হোম /খবর /বিনোদন /
রাজদীপ-শর্মিষ্ঠার 'মন পতঙ্গ',মুখ্য চরিত্রে সীমা বিশ্বাস, জয় সেনগুপ্ত

Bengali Film: 'কালকক্ষে'-র পর রাজদীপ-শর্মিষ্ঠার 'মন পতঙ্গ', মুখ্য চরিত্রে সীমা বিশ্বাস ও জয় সেনগুপ্ত

প্রকাশ পেল 'মন পতঙ্গ' (mindflies) ছবির চরিত্রদের ফার্স্ট লুক।

  • Share this:

কলকাতা:  অঞ্জন বসুর প্রযোজনা সংস্থা 'অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন'-এর  আসন্ন ফিচার ফিল্ম  'মন পতঙ্গ' (mindflies) - র চরিত্রদের 'ফার্স্ট লুক' প্রকাশ পেল। ছবির পরিচালনায় 'কালকক্ষ' খ্যাত পরিচালক জুটি রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতি। তাঁদের দ্বিতীয় ফিচার ছবি 'মন পতঙ্গ'। 'কালকক্ষ'-র পর একেবারে ভিন্নধর্মী এই ছবি নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলির জন্য তৈরি তাঁরা। এর মধ্যেই প্রকাশ পেল ছবির চরিত্রদের প্রথম ঝলক।

ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস, জয় সেনগুপ্ত, নবাগত শুভঙ্কর মোহন্ত ও বৈশাখী রায়, অমিত সাহা, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস, জনার্দন ঘোষ, ত্রীবিক্রম ঘোষ, অনিন্দিতা ঘোষ, অনিন্দ্য রায়। একাধিক বাস্তবের পথবাসী মানুষ, পথশিশুরাও এ'ছবির অন্যতম অংশ।ছবির বিষয়ে পরিচালক জুটি জানালেন, '' প্রথমেই বলে রাখা ভাল, 'কালকক্ষ' ছবির সঙ্গে এই ছবির কোনও মিল নেই। 'কালকক্ষ' অনেক বেশি রূপকধর্মী একটি ছবি, 'মন পতঙ্গ' অনেক বেশি জীবন ভিত্তিক, প্রাণবন্ত। 'মন পতঙ্গ' এক আকাঙ্খার আখ্যান। ওড়ার, পোড়ার এবং চিতাভস্ম থেকে আগুন পাখি হয়ে  ফিরে আসার গল্প , ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্নকে চরিতার্থ করার জন্য সবকিছু বাজি রাখার গল্প বলে এই ছবি।''

ছবির কেন্ত্রীয় চরিত্র ধর্মীয় নিগ্রহের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে পালিয়ে আসা এক হিন্দু-মুসলমান প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল। গ্রামের মেঠো পথ থেকে একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে শহরে আসা এই যুগলের ঠাঁই হয় শহুরে রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচে। সেখানেই গড়ে ওঠে তাদের জীবন-জীবিকা। ধীরেধীরে এই নতুন জীবনের সঙ্গে নিজেদের যখন তারা মানিয়ে নিচ্ছে, তখনই তাদের চোখে পড়ে রাস্তার পাশের একটি ঝাঁ চকচকে আসবাবের দোকানে - এক বিশাল আরাম-চেয়ার – ঠিক যেন স্বপ্নের সিংহাসন। ফুটপাথের ধারে ছেঁড়া কাঁথায় বসে তারা স্বপ্ন দেখে…মনে মনে শপথ নেয়… একদিন তারা দুজনে একসঙ্গে সেই আসনে বসবে। জীবনের পথে পোকামাকড়ের মত পদপিষ্ট না হয়ে জোনাকির মত জ্বলে উঠতে চায় তারা। লক্ষে পৌঁছনোর রাস্তার বিভিন্ন বাঁকে তাদের সঙ্গে দেখা হয় নানান রঙীন চরিত্রের । কেউ তাদের বলে গণ্ডীতে গুঁজে থাকতে, লোভ না বাড়াতে, ছোট ছোট সুখে সন্তুষ্ট থাকতে। অন্যদিকে কেউ কেউ তাদের হাতছানি দেয় ধন-দৌলত, বুদ্ধিবৃত্তি ও ক্ষমতার চোরাগলিতে। আশা আর আকাঙ্ক্ষাকে পাখনা বানিয়ে উড়ে চলে তারা, যেভাবে আগুণের পানে ধেয়ে যায় পতঙ্গ। তবে কি পুড়ে ছাই হয়ে যায় তারা? ভাঁটা পড়ে ভালোবাসায়? লোভ, ভয়, ঘৃণা, অহঙ্কার আর সমাজে ধর্ম, শ্রেণী ও লিঙ্গ বৈষম্যের অন্ধকারে হারিয়ে যায় তারা? নাকি পুড়ে ছাই হয়ে যাবার পরেও ফিরে আসা যায়? উপলব্ধি করা যায় ভালবাসার গভীরতা?  কাঙ্ক্ষিত ক্ষমতার আসনকে কি কোনও জাদুবলে পরিণত করা যায় ভালোবাসার রাজসিংহাসনে?

অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের কর্ণধার প্রযোজক অঞ্জন বসু জানালেন, '' ছবির নির্মাণ শেষ করেছি আমরা। খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অভিযান শুরু করতে চলেছি। যদিও ছবিটি বাংলা ভাষায়, কিন্তু ছবির পরিভাষা ভীষণ ভাবে আন্তর্জাতিক ও আধুনিক। বিশ্বের দরবারে এই ছবি সমাদৃত হবেই, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আশা করি চলতি বছরের শেষে এই ছবি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারব।''

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Tollywood