Cinema Hall: শহর জুড়ে নেই একটাও সিনেমাহল! মুঠোফোনের জগতে ‘অন্তিমশয‍্যায়’ প্রেক্ষাগৃহ

Last Updated:

Cinema Hall: কুসুম, বিশ্বকর্মা, বীণাপাণি, চণ্ডীদাস এবং শিবানী। এক সময় বাঁকুড়ার মানুষের সিনেমা দেখার রমরমা ছিল চোখে পড়ার মত।

+
পরিত্যক্ত

পরিত্যক্ত কুসুম সিনেমা হল

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলায় সিনেমা হলের অভাব যথেষ্ট স্পষ্ট। গোটা শহর জুড়ে ছিল তিনটি এবং শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর ওপারে ছিল দুটি সিনেমা হল বা প্রেক্ষাগৃহ। কুসুম, বিশ্বকর্মা, বীণাপাণি, চণ্ডীদাস এবং শিবানী। এক সময় বাঁকুড়ার মানুষের সিনেমা দেখার রমরমা ছিল চোখে পড়ার মত। কখনও এক মাস, আবার কখনও দু’মাস করে চলত এক একটি সিনেমা।
তবে এক একটি সিনেমা হল চালানো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছিল। প্রেক্ষাগৃহ পিছু গড়ে প্রায় ১৪ জন করে কর্মী রেখে ব্যবসায় মন্দার মুখে পড়েন সিনেমা হলের মালিকেরা। সেই কারণে হাতে মুঠো ফোন এবং ও টি টি প্লাটফর্ম এর দৌরাত্ম বাড়তেই যেন বাঁকুড়ায় এই পাঁচটি সিনেমা হলের ভবিষ্যতের কবর খুঁড়ে ফেলা হয়।
advertisement
advertisement
কোনওটা ১০ বছর আবার কোনওটা ২০ বছর বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। বিরাট সুবিশাল সুন্দর সিনেমা হল গুলির আনাচে কানাচে জন্মেছে আগাছা, রূপান্তরিত হয়েছে কমিউনিটি ডাস্টবিনে। সেকালের সিনেমাহল একালের আড্ডা খানা হয়ে গেছে। তবে সংস্কৃতি জগতের বহু মানুষ নব্বইয়ের দশকের সেই উন্মাদনাটা মিস করছেন।
advertisement
বাঁকুড়ার বাসিন্দা মলয় রায় বলেন, “তখনকার দিনে সিনেমা দেখার আনন্দটা অন্য রকম ছিল, ব্যালকনিতে বসে পরিবার এবং আরও বহু মানুষের সঙ্গে একটি ছবি উপভোগ করার উন্মাদনা অন্যরকম। সেই উন্মাদনাটা এখন আর পাওয়ার উপায় নেই। বাঁকুড়াবাসী হিসেবে আমাদের একটাই চাহিদা যে বাঁকুড়ায় একটি ভালো রুচিসম্মত প্রেক্ষাগৃহ হোক যেখানে বাঁকুড়া যুবসমাজ থেকে শুরু করে সকল বয়সের ব্যক্তিরা বসে উপভোগ করতে পারে।”
advertisement
প্রত্যেকের হাতে হাতে ঘোরে অতি বুদ্ধিমান মুঠোফোন। সেই বুদ্ধিমান মুঠোফোন গুলির সাহায্যে ঘরের ভেতর বসেই দেখা যাচ্ছে সব সিনেমাগুলি। কষ্ট করে পয়সা খরচা করে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার উৎসাহ কমেছে বাঁকুড়াবাসীর মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি হত কুসুম এবং চন্ডীদাস সিনেমা হলে। সিনেমা দেখার উৎসাহ কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হলগুলি। এছাড়াও পেক্ষাগৃহগুলির সামনে ব্যবসা ছিল বহু মানুষের। নিত্য আনাগোনা ছিল সিনেমা প্রেমীদের,ফলেই রুজি রোজগার চলত বহু পরিবারের। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হয়েছে সেই ব্যবসা। প্রভাবিত হয়েছে জীবন জীবিকা।
advertisement
কুসুম সিনেমা হলের আগেকার কর্মী হরিহরপাল জানান, “সিনেমা এক ধরনের লোকশিক্ষা, সিনেমা বন্ধ হলে সমাজের চিন্তাধারা প্রসারিত হবে না। সেই কারণেই বাঁকুড়ায় সিনেমা হল চালু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাঁকুড়া তেই নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে মাত্র বারোটি সিনেমা হল চালু রয়েছে যেগুলি বড় মাল্টিপ্লেক্স নয়।”
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Cinema Hall: শহর জুড়ে নেই একটাও সিনেমাহল! মুঠোফোনের জগতে ‘অন্তিমশয‍্যায়’ প্রেক্ষাগৃহ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement