Dakshin Dinajpur News: বাস্তবের 'দশভুজা' শ্যামলী ভোর হলেই ছুটে যান ইটভাটায়, দশ হাতে সামলান সবকিছু
- Reported by:SUSMITA GOSWAMI
- news18 bangla
- Published by:kaustav bhowmick
Last Updated:
মণ্ডপের দশভূজা নয়, বালুরঘাটের শ্যামলী দাসের গল্পটা বাস্তবের দশভুজার মতো। একাই দশ হাতে সামলাচ্ছেন সবকিছু
দক্ষিণ দিনাজপুর: মহালয়া হয়ে গেল মানে দুর্গাপুজো একপ্রকার শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ আজকাল ষষ্ঠী পর্যন্ত অনেকেই আর অপেক্ষা করেন না। তার আগেই প্রতিমা দর্শন শুরু হয়ে যায় মণ্ডপে মণ্ডপে। কিন্তু মাত্র পাঁচ দিনের জন্য মর্ত্যে দশভুজার দর্শন পায় মানুষ। অথচ বাস্তবের দশভুজা শ্যামলী দাসরা সারা বছরই আমাদের চোখের সামনে একসঙ্গে দশদিক সামলে চলেছেন। যদিও এই লড়াই বড় স্পষ্ট বলে বোধহয় অনেক সময় নজর এড়িয়ে যায়।
সংসার সামাল দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া শেখানো, শখ-আল্লাদ মেটানো সবই করে চলেছেন বালুরঘাটের শ্যামলী দাস। আজকের যা বাজারদর তাতে স্বামীর একার উপার্জনে কিছুই সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে শ্যামলী দাসের মতো দশভুজারা কোলের সন্তানকে বাড়িতে রেখেই অর্থনৈতিক যুদ্ধে সামিল হন।
advertisement
advertisement
বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙা পঞ্চায়েতের নামাডাঙা এলাকায় স্বামী সহ দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস শ্যামলী দাসের। প্রথম অবস্থায় স্বামীর রোজগারে সংসার দিব্যি চলে গেলেও সন্তানরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাওয়া-দাওয়া, ভালো পোশাক, পড়াশোনা সহ আনুষাঙ্গিক খরচের যোগান দিতে শেষ পর্যন্ত শ্যামলীকে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে যোগ দিতে হয়। সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির মধ্যে দিয়ে সংসারে কিছু বাড়তি আয় তুলে আনার চেষ্টা করেন তিনি। তপ্ত রোদে ইট ভাটায় অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করে স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ভোর থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়। বছরে মোট ছয় মাস কাজ জোটে ইট ভাটায়। এই বিষয়ে শ্যামলী দাস বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই বাধ্য হয়ে এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে।
advertisement
শুধুমাত্র একা শ্যামলী দাস নয়, এরকম হাজারো শ্যামলী আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাঁদের খোঁজ আমরা কজন রাখি? এই দশভুজারা কিন্তু অন্তরালে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Oct 14, 2023 6:03 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur News: বাস্তবের 'দশভুজা' শ্যামলী ভোর হলেই ছুটে যান ইটভাটায়, দশ হাতে সামলান সবকিছু









