Dakshin Dinajpur News: বাঁশের আসবাব বানিয়েই চলে জীবিকা! প্রাচীন শিল্পকে আঁকড়ে বেঁচে কয়েকটি পরিবার
- Reported by:SUSMITA GOSWAMI
- hyperlocal
Last Updated:
Dakshin Dinajpur News: আধুনিক সভ্যতার প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে বেশ কিছু গ্রামীণ পরিবার হারাতে বসেছে বাঁশের তৈরি শিল্পের নান্দনিক ব্যবহার। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা দিন দিন ক্রমশ কমেই যাচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর: কালের আবর্তে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাঁশের সরঞ্জাম আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তেমন চাহিদা নেই বাঁশের দোলনার। বাঁশ আর বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভাল নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। নেই নতুন প্রজন্মের কারিগরও। তবুও বছরের পর বছর বাপ-দাদার এই পেশাকে এখনও জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু গ্রামীণ পরিবার।
আধুনিক সভ্যতার প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে বেশ কিছু গ্রামীণ পরিবার হারাতে বসেছে বাঁশের তৈরি শিল্পের নান্দনিক ব্যবহার। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা দিন দিন ক্রমশ কমেই যাচ্ছে।
কদর না থাকায় গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরী বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় আকর্ষনীয় আসবাবপত্র। অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে আজ অনেকে অন্য পেশার দিকে ছুটছে।তবে, শত অভাব অনটনের মাঝেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু গ্রামের হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক এই পেশাটি ধরে রেখেছেন।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, বাঁশ, প্লাস্টিকের ফিতা ও পেরেক দিয়ে দোলনা-সহ চেয়ার, বুকসেলফ, মোড়া সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। প্রতি মাসে গড়ে তৈরি ২০০-২৫০টি দোলনা বানানো হয় এখানে। বিভিন্ন আসবাবপত্র আকারভেদে বিক্রি হয় ৩০০-৩৫০০ টাকায়।
advertisement
বাড়িতে তৈরি করা দোলনা সহ বাঁশের আসবাবপত্র গুলি নিজস্ব জেলার পাশাপাশি মালদা, উত্তর দিনাজপুর, শিলিগুড়ি সহ কয়েকটি জেলায় বাজারজাত করেন তারা। এমনকি পাইকারি দরেও বাড়ি থেকে নিয়ে যায় অনেক হকার।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বাঁশের তৈরি মনমুগ্ধ বিভিন্ন জিনিসের জায়গা করে নিয়েছে স্বল্প দামের প্লাষ্টিকের তৈরি পন্য। তাই বাঁশের তৈরি মনমুগ্ধকর সেইসব পন্য এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে।
advertisement
বিশ্ব জুড়ে মেশিন দিয়ে তৈরি অত্যাধুনিক মানের রকমারি আসবাবের কাছে, হাতে তৈরি করা শিল্পের টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। যদিও যান্ত্রিকতার যুগে নিজের কাজের দক্ষতা এবং জীবিকার টানাপড়েনে অনিশ্চিত হয়ে উঠছে এই শিল্পীদের ভবিষ্যত।
তারা বছরের পর বছর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও মেলেনি কোনও রকম সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা।সরকার থেকে মিলেছে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি।
advertisement
সরকারিভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে আবারও ফিরে আসতে পারবে নিজস্ব শিল্পে। বৃদ্ধি পাবে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁশের তৈরি হস্ত ও কুঠিরশিল্পের কাজ, এমনটাই সবার আশা বলে জানা গেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 13, 2023 1:58 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur News: বাঁশের আসবাব বানিয়েই চলে জীবিকা! প্রাচীন শিল্পকে আঁকড়ে বেঁচে কয়েকটি পরিবার