#সুরাত: পথ-কুকুরকে বাইকের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুরসভার সাফাই কর্মী। যন্ত্রণায় প্রবল চিৎকার করছে সে। তাতে অবশ্য ভ্রুক্ষেপও নেই অপরাধী যুবকের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখে শিউড়ে উঠছেন সকলে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন যুবকের এ হেন নির্মমতায়। তবে যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেনি সে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কুকুরটি।
গুজরাতের সুরাতের ঘটনা। মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে। এ দিন পথ-কুকুরকে বাইকের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ১ কিলোমিটার রাস্তা বাইক ছোটান ওই সাফাইকর্মী। কুকুরটি যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তাকে ছাড়া হয়নি। সেই অবস্থাতেই ছেঁচড়াতে ছেঁচড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন নৃশংস ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার পরে খাটোদাড়া থানার দ্বারস্থ হন সালোনি রাঠি নামে এক মহিলা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেখানেই বাইকের নম্বর নিয়ে, সেই বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলিয়ে মালিক হিতেশ পাটেল নামে এক যুবককে শনাক্ত করে। এরপর তাকে ফ্রেফতার করা হয়, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আপরাধের সময় ব্যবহৃত বাইকটিও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিতেশ সুরাত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাফাইকর্মী। এ দিন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সে এবং তার এক বন্ধু বাইকে রয়েছ। বাইক চালাচ্ছিল হিসেশ। তার হাতে থাকা দৃঢ় একপ্রান্ত বাঁধা ছিল কুকুরের গলায়, সেভাবেই টানতে টানতে ১ কিলোমিটার নিয়ে যায়। যদিও হিমেশের দাবি, কুকুরটি মারা গিয়েছিল, তাই সে কুকুরটির মৃতদেহ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তবে সেই কথা সম্পরন মিথ্যা বলেই দাবি একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের। তাঁদের মতে, কুকুরটিকে ভিডিওতে নড়াচড়া করতে দেখা গিয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মিথ্যা কথা বলছে।