Purba Bardhaman: এমন টোপ আপনিও পেয়েছেন? সাবধান, লোক ঠকিয়ে পুলিশের জালে মা-ছেলে

Last Updated:

পুলিশের দাবি, মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে অর্থ হাতানোর কথা ধৃতরা স্বীকার করেছে।

মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
বর্ধমান: মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতানোর ফাঁদ পেতেছিল মা ও ছেলে। বারাসত থেকে ফোন করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টাওয়ার বসানোর টোপ দিত তারা। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বেশ কয়েকজনকে এমন টোপ দিয়ে বলা হয়েছিল, মোবাইলের টাওয়ার বসানো হলে দশ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। ফাঁদে পা দেওয়া অনেকের থেকেই নেওয়া হয়েছিল মোটা অগ্রিম। পরে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে অনেকেই পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এই প্রতারণার চক্রের সঙ্গে যুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্ত জানতে পেরেছে পুলিশ।
advertisement
advertisement
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইলে টাওয়ার বসানোর নাম করে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আসছিল। তেমনই জামালপুরের একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী। তারা সম্পর্কে মা ও ছেলে।
উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতের একটি আবাসনে তাদের  বাড়ি। বর্তমানে তারা উত্তর ২৪ পরগনাণারই মধ্যমগ্রামের দোলতলায় থাকত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্যমগ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
জামালপুর থানার বিষ্ণুবাটি গ্রামের বাসিন্দা গৌতম দাসের কাছে গত বছরের ২২ জুলাই একটি ফোন আসে। তাতে তাঁকে জমিতে টাওয়ার বসানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। টাওয়ার বসালে ১০ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার টোপ দেওয়া হয় তাঁকে। তাতে রাজি হলে তাঁকে জমির ছবি ও অন্যান্য নথিপত্র এবং আধার কার্ড, ভোটার কার্ড পাঠাতে বলা হয়।
advertisement
পরের দিন তাঁর জমি টাওয়ার বসানোর জন্য উপযুক্ত বলে জানানো হয় তাঁকে। কমার্শিয়াল লাইসেন্স ও জিএসটি বাবদ তাঁকে টাকা পাঠাতে বলা হয়। ১০ লক্ষের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ড্রাফ্ট করার জন্য তাঁকে চার্জ বাবদও টাকা পাঠাতে বলা হয়। এভাবে কয়েক দফায় তিনি ৮৫ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু টাওয়ার বসানোর কোন লক্ষণ না দেখতে পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
advertisement
পুলিশের দাবি, মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে অর্থ হাতানোর কথা ধৃতরা স্বীকার করেছে। তারা এই ধরনের আরও কয়েকটি ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে। ভাতার ও খণ্ডঘোষ থানা এলাকায় টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর দু'টি মামলাতেও তাদের নামে রয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Purba Bardhaman: এমন টোপ আপনিও পেয়েছেন? সাবধান, লোক ঠকিয়ে পুলিশের জালে মা-ছেলে
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement