#কলকাতা: অপ্রত্যাশিত ফল। পরীক্ষা না হওয়ার পরও পাশ করানো হয়নি। মার্কশিট হাতে পাওয়ার পর উৎকণ্ঠায় পরীক্ষার্থীরা। কেন ফেল? কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না ওদের। প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল শিলিগুড়ির ছাত্রীরাও। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ না করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ সারদামণি বিদ্যাপিঠের ছাত্রীদের প্রতিবাদে দেখা গেল উত্তেজনা। শনিবার এই স্কুলের ১০৩ জন উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ছিল। যার মধ্যে ১৪ জন ফেল করেছে। কেন ফেল? পরীক্ষাই যেখানে হল না, সেখানে অনুর্ত্তীর্ণ কেন? প্রশ্ন তুলেছে অর্পিতা বসাক, আফ্রিজা বেগমেরা। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের জেরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হল, রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সাতদিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সংসদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে সাতদিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপযুক্ত নথি-সহ আবেদন জানাতে হবে। সেই অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সংসদ। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, রবিবার এবং ছুটির দিনও দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেই অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকছে।
যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা তাদের ক্ষেত্রে ঠিক হয়নি, দাবি ফেল করা ছাত্রীদের। তাদেরকেও পাশ করাতে হবে এই দাবিতেই শনিবার স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বসে তারা। তাদের দাবি, মাধ্যমিকের ফল এবং একাদশ শ্রেণীর নম্বর ও ক্লাস টুয়েলভের প্র্যাকটিক্যালের নম্বর যোগ করে যদি ফল প্রকাশিত হয়ে থাকে, তাহলে তারাও অন্য পড়ুয়াদের মতোই পাশ করত। কেন তাদের ফেল করানো হল? বিক্ষোভ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ছাত্রীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। দীর্ঘক্ষণ চলে আন্দোলন। পরে প্রধান শিক্ষিকার প্রস্তাব মতো ছাত্রীরা রাজি হয় যে তারা সোমবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিলের কাছে নালিশ জানাবেন। তারপর অবরোধ প্রত্যাহার করে ছাত্রীরা।
প্রধান শিক্ষিকা জানান তিনি স্কুলের ছাত্রীদের জন্য দরবার করবেন। পাশেও থাকবেন। এক অভিভাবিকাও জানান, অন্য সকলে পাশ করে গেল, তবে কেন পরীক্ষা না হওয়ার পরও এই ১৪ জন ফেল করেছে।অন্যদিকে একই ইস্যুতে সরব শিলিগুড়ির বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও। তবে ফেল করার জন্যে নয়, তাদের অভিযোগ, নম্বর কম এসছে। মূল্যায়ন সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। ২০ থেকে ২৫ নম্বর কম এসছে। এতে কলেজে ভর্তি হতে সমস্যায় পড়তে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ছাত্রদের পাশে থাকারই আশ্বাস দিয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির কাছে যাবতীয় অভিযোগ জানিয়ে মেল করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।