#নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ভোজপুরী ছবির এক জনপ্রিয় অভিনেতা। সেই সময় টাকা রোজগার করার জন্য আইনকে হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর এক সহকারীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ শাহিদ। তাঁর সহকারীর নাম সইদ জেন হুসেন।
লকডাউনে রোজগার করার জন্য নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। তালিকায় রয়েছে গাড়ি চুরি থেকে জাল নোট ছাপা পর্যন্ত। দিল্লি পুলিশ শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক লোকের কাছ থেকে নোট বদলির ছুতোয় জাল নোট চালিয়ে নিজেরা আসল নোট জোগার করেছেন অভিযুক্তরা। এভাবে অসংখ্য মানুষকে প্রতারণা করেছেন তাঁরা। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, দু'জনকেই গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আর পি মীনা বলেছেন, 'একটি স্কুটারে ব্যাগ নিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা। সেই ব্যাগ থেকেই ২০০ বান্ডিল জাল নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। যাচাই করে দেখা গিয়েছে সমস্ত নোটই জাল। শাহিদ পুলিশকে জানিয়েছিলেন হরি নগর আশ্রমে একটি ফিল্ম স্টুডিও চালান তাঁরা। সেখানেই পোর্টফোলিও তৈরির কাজের জন্য বেরিয়েছেন স্কুটারে।'
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শাহিদ ভোজপুরী ছবি ও গানে কাজ করেছেন। ডিসিপি-র দাবি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সময়ই এমন প্রতারকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শাহিদের। লকডাউনের সময় নিজে থেকেই সইদ জেন হুসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শাহিদ। তারপরেই শুরু হয় গাড়ি চুরি এবং জাল নোট ছাপার কাজ। প্রায় আটটি গাড়ি চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজে অভিযুক্ত অভিনেতা শাহিদ। জেন হুসেনের অবশ্য আগে থেকে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যোগ নেই।