#:একটা সিনেমা যখন তৈরি হয়, তখন তার পিছনে কয়েকশো লোকের অবদান থাকে। কিন্তু পোস্টারে থাকে শুধু নায়ক আর নায়িকার ছবি। যদিও দর্শক এখন আর শুধুই নায়ক বা নায়িকাকেন্দ্রিক ছবিতে ভরসা রাখেন না। মাঝে মাঝে খেলাটা পুরো তিনশো ষাট ডিগ্রি ঘুরে যায়। ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করে একেক জন অভিনেতা এমন কাঁপিয়ে দেন যে বেচারা নায়ক-নায়িকার কিচ্ছুটি করার থাকে না। বছর শেষের (Yearender 2020) মুখে রইল সে রকমই কয়েকটি না ভোলার মতো পারফরম্যান্স, যেখানে নায়ক একজনই আর সে হল ছবির গল্প।
রত্না পাঠক শাহ, থাপ্পড় (Ratna Pathak Shah, Thappad) অভিনেত্রী হিসেবে রত্না পাঠক শাহর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তাঁর কথা বলায়, নীরবতায় এমনকি শূন্য চাহনিতেও তিনি এতটাই ভালো অভিনয় করেছেন এই ছবিতে যে প্রায় অনেক দৃশ্যেই নায়িকা তাপসী পান্নুকে (Taapasee Pannu) ম্লান করে দিয়েছেন।
অবতার গিল, কামিয়াব (Avtar Gill, Kaamyaab) ছবির গল্পটাই এখানে পার্শ্বচরিত্রের অভিনেতাদের নিয়ে। বহু জনপ্রিয় অভিনেতাদের আমরা শুধুই তাঁদের চরিত্রের নামে চিনি, প্রকৃত নাম জানি না। ছবিতে নিজের চরিত্রে নিজেই অভিনয় করেছেন অবতার গিল। বর্ষীয়ান অভিনেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে জাত শিল্পী তিনি!
ইলা অরুণ, ঘুমকেতু (Ila Arun, Ghoomketu) ইলা অরুণ একজন ভালো অভিনেত্রী ও সুগায়িকাও বটে। হাই সোসাইটির কিটি পার্টি করা মহিলা হোক বা গণ্ডগ্রামের দেহাতি আম্মা, ইলা সবেতেই সমান স্বচ্ছন্দ। দুষ্টু মিষ্টি অবতারে ইলা মনে রাখার মতো অভিনয় করেছেন ছবিতে।
লিন লাইশ্রাম, অ্যাক্সন (Lin Laishram, Axone) অবশ্যই গল্পের কাহিনী পিছন থেকে লিন লাইশ্রামকে সাপোর্ট করছিল। কিন্তু যাঁরা নিজেদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে অন্য শহরে গিয়ে থাকেন, তাঁরা প্রতেকে লিনের সঙ্গে একাত্ম হতে পারবেন। প্রত্যেকটা মুহূর্তকে আলাদা মাত্রা দিয়েছেন লিন।
ফারুখ জাফর, গুলাবো সিতাবো (Farrukh Jaffar, Gulabo Sitabo) অভিনেত্রী ফারুখ জাফর সমানে সমানে পাল্লা দিয়েছেন এক দীর্ঘ ছায়ার সঙ্গে, যার নাম অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। মির্জার সঙ্গে ভালোবাসায়, ঘৃণায়, অবহেলায় আর অবজ্ঞায় ফারুখের জবাব নেই।
রাহুল বসু, বুলবুল (Rahul Bose, Bulbul) রাহুল বসু হলেন অজাতশত্রু অভিনেতা। ভালো অভিনয় করেই উনি বল বগলে মাঠে রাগবি খেলতে নেমে পড়েন। সাতেও থাকেন না, পাঁচেও থাকেন না। কিন্তু অভিনয় যখন করেন, হাঁটুর বয়সী মেয়েরাও ওঁর প্রেমে পড়ে যায়। গাম্ভীর্যকে কী ভাবে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা তাঁকে দেখে শেখা উচিৎ।
সঞ্জয় সুরি, পরীক্ষা (Sanjay Suri, Pariksha) সঞ্জয় সুরি হলেন বলিউডের বেবি ফেসড অভিনেতা। বয়স বাড়ে না ওঁর। সিধেসাধা সৎ ভালো মানুষ হিসেবে প্রত্যেকবারই সুরি অনবদ্য। এ ক্ষেত্রেও আইপিএস অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ দেখার মতো।
নাসর, সিরিয়াস মেন (Nassar, Serious Men) চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! আর নাসর দক্ষতার সঙ্গে সেটাই করেছেন। লোক ঠকিয়েছেন, কিন্তু দিব্যি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। অসাধারণ কাজ এবং অভিনয়- বলতেই হবে!
সতীশ কৌশিক, ছলাং (Satish Kaushik, Chhalang) ওঁর বিষয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। বহু বছরের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিনি। মূল অভিনেতাদের একটুও আড়াল না করে এবং নিজের ক্যারিশ্মা অক্ষুণ্ণ রেখে কী ভাবে এগোনো যায়, সেটা সতীশ ভালোই জানেন!