#নয়াদিল্লিঃ দুই নান এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে প্রবল হেনস্থা। তারপর জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই দুই সন্ন্যাসিনী দিল্লি থেকে ওড়িশার রাউরকেল্লা যাচ্ছিলেন। সংঘ সেবকদের দাবি, ট্রেনে ওই দু'জন তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই কিশোরীকে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করছিলেন।
ট্রেনে থাকা এক ABVP সমর্থক অজয় শঙ্করের দাবি, "দুই কিশোরীর সঙ্গে ওই দুই নানের কথোপকথন শুনে মনে হয়েছিল তাঁরা ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করছেন।" এরপরেই তৎপর হয়ে তিনি খবর দেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। শুক্রবার ট্রেন ঝাঁসি রেলস্টেশন পৌঁছতেই ট্রেনে সয়ার ওই দুই নানের ওপর চড়াও হন তারা। এরপর বলপূর্বক তাঁদের ট্রেন থেকে স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ দিকে, ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি স্টেশনে পৌঁছয় রেল পুলিশ। দুই সন্ন্যাসিনীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এরপর স্টেশনে বিস্তর খোঁজখবর নেওয়ার পরে সঙ্ঘ সেবকরা জানতে পারেন, তাঁরা কাউকেই ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেননি। বরং সঙ্গে থাকা ওই দু'জনও খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী।
এরপর অবশ্য ওই চারজনকে ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বুধবার আশ্বাস দেন, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অমিত শাহ বলেন, "ঝাঁসি স্টেশনে নানদের হেনস্থার ঘটনায় যারা যুক্ত, তাঁদের আইনী ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে।"
Harassment of nuns in UP is shocking. Indian citizens' fundamental rights have been violated. @BajrangdalOrg & @Uppolice have tarnished India's image and our ancient tradition of religious tolerance. Wrote to @HMOIndia requesting intervention, so that authorities take action. pic.twitter.com/H9IMAupesd
— Pinarayi Vijayan (@vijayanpinarayi) March 24, 2021
শুক্রবার ঘটে যাওয়া লজ্জাজনক এই ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়য় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ প্রসঙ্গে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ঘটনায় দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি। চিঠিতে বিজয়ণ লেখেন, "দুই নানকে রাত ১১টার সময় ঝাঁসি স্টেশনে নামিয়ে বজরং দলের ১৫০ জন মিলে হেনস্থা করে। রেল পুলিশের ব্যবহারও অসম্মানজনক ছিল। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ না করেই তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও মহিলা পুলিশ পর্যন্ত ছিল না। এই ধরণের ঘটনা দেশের নাগরিকদের অধিকারে হস্তক্ষেপের নামান্তর। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।"
উল্লেখ্য, ওই দুই নান এবং তাঁদের দুই শিক্ষার্থী সঙ্গেএ ১৯ মার্চ হরিদ্বার-পুরী উইকল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। ট্রেনের কামরায় তাঁদের সঙ্ঘে হওয়া ABVP সদস্যের কথোপকথনের একটি ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।