখা উচিত বলে জানান তিনি। জ্বর, সর্দি কাশি কমে গেলে সেই শিশু অনায়াসে টিকা নিতে পারে। এমনকি বড়দের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

আরও পড়ুন- সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি! শরীরে অজান্তে বড় রোগ বাসা বাঁধছে না তো?

তবে সর্বোপরি টিকাকরণ আবশ্যিক। টিকাকরণের (Covid 19 Vaccination)বিকল্প নেই বলেই জানান চিকিৎসক। যদিও শুধু টিকাকরণ নয়, মাস্কের ব্যবহার, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও দূরত্ব বিধির ব্যাপারেও ছোটদের সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, "টিকা নিতেই হবে। কিন্তু এখন থেকেই সবাই মাস্ক খুলে ফেলছে। সেটা একদমই দায়িত্বশীল নাগরিকের পরিচয় নয়। বড়দেরও সমান ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। আপাতত মাস্ক পরার অভ্যেস ছাড়লে চলবে না।"

Published by:Swaralipi Dasgupta
First published:

Tags: Coronavirus, Covid 19 Vaccine