Gorkhaland Demand: চাপে বিস্তা! পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আবেগে শাহী শান, পৃথক রাজ্যের হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের, ভোটের রাজনীতিতে সমীকরণ বদলের সম্ভাবনা?
- Reported by:VENKATESHWAR LAHIRI
- news18 bangla
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
পাহাড়বাসীর আবেগকে কাজে লাগিয়ে সব রাজনৈতিক দলই ভোটে জিততে চায়। এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাতেও পাহাড়ে ভোটের ইস্যু সেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, দার্জিলিং: ভোট এলেই পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জিগির ওঠে। পাহাড়বাসীর আবেগকে কাজে লাগিয়ে সব রাজনৈতিক দলই ভোটে জিততে চায়। এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাতেও পাহাড়ে ভোটের ইস্যু সেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড। এই প্রথম পাহাড় একচ্ছত্র আধিপত্যের বাইরে। এই প্রথম পাহাড় ভূমিপুত্রের ভোটে লড়ার দাবিতে সরব। পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্কে এখন চারটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য।
জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি, বিজেপি। আগে পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করত কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল। বাইরে থেকে রাজনৈতিক দলগুলি গিয়ে তাদের সহায়তায় ভোটে জিতত। এবার এতগুলি ভাগে ভোট ব্যাঙ্ক ভাগ হয়ে যাওয়ায় খানিকটা চাপে বিজেপি। তবে ইস্যু সেই গোর্খাল্যান্ডই। রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় দার্জিলিঙের লেবংয়ের সভায় পৌঁছতে পারেননি অমিত শাহ। কিন্তু ফোন বার্তায় পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
advertisement
advertisement
অমিত শাহ এও বলেন, ‘‘কমিউনিস্ট ও তৃণমূল দুই দলই পাহাড়কে রক্ত রঞ্জিত করেছে। পাহাড়ে শান্তি আনার কাজ একমাত্র বিজেপি করতে পারে। সংবিধান মেনে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করতে পারবে বিজেপিই। তাই রাজু বিস্তাকে এবারও জয়ী করুন।’’ অমিত শাহ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের কথা না বললেও চাপে পড়ে আশ্বাস দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারেও বিজেপির প্রার্থী রাজু বিস্তা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজু বিস্তা বলেন,’ পাহাড়ের ইসুটি সিএএ কার্যকর হওয়ার দিনেই ঘোষণা হয়ে যেত। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। তবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে গোর্খা তথা জনজাতিদের সমস্যার বিষয়টির সমাধান হবেই।
advertisement
অন্যদিকে রবিবার দার্জিলিঙে বিজেপির সভামঞ্চে বিমল গুরুংকে জয় গোর্খা বলে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গুরুং সাফ জানান, ‘‘তৃণমূল আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা এবার বিজেপিকে সমর্থন করছি।’’ কিন্তু বিজেপিও যদি গোর্খাল্যান্ড দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ না নেয় সেক্ষেত্রে বিজেপির ওপর থেকেও তাদের সমর্থন যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সে কথাও কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন গুরুং। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরেই পাহাড়ে সাংসদ বিজেপির। তারপরেও ভোটের মুখে এই বক্তব্যে দ্বিচারিতা দেখছে তৃণমূল।
advertisement
দার্জিলিংয়ের সাংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাহাড়ের ভোটেই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে এবারের লোকসভা ভোটে বদলে যেতে পারে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
view commentsLocation :
Darjeeling,West Bengal
First Published :
Apr 22, 2024 7:59 AM IST









