গোঁয়ার্তুমি করে মেয়েকে ‘ডিপ কোমায়’ পাঠাল! চিকিৎসককে নিয়ে বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা

Last Updated:

ব্রেন স্ট্রোকের দিনই অত্যন্ত ক্রিটিকাল ওটি হয় তাঁর। কিন্তু নিউরোসার্জন ঐন্দ্রিলাকে খুবই ভালবাসতেন। মেয়ের মতো। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ওটিটা করান। সফল হয় অস্ত্রোপচার। জ্ঞানও ফিরেছিল ঐন্দ্রিলার।

#কলকাতা: গত ২০ নভেম্বর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা। দু'বার ক্যানসারজয়ীর মৃত্যুতে থমকে যায় গোটা বাংলা। আজও তাঁর পুরনো ভিডিও, ছবিকেই আঁকড়ে বসে রয়েছেন কত মানুষ। পরিবার বা তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর কথা তো বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি ছোট মেয়ের স্মৃতিচারণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নায়িকার মা শিখা শর্মা। নির্দিষ্ট এক চিকিৎসকের প্রতি প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয় প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের। শিখা শর্মার দাবি, বাকি চিকিৎসকরা খুব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঐন্দ্রিলা যেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের জন্যই তাঁদের মেয়ে ডিপ কোমায় চলে যান।
ব্রেন স্ট্রোকের দিনই অত্যন্ত ক্রিটিকাল ওটি হয় তাঁর। কিন্তু নিউরোসার্জন ঐন্দ্রিলাকে খুবই ভালবাসতেন। মেয়ের মতো। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ওটিটা করান। সফল হয় অস্ত্রোপচার। জ্ঞানও ফিরেছিল ঐন্দ্রিলার। কিন্তু তার পর কী ঘটল? চলে গেলেন 'জিয়নকাঠি'র নায়িকা। বাঁচানো গেল না ২৪ বছরের অভিনেত্রীকে। পোস্ট অপারেটিভ ট্রিটমেন্ট নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন নায়িকার মা।
advertisement
advertisement
শিখা শর্মার দাবি, চিকিৎসার গাফিলতিতেই তাঁর মেয়ে ডিপ কোমায় চলে গিয়েছেন। ওটি পরবর্তী একটি পরীক্ষা করা হয় সুব্যবস্থাপনা ছাড়াই। আর সেই সময়েই কতটা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে, সেটা নিয়ে ধন্দে শিখা শর্মা।
ঐন্দ্রিলার মায়ের কথায়, ''এর পরেই মেয়ে জ্বরে পড়ল। সংক্রমণ হয়ে গেল। এক জন চিকিৎসকের জন্যেই এটা হয়েছে। উনি যদি একটু সাবধানি হতেন, তা হলে এটা হত না মনে হয়। কিন্তু বাকি সবাই খুব চেষ্টা করেছে। অন্য ডাক্তার এসে প্রেসক্রিপশন করে দিলে উনি সেটা অনুসরণ করতেন না। খুব ইগো ছিল ওনার! যেহেতু উনি ওই হাসপাতালের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই অন্য কারও কথা শুনতেন না।''
advertisement
রক্ত দেওয়া নিয়েও গাফিলতি হয়েছে বলে দাবি ঐন্দ্রিলার মা। নায়িকার বাবা সকাল থেকে রক্ত জোগাড় নিয়ে কথা বলার পরেও হিমোগ্লোবিন একেবারে কমে যাওয়ার পরে তাঁকে রক্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শিখা শর্মার।
advertisement
এছাড়াও তিনি জানালেন, প্রোটিনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হলেও তা দিতে দেরি করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ঐন্দ্রিলার অক্সিজেন লেভেল ক্রমাগত ৮০-র কোঠায় থাকায় তাঁর দিদি সেই চিকিৎসককে বারবার সেই বিষয়ে নজর দিতে বললেও পরবর্তী ৬-৭ ঘণ্টা একই ভাবে রেখে দেওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে। ''যখন পর পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে থাকে, তখন অক্সিজেন সাপ্লাই করা হচ্ছে! এদিকে কত আগে থেকে আমার বড় মেয়ে আর স্বামী বলছিল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের কথা!'' প্রবল আক্ষেপের সুর ঐন্দ্রিলার মায়ের গলায়।
advertisement
ডিপ কোমায় চলে যাওয়ার জন্য সেই নির্দিষ্ট চিকিৎসককেই দায়ী করলেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
গোঁয়ার্তুমি করে মেয়েকে ‘ডিপ কোমায়’ পাঠাল! চিকিৎসককে নিয়ে বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement